শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইসলামী বিশ্ব

ধর্মকে অশ্রদ্ধাই নয়, উস্কানিও দিয়েছেন ম্যাখোঁ : এরদোগান

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৮ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০৩ এএম

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ বলেছিলেন, বিশ্ব জুড়েই ধর্ম হিসাবে ইসলাম সংকটে। আগামী ডিসেম্বরে সরকার একটি বিল আনবে। ১৯০৫ সালে ফ্রান্সে রাষ্ট্রের থেকে চার্চকে আলাদা করা হয়েছিল। সেই আইনকেই আরো শক্তিশালী করা হবে। ম্যাখোঁর পরিকল্পনা হলো, মসজিদে বিদেশি অর্থ আসা নিয়ন্ত্রণ করা এবং শিক্ষা ব্যবস্থারও তদারকি করা। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর তীব্র সমালোচনা করলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট সে দেশে ইসলামকে বিদেশি ও কট্টরদের প্রভাবমুক্ত করার ডাক দিয়েছেন। এরদোগানের মতে, এটা হলো খোলাখুলি উস্কানি দেয়া। তুরস্কের প্রেসিডেন্টের পরামর্শ, মাখোঁ যেসব বিষয়ে কিছুই জানেন না, সেই সব বিষয়ে বলার আগে যেন ভালো করে বিষয়টা জেনে নেন। আমরা চাই তিনি দায়িত্বশীল প্রেসিডেন্টের মতো কাজ করুন। ঔপনিবেশিক গভর্নরের মতো নয়। এরদোগান বলেন, ইসলাম সংকটে বলে মাখোঁ যে শুধু ধর্মকে অশ্রদ্ধা করেছেন তাই নয়, খোলাখুলি উস্কানিও দিয়েছেন। মাখোঁ এই সব কথা বলে তার ধৃষ্টতা দেখিয়েছেন। ইসলামের কাঠামো নিয়ে কথা বলার তিনি কে? মাখোঁ ও এরদোগানের সম্পর্ক এমনিতেই মধুর নয়। আর্মেনিয়া-আজারবাইজান লড়াই এবং পূর্ব ভ‚মধ্যসাগর নিয়ে দুই নেতার বিরোধ সামনে এসেছে। এবার ইসলাম নিয়েও তাদের তীব্র মতবিরোধ সামনে এলো। ডয়চে ভেলে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
habib ৮ অক্টোবর, ২০২০, ১০:২৫ এএম says : 0
Who is the real terror America Israel France India and their allied.......they killing frequently Muslim around the world invasion Muslim land...may allah protect Mr Erdogan Ameen...
Total Reply(0)
Jack Ali ৮ অক্টোবর, ২০২০, ৪:২১ পিএম says : 0
If we establish the Law of Allah then nobody be kafir or Munafiq/Murtard/Taghut will be able to insult Islam and our Beloved Prophet [SAW] খিলাফত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মৃত্যুর পর তাঁর দাফন শেষ হওয়ার আগেই পরবর্তী খলিফা নির্বাচন নিয়ে সমস্যা দেখা দিল। মদীনার আনসাররা সাকীফা বনু সায়িদায় একত্রিত হন। সেখানে কিছু সংখ্যক মুহাজিরও ছিলেন। আনসাররা অভিমত দিলেন যে পরবর্তী খলিফা তাঁদের মধ্য থেকেই নির্বাচিত হোক। মুহাজিররা এর প্রতিবাদ জানালেন। দু পক্ষ থেকে দুজন খলিফা নির্বাচনের দাবীও কেউ কেউ জানালেন। এভাবে একটি গুরুতর পরিস্থিতির সৃষ্টি হল। খবর পেয়ে আবু বকর, উমর ও আরো কয়েকজন মুহাজির সেখানে গেলেন। আবু বকর একটি চমৎকার ভাষণ দিলেন। তাঁর ধীরতা ও যুক্তি-প্রমাণের কাছে সবাই নতি স্বীকার করল। ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু খলিফা হিসাবে আবু বকরের নাম প্রস্তাব করলেন ও প্রথমেই তাঁর হাতে বাইয়াত নিলেন। এরপর সকলেই বাইয়াত নিলেন। এভাবে ইসলামের প্রথম খলিফা নির্বাচিত হলেন আবু বকর। এরপর তিনি একটি সংক্ষিপ্ত ভাষণ দেন, যাতে একজন খলিফার দায়িত্ব এবং জনগণের দায়িত্ব অত্যন্ত স্পষ্টভাবে ফুঠে উঠেছে। ভাষণ: হে লোকসকল, আমাকে তোমাদের উপর কর্তৃত্ব দেওয়া হয়েছে, কিন্তু আমি তোমাদের সর্বোত্তম নই। সুতরাং যদি আমি সঠিক কাজ করি তবে আমাকে সাহায্য কর এবং যদি আমি ভুল করি তবে আমাকে সংশোধন করে দিও। সততা একটি পবিত্র আমানত এবং মিথ্যা হচ্ছে বিশ্বাসঘাতকতা। তোমাদের দুর্বলরা ততক্ষণ পর্যন্ত সবল যতক্ষণ পযন্ত আমি তাকে তার অধিকার আদায় করে দেই ইনশাআল্লাহ এবং তোমাদের শক্তিশালীরা ততক্ষণ পর্যন্ত দুর্বল যতক্ষণ পর্যন্ত আমি তাদের কাছে থেকে পাওনা আদায় করে দেই ইনশাআল্লাহ। কোনো জাতি জিহাদ ত্যাগ করলে আল্লাহ তাকে লাঞ্ছিত না করে ছাড়বেন না। না কোনো জাতির মধ্যে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়বে আর আল্লাহ তাকে পরীক্ষায় ফেলবেন না। আমাকে ততক্ষণ মেনে চল যতক্ষণ আমি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে মেনে চলি এবং যদি আমি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে মেনে না চলি, তাহলে আমার প্রতি তোমাদের আনুগত্যের কোনো বাধ্যবাধকতা থাকবে না। সালাতের জন্য দাঁড়াও। আল্লাহ তোমাদের উপর রহম করুন। (আনাস ইবন মালিক বর্ণিত)। আবু বকর খলিফা হওয়ার আগে মুসলিম উম্মাহর নেতৃত্বে ছিলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। একজন নবীর নেতৃত্ব ও মানুষের নেতৃত্বের মাঝে পার্থক্য আছে। নবীর প্রদর্শিত পথে একজন সাধারণ মানুষ কিভাবে নেতৃত্ব দেবে তা দেখিয়ে গেছেন আবু বকর। যে সব মূলনীতি তাঁর ভাষণের মধ্য থেকে বেরিয়ে আসে, তা উম্মাহর জন্য অনুসরণীয়। আবু বকর স্পষ্টতই বুঝিয়ে দিলেন যে শরীয়তের উৎস কুরআন ও সুন্নাহ। আনুগত্য ততক্ষণ, যতক্ষণ কেউ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নেতৃত্ব ছিল প্রশ্নাতীত, কারণ আল্লাহ নিজে তাঁকে নির্দেশ দিয়েছেন ও সংশোধন করেছেন। মুসলিম নেতা জবাবদিহি করবে উম্মাহর কাছে- উম্মাহর দায়িত্ব ইমামকে সঠিক পথে চালানো। সুবিচার ও সমতা হবে ইসলামী রাষ্ট্রের ভিত্তি। নেতা ও উম্মাহর মাঝে সম্পর্ক হবে সততা ও বিশ্বস্ততার। যে জাতি আল্লাহর পথে জিহাদ করে না, আল্লাহ তাকে লাঞ্ছিত করবেন এটাই আল্লাহর নিয়ম বা রীতি। যে জাতির মধ্যে প্রকাশ্যে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ে, তারা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়, সে জাতি হয় দুর্বল।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন