শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

জনবলের অভাবে নেত্রকোনা আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন খামারে উৎপাদন ব্যাহত

নেত্রকোনা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১১ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০৮ পিএম

প্রয়োজনীয় দক্ষ জনবলের অভাবে নেত্রকোনা আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন খামারে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।
আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন খামার সূত্রে জানা যায়, হাঁসের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় বাচ্চা ফোটানোর লক্ষ্যে ২০০৭ সালে নেত্রকোনার রাজুর বাজার এলাকায় আড়াই একর জমির উপর এই খামার গড়ে তোলা হয়। সেখানে বর্তমানে ৯টি শেড রয়েছে। এর মধ্যে ৬টি লেয়ার শেড, ১টি গ্রোয়ার শেড ও ১টি ব্রুডার শেড রয়েছে। খামার এলাকায় শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ইনকিউবিটর মেশিন চালুসহ একটি ভবন, অফিস ভবন ও স্টাফ ডরমেটরী এবং ৮ টন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি গো-ডাউন রয়েছে। রোগ জীবানু যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে তার জন্য একটি শেড থেকে আরেকটি শেডের দূরত্ব নূন্যতম ৪০ ফুট থাকার নিয়ম থাকলেও খামারে বর্তমানে একটি শেড থেকে আরেকটি শেডের দুরত্ব ১০/১৫ ফুট রয়েছে। খামারে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ২টি পানির পাম্প রয়েছে। খামারে পানির ওভারহেড ট্র্যাংকি না থাকায় মেশিন চালুর পর পানি ওভার ফ্লু হয়ে ভবনের দেয়াল নষ্ট হচ্ছে।
আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন খামারের পোল্টি ডেভেলপমেন্ট অফিসার ডাঃ শিশির স্বপন চাকমা জানান, বর্তমানে খামারে উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে হলে ৯ জন শেড এটেডেন্সের মধ্যে ৪ জন আছে, আরো ৫ জন এটেডেন্সের প্রয়োজন। এছাড়াও ১জন পোল্টি টেকনিশিয়ান, ১জন হ্যাচারী টেকনিশিয়ানের এবং ১জন নাইট গার্ড প্রয়োজন।
তিনি আরো জানান, ২০২০-২০২১ইং অর্থ বছরে বাচ্চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭৫ হাজার আর ১ লক্ষ ৮০ হাজার ডিম উৎপাদনের জন্য হাঁস পালন করা হচ্ছে ৫ হাজার। চলতি অর্থ বছরের প্রথম তিন মাসে ডিম অর্জিত হয়েছে ৪০% আর বাচ্চা উৎপাদন করা হয়েছে ৩৩%।
ডাঃ শিশির স্বপন চাকমা আরো বলেন, খামারে উৎপাদিত বর্জ্য সঠিক ব্যবস্থাপনা না থাকায় খামারের আশপাশের আবাসিক এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। সরকার সুদৃষ্টি দিলে বর্জ্য গুড়িয়ে ফেলার ইনসিনাবেটর মেশিন স্থাপনের মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষা করা সম্ভব হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন