শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

তিস্তা চুক্তির বিষয়ে অপেক্ষা করতে হবে

মতবিনিময়ে নতুন ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী

কুটনৈতিক সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৮ অক্টোবর, ২০২০, ১১:৩৫ পিএম

ভারতের সঙ্গে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তির বিষয়ে আরও অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির নতুন হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী। গতকাল বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করার সময় এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা জানান।
বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, তিস্তাসহ অন্যান্য বিষয়ে আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। এর আগে তিনি প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদের কাছে নিজের পরিচয়পত্র পেশ করনে। পরে সন্ধ্যায় গুলশানে ইন্ডিয়ান হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি মতবিনিময় সভা করেন।
সীমান্ত হত্যা সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, একটি মৃত্যুও কাক্সিক্ষত নয়। এ সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন দিক থেকে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আমি ও আমার দিক থেকে চেষ্টা করে যাবো। বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, বাংলাদেশ সবসময় ভারতের অত্যন্ত বিশেষ অংশীদার ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। আমাদের বন্ধুত্ব কৌশলগত অংশীদারিত্বের অনেক ঊর্ধ্বে। কারণ এ বন্ধুত্ব রচিত হয়েছে অভিন্ন ত্যাগ, ইতিহাস এবং সংস্কৃতি এবং আত্মীয়তার অনন্য সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে। বাংলাদেশকে ভারত সর্বোচ্চ স্তরের গুরুত্ব দেয় এবং এটি কখনোই হ্রাস পাবে না।
তিনি বলেন, আমরা খুব শিগগিরই প্লেন চলাচল শুরু করার জন্য আপনার সরকারের সহায়তায় একটি বিশেষ এয়ার বাবল ব্যবস্থা চালু করব। আমরা কোভিড মোকাবিলায় যৌথভাবে কাজ করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রত্যাশা পূরণে আমি এবং আমার সহকর্মীরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্থনৈতিক সাফল্য বা ক্রিকেট পিচে টাইগারদের অপ্রতিরোধ্য মনোবল যা-ই হোক না কেন সারাবিশ্ব বাংলাদেশকে নতুন সম্মানের সঙ্গে দেখছে। আমরা আপনাদের নিকটতম প্রতিবেশী হিসেবে এ উপযুক্ত স্বীকৃতিতে আনন্দিত।
বাংলাদেশের উন্নতির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, সামাজিক সূচকে উল্লেখযোগ্য উন্নতির জন্য বাংলাদেশ আজ সমানভাবে সম্মানিত। একইভাবে দক্ষিণ এশিয়ায় দ্রæততম গতিতে আপনাদের টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে আমরা অভিনন্দন জানাই। শুরুতে তিনি সবাইকে বাংলায় শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, আমি বাংলা ভালো বলতে পারি না, এজন্য দুঃখিত। তবে বাংলা বুঝতে পারি। বাংলাদেশে থাকতে বাংলা ভালো করে শিখে নেব।
দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমি স্বীকার করি, নিকটতম সম্পর্কেরও পরিচর্যা করা প্রয়োজন। আমার সরকার আমাকে ঠিক তাই করার নির্দেশ দিয়েছে। আমি এবং আমার সহকর্মীরা এই অংশীদারিত্বকে সর্বস্তরে প্রচার করতে কোনো সুযোগই ছাড়ব না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন