বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

মুসলিমদের সাথে এরতুগ্রুলে মজেছেন ভারতের হিন্দুরাও

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৮ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০৭ এএম

কাশ্মীরের সোপোর, পুলওয়ামা বা বারামুলা-তে এর আগে কস্মিনকালেও ‘এরতুগ্রুল’ নামে কেউ ছিল না। অথচ গত দু-তিন বছরে ভ্যালিতে যে শিশুরা জন্মেছে, সেই নবজাতকদের অনেকেরই নাম রাখা হয়েছে এরতুগ্রুল। শীতের মওশুমে তো কাশ্মীরে দেখা যাচ্ছে এরতুগ্রুল স্টাইলে’র টুপিও। গাঢ় ওয়াইন-রঙা এই ধরনের মাথা ও কান-ঢাকা ফার বা পশমী টুপি তুরস্কে খুব জনপ্রিয় হলেও কাশ্মীরে তা কিন্তু কখনওই পরার কোন চল ছিল না। আর এসব পরিবর্তনের পেছনেই আছে একটি অসম্ভব জনপ্রিয় তুর্কী টেলি-ড্রামা, যার নাম ‘ডিরিলিস: এরতুগ্রুল’।
তুর্কি নাটক এরতুগ্রুল নিয়ে পাকিস্তানে উৎসাহ আর বিতর্ক : ডিরিলিস শব্দের অর্থ রেজারেকশন বা পুনর্জন্ম, আর তুরস্কের অটোমান সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠার আগের ইতিহাস নিয়ে তৈরি এই টানটান নাটকে কাশ্মীর এখন একেবারে মন্ত্রমুগ্ধ - বিশেষ করে সেখানকার তরুণ প্রজন্ম।

ত্রয়োদশ শতকে ওঘুজ তুর্কীদের নেতা এবং সে দেশের কিংবদন্তী নায়ক এরতুগ্রুলের জীবন নিয়েই বাঁধা হয়েছে এর গল্প। এ এরতুগ্রুল ছিলেন অটোমান সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা ওসমানের পিতা। মুসলিম বিশ্বের নানা দেশে দারুণ জনপ্রিয়তা পাওয়ার পর এই এপিক তুর্কী ড্রামাটি এখন কাশ্মীর-সহ ভারতের মুসলমানদের মধ্যেও ভীষণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। পাঁচটি সিজনে পরিব্যাপ্ত ৪৪৮টি এপিসোড বা পর্বের এ বিশাল উপাখ্যান অনেকে মাত্র এক-দেড় মাসের মধ্যেও পুরোটা দেখে ফেলেছেন।

ভারতে এরতুগ্রুলের প্রভাব নিয়ে গবেষণা : এরতুগ্রুল কীভাবে ভারতে এতটা জনপ্রিয়তা পেল, তা নিয়ে বিশদে সমীক্ষা করেছেন হায়দ্রাবাদের মৌলানা আজাদ জাতীয় উর্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’জন অধ্যাপক - সমাজতত্ত্ব বিভাগের শাহীদ মিও এবং ইতিহাস বিভাগের ইকরামুল হক।

অধ্যাপক শাহীদ মিও বিবিসিকে বলছিলেন, ‘কাশ্মীরে ইন্টারনেটের কী হাল সবাই জানেন। আমি যখন কাশ্মীরি ছাত্রদের আজকাল অনলাইনে ক্লাস নেই, ব্যান্ডউইথের সমস্যায় তারা আমাকে ঠিকমতো শুনতেই পান না। অথচ সেই একই ছাত্ররা আমাকে বলেন, এরতুগ্রুলের একটা এপিসোডও ছাড়া যাবে না। দুর্বল নেট নিয়েই, বাফারিং সহ্য করেই তারা হুমড়ি খেয়ে পড়েন মোবাইল ফোনে এই তুর্কী নাটক দেখার জন্য!

বস্তুত ২০১৭ সালের অক্টোবরে নেটফ্লিক্স তুরস্কের এই ঐতিহাসিক ড্রামাটি অনলাইনে ‘স্ট্রিম’ করতে শুরু করার পরই ভারতে তা প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই তুমুল সাড়া ফেলে। অধ্যাপক ইকরামুল হকের কথায়, ‘আজকের ভারতবর্ষে মুসলিমরা যে আত্মপরিচয়ের সঙ্কট বা আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে ভুগছেন, সেই শূন্যতার জায়গা থেকেই হয়তো তারা ভিনদেশি এ ঐতিহাসিক উপাখ্যানের সঙ্গে নিজেদের অনেকটা ‘রিলেট’ করতে পারছেন - আর সে কারণেই এরতুগ্রুল এদেশেও এতটা জনপ্রিয় হয়েছে’।

কিন্তু ভারত ও তুরস্কের কূটনৈতিক সম্পর্ক যখন অত্যন্ত খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, তখন তুরস্কেরই একটি টেলি-ড্রামা ভারতীয় মুসলিমদের মধ্যে এতটা সাড়া ফেলার আর কি কোন রহস্য রয়েছে?
গবেষণা রিপোর্টটির অন্যতম লেখক ড. হক বিবিসিকে বলেন, ‘একটা ফ্যাক্টর তো এটার টানটান গল্প, নাটকীয়তায় ভরা প্লট, দারুণ অভিনয় আর দুর্ধর্ষ স্পেশাল এফেক্টস। এরতুগ্রুল একবার দেখতে বসলে সেটা ছেড়ে ওঠাই মুশকিল। ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক দৃষ্টিকোণে ভারতীয় মুসলিমরাও হয়তো এই তুর্কী গল্পটা ভালবেসে ফেলছেন, একাত্ম বোধ করছেন।

ইসলামী দুনিয়া এরতুগ্রুলকে কী চোখে দেখছে? : মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশই মনে করে, এই টেলি-নাটকের মধ্যে দিয়ে তুরস্ক কিন্তু কূটনীতিতে তাদের ‘সফট পাওয়ার’ প্রয়োগ করতে চাইছে। এরতুগ্রুল ঠিক কী ধরনের রাজনৈতিক ও সামাজিক বার্তা দিচ্ছে, তা নিয়ে বিতর্কের জেরে সউদী আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মিশরে এই সিরিজগুলো এরই মধ্যে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আজারবাইজান-আর্মেনিয়ার সংঘাত কি বৃহত্তর যুদ্ধে রূপ নিতে পারে? এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে মিশরের সর্বোচ্চ ফতোয়া কাউন্সিল এক বিবৃতিতে এমনও বলেছে যে এই টেলি-ড্রামার মাধ্যমে তুরস্ক মধ্যপ্রাচ্যে তাদের নিজস্ব ‘প্রভাব বলয়’ তৈরি করার চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে পাশাপাশি তুরস্কের ঘনিষ্ঠ মিত্র দেশ পাকিস্তানে কিন্তু এরতুগ্রুল অসম্ভব জনপ্রিয় হয়েছে।

পাকিস্তানের রাষ্ট্রায়ত্ত পিটিভি এ সিরিয়ালটির প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে মিলে এরতুগ্রুলের জন্য আলাদা একটি ইউটিউব চ্যানেলও চালু করেছে, যেখানে উর্দু ডাবিংয়ে এই নাটকটির সব এপিসোড দেখা যায়। ওই ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা ৮৮ লাখেরও বেশি। গত জুন মাসে তুর্কী সংবাদ সংস্থা টিআরটি ওয়ার্ল্ড জানিয়েছিল, পাকিস্তানের লাহোর শহরে এরতুগ্রুল গাজীর দুটি মূর্তিও বসানো হয়েছে।
তবে এরতুগ্রুল সিরিজ নিয়ে খোদ তুরস্কের ভেতরেও কিন্তু বিতর্ক থেমে নেই। সে দেশে ‹ডিরিলিস : এরতুগ্রুল›-এর সমালোচকরা মনে করেন যে, এ সিরিজের মাধ্যমে সুকৌশলে যে মুসলিম জাতীয়তাবাদের বার্তা দেয়া হয়েছে, তা প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানকে তার ক্ষমতা সংহত করতে সাহায্য করছে। এমনকি, এ সিরিজের লেখক ও প্রযোজক মেহমেত বোজডাগ-ও প্রেসিডেন্টের জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। মি. এরদোয়ান নিজেও বহুবার প্রকাশ্যে এই সিরিজের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।

ভারতে যেভাবে সিরিজটি জনপ্রিয়তা পেল : গত মে মাসের মাঝামাঝি এরতুগ্রুলের প্রযোজক সংস্থা টিআরটি-র একজন সিনিয়র কর্মকর্তা, রিয়াদ মিন্টি একটি খুব ইন্টারেস্টিং টুইট করেন। গুগল ট্রেন্ডস থেকে নেয়া একটি গ্রাফ শেয়ার করে তিনি লেখেন, ‘ভারতীয়রা এখন ইউটিউবে শাহরুখ খানের চেয়েও অনেক বেশি সার্চ করছে এরতুগ্রুলের ভিডিও!’ ড. শাহীদ মিও কিন্তু এ পরিসংখ্যানে এতটুকুও বিস্মিত নন।
বিবিসিকে তিনি বলছিলেন, ‘এ সিরিজের বহু দর্শকের সঙ্গে কথা বলে আমরা যে ধারণাটা পেয়েছি, তাহলো এ মুহূর্তে মুসলিমরা ভারতে যে এক ধরনের নিরাপত্তাহীনতা ও অসহায়তায় ভুগছেন, সেই সঙ্কট থেকে তাদের একটা উত্তরণের স্বপ্ন দেখাচ্ছে এ সিরিজ’।

ভূমধ্যসাগরে যে কারণে চলছে গ্রিস-তুরস্ক দ্ব›দ্ব : ‘তাছাড়া ভারতীয় সিনেমায় বর্বর শাসক বা নৃশংস খুনী হিসেবে মুসলিম চরিত্রগুলোকে যেভাবে স্টিরিওটাইপিং করা হয়, তা সে সুলতান আলাউদ্দিন খিলজিই হোক বা মাফিয়া করিম লালা - সেখান থেকেও এটা একটা ‘রিফ্রেশিং’ পরিবর্তন।
‘মুসলিম চরিত্রগুলোকে যে পক্ষপাতশূন্য দৃষ্টিতে এভাবেও তুলে ধরা যায়, অবচেতনে সেটা আবিষ্কার করেও তারা বোধহয় এরতুগ্রুলে আরও বেশি হুকড হয়ে পড়েছেন’, বলছিলেন শাহীদ মিও। তার সহ-গবেষক অধ্যাপক ইকরামুল হক যোগ করেন, ‘ভারতের গ্রামেগঞ্জে বেশির ভাগ মুসলিম কিন্তু জানেন, তারা মুসলিম সমাজের উচ্চবর্ণের অংশ নন। তারা সৈয়দ বা শেখ বংশোদ্ভূত নন - বরং তারা নিজেদের ‘পাসমান্দাজ’ বলেই মনে করেন, উর্দুতে যার অর্থ হল পশ্চাৎপদ বা পিছিয়ে থাকা শ্রেণী’। ‘সেই সঙ্গে তারা এটাও জানেন, তাদের পূর্বপুরুষরা আফগানিস্তান, আরব বা তুরস্ক থেকে আসেননি। তারা ভারতেরই ভূমিপুত্র, যারা কয়েকশো বছর আগে ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন। কিন্তু আজকের এ সময়ে ভারতীয় মুসলিমদের মধ্যে নিজেদের ধর্মীয় পরিচয়টা সোজাসুজিভাবে ঘোষণা করার ঝোঁক বাড়ছে। রানা আইয়ুব, রানা সাফভী-র মতো অ্যাক্টিভিস্ট, যারা কোনও মতেই ফ্যানাটিক বা উগ্রবাদী নন - তারাও কিন্তু ঠিক একই জিনিস করছেন। একটা তুর্কী সিরিজ গোগ্রাসে গেলার মধ্যেও আমি সেই প্রবণতারই প্রতিফলন দেখছি’, -বলছিলেন ইকরামুল হক।

ভারতের হিন্দুরা কীভাবে দেখছে এরতুগ্রুলকে? : হায়দ্রাবাদের দু’জন গবেষকই জানাচ্ছেন যে, ভারতে হিন্দুদের মধ্যেও কিন্তু এই তুর্কী সিরিজটি কম জনপ্রিয় নয়। শাহীদ মিও আর ইকরামুল হক দু’জনের অভিজ্ঞতাই বলছে, তাদের হিন্দু বন্ধুবান্ধব-সহকর্মী বা পরিচিতজনদের মধ্যেও অনেকেই ‘ডিরিলিস: এরতুগ্রুল’ এরই মধ্যে আদ্যোপান্ত দেখে ফেলেছেন। তারা প্রায় প্রত্যেকেই বলেছেন, তুর্কী ইতিহাসের গল্পটা এখানে খুব বড় কথা নয় - এরতুগ্রুলের নাটকীয়তা, প্লট বা মেকিংয়ের জন্যই তারা এ সিরিজ মাঝপথে ছাড়তে পারেননি। তবে এরতুগ্রুলকে ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়াতে ভারতীয় ও পাকিস্তানিদের ধর্মীয় লড়াইও কিন্তু থেমে নেই।
ভারতের প্রথম সারির দৈনিক ‘দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া’ কিছুদিন আগেই রিপোর্ট করেছিল, এরতুগ্রুলকে কেন্দ্র করে প্রধানত ভারতের হিন্দুরা কীভাবে পাকিস্তানি মুসলিমদের সঙ্গে ধর্মীয় বিতর্কে জড়িয়ে পড়ছে। ‘অপইন্ডিয়া’ নামে ভারতের একটি হিন্দুত্ববাদী পোর্টাল স¤প্রতি লিখেছে, ‘পাকিস্তানিদের মতো এরতুগ্রুল দেখতে শুরু করে ভারতীয় মুসলমানেরা আসলে দেশের সঙ্গে বেইমানি করছেন’!

অপইন্ডিয়ার বক্তব্য ছিল, ‘এর মাধ্যমে ভারতীয় মুসলমানেরা আসলে তাদের হিন্দু ঐতিহ্যকে অস্বীকার করতে চাইছেন এবং তুর্কী বা আরব দুনিয়ার দিকে তাকিয়ে নিজেদের আইডেন্টিটি ক্রাইসিস ঘোচাতে চেষ্টা করছেন’। এ ধরনের ঢালাও অভিযোগ সত্তে¡ও ভারতে কিন্তু এরতুগ্রুলের আকর্ষণ ক্রমেই অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে। মুসলিমদের মধ্যে তো বটেই, এমনকি অল্প অল্প করে হিন্দুদের মধ্যেও। আর পাকিস্তানিরা সোশ্যাল মিডিয়াতে যা-ই দাবি করুন না কেন, ভারত সরকারও কিন্তু তা সে যে কোনও কারণেই না কেন হোক এ তুর্কী সিরিজটিকে এ দেশে নিষিদ্ধ করেনি। সূত্র : বিবিসি বাংলা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (7)
Dojoner Bondon ৮ অক্টোবর, ২০২০, ২:০৫ এএম says : 0
মাশাআল্লাহ
Total Reply(0)
Md Eliach ৮ অক্টোবর, ২০২০, ২:০৫ এএম says : 0
এই সিরিয়াল প্রচারের জন্য আমেরিকার বেশ কাজ করতেছে।
Total Reply(0)
Md Shekh Farid ৮ অক্টোবর, ২০২০, ২:০৯ এএম says : 0
আমার দেখা ইতিহাসের সেরা সিরিজ। এই রেকড ভাংগা প্রায় অসম্ভব! । প্রতিটি কথা যেন হৃদয়ে দাগ কাটে রক্তে আগুন ধরিয়ে দেয়, অন্ধ চোখ খুলে দেয়। এ যেন একটা নেশা।
Total Reply(0)
তামজীদ আহমেদ ৮ অক্টোবর, ২০২০, ২:১০ এএম says : 0
Right.রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যাপারে মুসলমানদের জ্ঞান বৃদ্ধি করবে, ওসমানীয় খেলাফতের উপরে নির্মিত এই সিরিয়াল।
Total Reply(0)
মুক্তিকামী জনতা ৮ অক্টোবর, ২০২০, ২:১১ এএম says : 0
আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ সিরিয়াল হচ্ছে দিরিলিস আর্তগোল আমি চাই এই সিরিয়াল সিজন 3 4 5 সিরিয়াল আছে বা আসবে সব বাংলা ভাষায় অনুবাদ করা হোক এই সিরিয়াল দেখে আমার মনে হচ্ছে যে আমি ইসলামের জন্য জিহাদ করতে যদি আমি আর্তগোল এর মত যদি নেতা পেতাম তাহলে ইনশাল্লাহ আমি ইসলামের জন্য যুদ্ধ করতাম
Total Reply(1)
alu ৮ অক্টোবর, ২০২০, ৪:৫০ পিএম says : 0
টিভি সিরিজ দেখলে জিহাদের সাহস হবেনা।আর এরতুগাল না আমাদের দরকার ওমর রাঃ এর মতো একজন নেতা।
নাজনীন জাহান ৮ অক্টোবর, ২০২০, ২:১২ এএম says : 0
আমার মনে হয় পৃথিবীতে দুই ধরনের মানুষ বাস করে ১| যারা দিরিলিস দেখেছে ২| যারা দিরিলিস দেখে নাই দুর্ভাগা তারা যারা এখনো দিরিলিস দেখে নাই উহহ কি দুঃসাহসিক এক ঐতিহাসিক কাহিনী আমার রাতের ঘুম হারাম করে দিয়েছিল এই সিরিজ, পুরো ৫ সিজনের প্রতিটি এপিসোড একটা আরেকটার চাইতে মজার
Total Reply(0)
হৃদয় ৮ অক্টোবর, ২০২০, ১১:২০ এএম says : 0
সারা দুনিয়ার শেরা সিরিয়াল এটা। কি নাই এই সিরিয়ালে? প্রেম ভালোবাসা,রোমান্টিকতা, যৃদ্ধ, থ্রিলার সব কিছুতে পরিপূ। মুসলিম অমুসলিম সবার কাছে ভালোলাগার মতো একটা সিরিয়াল। সত্যি অসাধারণ সত্যিচমৎকা। দি রিলিজ আরতুগ্রুল।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন