শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

‘স্যার’ ডাকেনি এক সাংবাদিক ক্ষেপে গেলে সুনামগঞ্জের ইউএনও!

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৮ অক্টোবর, ২০২০, ৪:৩৬ এএম

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শফি উল্লাহ


‘স্যার’ না ডেকে ‘ভাই’ বলে সম্বোধন করায় এক সাংবাদিকের উপর বেজায় ক্ষেপেছেন সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের দায়িত্বরত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শফি উল্লাহ। ওই সাংবাদিক একটি সংবাদের প্রয়োজনীয় তথ্য নিতে যেয়ে কথার শেষে কল কেটে দেয়ার সময় বুধবার (৭ অক্টোবর) বিকেল ৩.৪৬ মিনিটে দিরাই উপজেলায় পরিবেশ ও হাওর ধ্বংসকারী প্লাস্টিকের ছাই দীর্ঘদিন ধরে অবাধে তৈরি করা হচ্ছে; এ বিষয়ে ইউএনও শফি উল্লাকে ফোন দেন স্থানীয় এক সাংবাদিক। পরিচয় দিয়ে বক্তব্য নিয়ে আসার পর ‘আচ্ছা ঠিক আছে, ধন্যবাদ ভাই’ বলে সাংবাদিক ফোন রাখেন। পরে দু’মিনিটের মধ্যেই ৩.৪৭ মিনিটে (০১৭৩০-৩৩১১১৩) এই নাম্বারে ফোন ব্রেক করে ইউএনও শফি উল্লাহ জিজ্ঞাসা করেন- ‘আপনি কোন পত্রিকায় কাজ করেন? (অথচ পূর্বেই এই প্রতিবেদক তার পরিচয় উপস্থাপন করেছিলেন)। প্রতিবেদক উত্তর দেন, ‘দৈনিক সিলেট মিরর পত্রিকায়’।
পরে তিনি বলেন, ‘একটি পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেন ইউএনও-কে ভাই ডাকতেছেন কেন?’ পরবর্তীতে ক্ষেপে গিয়ে শফি উল্লা আবারও বলেন, ‘ইউএনও-কে ভাই ডাকা যাবে না।’ তখন ওই প্রতিবেদক বলেন, ‘আমরা তো ডিসি সাহেবকেও শ্রদ্ধা রেখেই ভাই বলে সম্বোধন করি।’ তখন ইউএনও শফি উল্লা বলেন, ‘ডিসি সাহেবকে ডাকছেন- ডাকেন। কিন্তু আমাকে ভাই ডাকা যাবে না।’ এ ব্যাপারে ইউএনও শফি উল্লা’র সাথে রাতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে বিষয়টি স্বীকার তিনি বলেন, - ‘হয়তো এভাবে স্যার ডাকতে বলাটা ঠিক হয়নি। তবে তিনি (সাংবাদিক) তো আমার আত্মীয়ও না, পরিচিতও না। তাহলে ভাই ডাকবে কেন?’ এছাড়া এটা নিয়ে নিউজ করাটা কি ঠিক হচ্ছে বলে তিনি এ প্রতিবেদককে পাল্টা প্রশ্ন করেন। একজন সাংবাদিক তো আপনার অধিনস্থ কর্মচারি না; একজন মানুষ কিংবা দেশের নাগরিক হিসেবেই তো ভাই ডাকতে পারে, এখানে ভুল কোন জায়গায়; এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন- ‘আপনারা অনেকেই আমার কথা রেকর্ড করেন। আমি এ ব্যপারে আর কথা বলতে চাই না।’
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আহাদ বলেন- আমি তো সাংবাদিকদের সহকর্মীই মনে করি। আমরা তো কাউকে বলতে পারি না যে- আমাকে স্যার ডাকেন। এটা নিয়মের মধ্যেও পড়ে না।
এদিকে, চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ দুদক কার্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে বলেন, ‘আমরা চাই প্রজাতন্ত্রের কর্মচারিরা সেবাগ্রহীতা নাগরিকদের ‘স্যার’ সম্বোধন করবেন, নাগরিকরা না।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (4)
Nannu chowhan ৮ অক্টোবর, ২০২০, ৭:৩৪ এএম says : 0
Shonman jor kore neowa jaina, nijer bebohar chal cholone ebong joggotai shonman boye ane....
Total Reply(0)
Amir ৮ অক্টোবর, ২০২০, ১১:০৭ এএম says : 0
আমার মনে হয় বিসিএস পাশ করতে আপনার লেখাপড়া করতে হয়েছে: অতএব সংবিধানের ২১ এর-২ ধারা আপনার জানা থাকার কথা, কে কাকে স্যার বলবে সেটা এই ধারাটা পড়লেই বুঝতে পারবেন! Duties of citizens and of public servants21. (1) (2) Every person in the service of the Republic has a duty to strive at all times to serve the people.
Total Reply(0)
( প্রফেসর ড:) আহমদ আনিসুর রহমান ৮ অক্টোবর, ২০২০, ১২:৪৭ পিএম says : 0
দুনিয়ার সব সভ্য দেশেই সেবাগ্রহীতাদের সরকারী কর্মচারী কর্মকরতারা "স্যার" বলে সম্বোধন করে থাকে। তরুন বয়সে মার্কিন প্রেসিধেন্টের উপদেষ্টার সহকারী ছিলাম, অষ্ট্রেলিয়ায় পাবলিক সার্‌ভিসে কাজ করেছি, দুনিয়ার ৩৪টা দেশে থেকেছি, কাজ করেছি বা ভ্রমন করেছি - সবখানেই দেখেছি। সুপ্রীম কোর্টের সিনিয়র আাইনবিদ সলিসিটরও - সবখানেই দেখেছি। এককালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়িয়েছি - আমন্ত্রিত হয়ে সরকারী কর্মকর্তাদেরও ট্রেনিং-এও পড়িয়েছি - সবখানেই শিখিয়েছি, সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী সকলেই নাগরিকদেরকরের টাকায় বেতনভুক চাকর - সেভাবেই যেন নাগরিকদের সঙ্গ আদবের সঙ্গে কথা বলে, আচরণ করে। এই অল্পবয়ষ্ক বেআদব ছেলেটি ঐরকম একটি - ছোট হলেও - সরকারী চাকরীর পদ কিভাবে পেল? তবে অপরিচিত কর্মচারীদের সঙ্গ "ভাইয়ালী" না করাই ভাল। বিদেশে মিঃ অমুক বলে সম্বোধন করা হয় - আমুক সাহেব বললেই চলে। সরকারী কর্মচারীদের সঙ্গে ঘনিষ্টতামূলক আচরণও একটি সামাজিক রোগ - দুর্ণীতির রাস্তা খুলতে পারে। এক কালে দেশে জনপ্রিয় সম্মানিত সাংবাদিকও ছিলাম - বিদেশেও কিছু সাংবাদিতাও করি - কখনো শিক্ষক বা একেবারেই কদাচিত ঐরূপ অসাধারণ সম্মানীয় শিক্ষকস্হানীয় কাউকে ছাড়া কাউকেই "স্যার" বলিনি, নিজেও ছাত্র ছাড়া কাউকে আমাকে "স্যার" ডাকতে দেইনি।
Total Reply(0)
Abul hasan chowdhury ১১ অক্টোবর, ২০২০, ৭:২৯ এএম says : 0
Ami ekbar ek rugi niye Singapore giyesilam deklam dr unar chamber theke bariye ashe rugir waiting room e ashe rugi k bolen hello sir are you mr Rahman .how are you im dr Kim would you please come with me Sir .bole dr er chamber e niye gelen.abong pray 1 gonta unak kub valo kore deken ABONG kotay kotay patient k sir bole songbudon koren
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন