শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

বিদেশফেরত ৭৪ শতাংশ মানসিক চাপে

ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের জরিপ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০২ এএম

সউদী আরবসহ বিদেশে কর্মরত প্রবাসী শ্রমিকরা কাজে ফিরে যেতে টিকেটের জন্য যখন গদলঘর্ম; তখন প্রবাসী শ্রমিকদের নিয়ে ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে ব্রাকের এক গবেষণা প্রতিবেদনে। এতে বলা হয় বিদেশফেরত ৭৪ শতাংশ প্রবাসী প্রচন্ড দুশ্চিন্তা, মানসিক চাপ, উদ্বেগ ও ভীতির মধ্যে রয়েছেন। অভিবাসীদের এই উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা এবং মানসিক চাপ দূর করতে হলে তাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা জরুরি। গতকাল শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় সংস্থাটি। করোনাকালে ৫৫৮ জন বিদেশফেরত অভিবাসীর ওপর করা ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের এক জরিপে এই তথ্য উঠে আসে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ১০ অক্টোবর পালিত হয় বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘সবার জন্য মানসিক স্বাস্থ্য: মানসিক স্বাস্থ্যে অধিক বিনিয়োগ, অধিকতর সেবার সুযোগ।’ শারীরিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যও যে সমান গুরুত্বপূর্ণ এবং অভিবাসীদের মানসিক স্বাস্থ্যসেবা যে আলাদা গুরুত্বের দাবি রাখে; সে বিষয়ে জনসচেতনা তৈরিতে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে এবারের বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস পালন করেছে ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম। পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যসেবাও অব্যাহত আছে।

ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম জানায়, এরই অংশ হিসেবে দেশের অভিবাসনপ্রবণ ১২টি জেলায় ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের ১৫ জন প্রশিক্ষিত মনোসামাজিক কাউন্সেলরের মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা-বিষয়ক ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হয়েছে। এ ক্যাম্পেইনে কাউন্সেলরা বিদেশফেরত অভিবাসীসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক পরামর্শ দিয়েছেন। পাশাপাশি কারও যদি ব্যক্তিগত কাউন্সেলিংয়ের দরকার হয় তাহলে তাকে বিনামূলে স্বাস্থ্য সেবা দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া স্থানীয় পর্যায়ে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা বিষয়ক বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত পোস্টার ও প্ল্যাকার্ডের মাধ্যমেও সচেতনতামূলক বার্তা প্রচার করা হয়।

দিবসটি উপলক্ষে প্রবাসীদের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে সবাইকে নজর দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের প্রধান শরিফুল হাসান বলেন, সাধারণ মানুষজন শারীরিক সুস্থতার দিকে নজর দিলেও মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি একেবারেই উপেক্ষিত থাকে। বিশেষ করে অভিবাসীদের মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি আরও উপেক্ষিত। তারা বিচ্ছিন্ন বোধ করেন। নানা সংকটে থাকেন। করোনার এই সংকটকালে বিদেশফেরত লোকজনের সঙ্গে কথা বলে আমরা দেখেছি, তাদের অধিকাংশই মানসিক দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। ফলে বিদেশফেরতদের মানসিক স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা উচিত। এটি পরবর্তী সময়ে তাদের ঘুরে দাঁড়াতে সহায়তা করে।

বিদেশফেরত অভিবাসীদের জন্য ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের মানসিক স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম সম্পর্কে তিনি বলেন, গত তিন বছরে আমরা অন্তত দুই হাজার মানুষকে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা দিয়েছি। আর করোনার এ দুঃসময়ের মধ্যেই অন্তত তিন হাজার বিদেশফেরত অভিবাসী আমাদের টেলি-কাউন্সেলিং সেবা পেয়েছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন