উত্তর : একটি স্বাধীন দেশের নাম বাংলাদেশ। এর শতকরা ৯০ ভাগই মুমলমান। নব্বই ভাগ মুসলমানের সন্তানদের স্কুল কিংবা মাদ্রাসায় তাঁদের প্রাথমিক শিক্ষা দেওয়া হয়ে থাকে। যাদের দুইটা ছেলে সন্তান আছে তাঁদের একজনকে স্কুলে অপরজনকে মাদ্রাসয় পাঠানো হয়। অপরদিকে দেখা যায় অনেক দম্পতির ছেলেসন্তান হচ্ছে না। তারা মানত করে তাঁদের ছেলে সন্তান হলে হাফেজ বানাবে। আবার অনেকে তিন - চারজন কন্যা সন্তান হওয়ার পর একটা ছেলে সন্তান জন্ম হয়। তারাও ভেবে থাকে এটাকে মাদ্রাসায় পড়াবেন। প্রকৃতপক্ষে তারা নিয়ত সঠিক না রেখেই বাচ্চাদের কুরআন শিখতে মক্তব বা হিফজখানায় পাঠাচ্ছেন। এখানেই আসল সমস্যা। আমরা মুসলামান হিসেবে আমাদের কুরআন শিক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ।বাংলাদেশে বিভিন্ন পর্যায়ে বাচ্চাদের কুরআন শিখানো হয়। বাদ ফজর মক্তবে। নুরানি মাদ্রাসায়। অথবা যারা কুরআন শরীফ মুখস্থ -আতœস্থ বা কন্ঠস্থ করতে আগ্রহী তাদের জন্য হিফজ খানা। এখানে বাঁচ্চাদের কুরআন শরীফ এক পারা থেকে ত্রিশ পারা পর্যন্ত মুখস্থ করানো হয়। এই কুরআন মাজিদ হিফজ করানর প্রক্রিয়ার মাঝে বাঁচ্চারা অনেক সময় শিখতে চায় না। বাসায় চলে আসে পলকয়ন করে। কিংবা শিক্ষদের জোর জুলুমের শিকার হয়ে থাকে। আমরারজানি সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মারধর নিষিদ্ধ করেছেন। তারপর ও কিছু একগুয়ে গার্ডিয়ানদের জন্যই সব বিপত্তি বাঁধে। তাদের বাচ্চার সঠিক জ্ঞান - মেধা না থাকা সত্তে¡ও বাচ্চাদের জোর করে হিফজখানায় ভর্তি করে। আর টিচারদের বলে থাকে, রক্ত - মাংস আপনার আর হাড্ডি আমার। এরপর টিচার যখন মারেন। আবার অভিবাবকই রেগেমেগে হাঙ্গামা সৃষ্টি করে। তবে শুধু কুরআন শরীফ মুখস্থ করলেই হবে না। কুরআনের ধারক - বাহক হতে হবে। কুরআনের আলোয় আলোকিত হতে হবে। যারা ভেবে থাকেন বাচ্চাদের মারধর করেই হাফেজ বানাতে হবে তাঁদের ধারণাটি ভুল। যাদের মেধা আছে তারা পুরো কুরআন শরীফ মুঁখস্থ করবে। আর যাদের কম মেধা তাঁদের নূরানী মাদ্রাসায় পড়ান। অন্তত কুরআন সহীহ ভাবে পড়া শিখুক। বাচ্চাদের মেরে হাফেজ বানানোর কালচার থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন