দেশে ধারাবাহিকভাবে সংঘটিত নারী নিপীড়ন, ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনায় ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। এ সংক্রান্ত বিচারের জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের আহবান তাদের। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এক মানববন্ধ থেকে এই দাবি জানান শিক্ষক নেতারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে বেলা ১১টায় ‘নারীর প্রতি সহিংতা, ধর্ষণ ও নির্যতনের প্রতিবাদ, দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে’ এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর নিজামুল হক ভুঁইয়ার সঞ্চালনায় ও সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রফেসর ড. লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে শিক্ষক নেতারা বক্তব্য দেন।
প্রফেসর ড. লুৎফর রহমান বলেন, ধর্ষকরা সংখ্যায় কম হলেও, তারা অত্যন্ত শক্তিশালী। তারা রাজনৈতিক এবং পেশী শক্তির মাধ্যমে এসব কাজ করে বেড়ায়। ধর্ষণের আইন সংশোধন করে সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকর করতে হবে, তাহলেই ধর্ষণের মাত্রা কমবে। ছাত্র সংগঠন, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো যেভাবে ধর্ষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে, সেভাবে আমাদের সবার জেগে উঠা উচিত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় সকল আন্দোলন সংগ্রামে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে, এই ধর্ষণের বিরুদ্ধেও আমরা সোচ্চার থাকব। ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত না হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলবে। ঢাবি শিক্ষক সমিতি সকল যৌক্তিক আন্দোলনে সজাগ থাকবে।
প্রফেসর নিজামুল হক ভুঁইয়া বলেন, আমাদের বাসায় মা,বোন, স্ত্রী আছে, আমরা তাদের সামনে মাথা তুলে কথা বলতে পারি না। আমি সরকারকে অনুরোধ করব ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তির পাশাপাশি শিক্ষা কারিক্যুলামে নৈতিকতা শিক্ষা দিতে হবে। নৈতিক জাতি গঠনে শিক্ষকদের দায়িত্ব নিতে হবে। আর কোনো ধর্ষণের ঘটনা ঘটতে দেখতে চাই না আমরা, এখানেই এই মহামারি শেষ হউক।
মানববন্ধনে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর সাদেকা হালিম বলেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা না হওয়ার কারণে, সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত না করার কারণে, ধর্ষণ আজ মহামারি আকারে দেখা দিয়েছে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হলেই এই ধর্ষণ ও নির্যাতন বন্ধ হবে বলে আমি মনে করি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন