সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবেলাসহ দেশের আর্থসামাজিক এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

গতকাল বুধবার সকালে ৩৩ পদাতিক ডিভিশন, কুমিল্লা সেনানিবাসে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬টি ইউনিটের রেজিমেন্টাল কালার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
বক্তব্যের শুরুতে সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ ‘বঙ্গবন্ধ ও বাংলাদেশ’ এই দুটি নাম একে অপরের সমার্থক উল্লেখ করে বলেন, ৭১’র মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ঠ আহবানে সাড়া দিয়ে সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্য জনগণের সাথে একাত্ম হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল দেশকে দেশকে শত্রুমুক্ত করতে। যার ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। বক্তব্যে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতত্বে জাতির পিতার ‘সোনার বাংলা’ স্বপ্নের বাস্তবায়ন ঘটছে বলেও উল্লেখ করেন।

কুমিল্লা সেনানিবাসের এম আর চৌধুরী প্যারেড গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত কালার প্রদান অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী প্রধান রেজিমেন্টাল কালার প্রাপ্ত ইউনিট সমূহকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, রেজিমেন্টাল কালার প্রাপ্তি যে কোন ইউনিটের জন্য একটি বিরল সম্মান এবং পবিত্র আমানত। তিনি কর্মদক্ষতা, কঠোর পরিশ্রম ও কর্তব্যনিষ্ঠার স্বীকৃতি স্বরূপ প্রাপ্ত পতাকার মর্যাদা রক্ষা এবং দেশ মাতৃকার যে কোন প্রয়োজনে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে ইউনিট সমূহকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশনা প্রদান করেন।

সেনাবাহিনী প্রধান কালার প্যারেডে উপস্থিত সেনাবাহিনীর সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, মাতৃভূমির অখন্ডতা রক্ষা তথা জাতীয় যে কোন প্রয়োজনে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে সদা প্রস্তুত থাকতে হবে। তিনি সেনাবাহিনীর সকলকে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশমাতৃকার যে কোন প্রয়োজনে এগিয়ে আসতে নির্দেশনা প্রদান করেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৬ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ২৮ মিডিয়াম রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ২ ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়ন, ১২ ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়ন, ১০ আর ই ব্যাটালিয়ন এবং ৫ সিগন্যাল ব্যাটালিয়ন কালার প্যারেডে অংশগ্রহণ করে প্রধান অতিথি থেকে রেজিমেন্টাল পতাকা গ্রহণ করে। রেজিমেন্টাল কালার প্রদান উপলক্ষে সুশৃঙ্খল, মনোজ্ঞ ও বর্ণিল কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল আহম্মেদ তাবরেজ শামস চৌধুরীসহ উর্ধ্বতন সেনাকর্মকর্তারা।