শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

রাজনৈতিক চাপ আমলে নয়

সাংবাদিকদের প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপার্সন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০০ এএম

সে যেই হোক, অন্যায় করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা। কোনো রাজনৈতিক প্রেসার (চাপ) এখানে বিষয় নয় বলে জানালেন বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপারসন মো. মফিজুল ইসলাম। তিনি বলেন, সরকারি আইনের কারণে কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা কমিশনের কাজ করতে সমস্যা হলে আমরা সরকারকে জানাবো। তবে মানুষের কাছে অপরিচিতি, জনবল সংকট ও প্রবিধি না থাকার কারণে কাজের ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও সমস্যা হচ্ছে। এর মাঝেও কমিশন কিছু পদক্ষেপও কিছুটা হলেও দৃশ্যমান করেছে।

রাজধানীর ইস্কাটনে প্রতিযোগিতা কমিশনে গতকাল ডেভলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের (ডিজেএফবি) সাংবাদিকদের অংশগ্রহণে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিতকরণ কর্মশালা তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালী যোগদান করে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন। বিভিন্ন বিষয়ের উপর উপস্থাপনা করেন প্রতিযোগীতা কমিশনের সদস্য যথাক্রমে জিএম সালেহ উদ্দিন, মো. আবদুর রউফ, ড. এএফএম মনজুর কাদির, অবৈতনিক পরামর্শক ব্যারিষ্টার মাফরুহা মারফি, পরিচালক এ্যাডভোকেসি পলিসি এন্ড আইআর বিভাগ মো. খালেদ আবু নাসের।

মো. মফিজুল ইসলাম বলেন, অনেকেই জানেন না প্রতিযোগিতা কমিশনের কাজ কি? অনেক সময় নিজের পরিচয় দিতেও ৩০ মিনিট সময় লাগে। এইভাবে আমরা বর্তমানে চলছি। তিনি বলেন, সুস্থ মার্কেট প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন নানা ধরণের কাজ করে যাচ্ছে। তবে আমাদের অনেকে এই কমিশনের বিষয়ে অবগত নয়। সাধারণ মানুষতো দূরের কথা অনেক শিক্ষিত সমাজ এমনকি সাংবাদিক ভাই বোনেরা কমিশন বিষয়ে অনেক কিছু জানেন না। কমিশনের চেয়ারপার্সন বলেন, আমরা বাঁচার জন্য ভোগ করি। ভোগের জন্য নানা পণ্য কিনতে মার্কেটে যাই। আমাদের জীবন মার্কেট কেন্দ্রিক। যে দেশের মার্কেট যতো বড়ো, সে দেশ ততো ধনী। বাজার নিয়ন্ত্রণে সুস্থ প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে সব ধরণের ব্যবস্থা নেব আমরা। মো. মফিজুল ইসলাম বলেন, বাজার একটা খেলার মাঠ তবে। এখানে খেলোয়ার হচ্ছে উৎপাদনকারী, ভোক্তা। আর সরকার বাজারের রেফারি। বাজারে অসুস্থ প্রতিযোগিতা হলে কমিশন আইন প্রয়োগ করবে। সুস্থ প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে সকল ধরণের ব্যবস্থা নেবো। অন্যথায় শাস্তির জন্য আইন প্রয়োগ করবো। পৃথিবীতে যাদের মার্কেট বড় তারা ধনী। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ। সরকারের নানা প্রচেষ্টায় মার্কেটের আকার বাড়ছে।

চেয়ারপার্সন বলেন, দুটি উৎস থেকে তথ্য নিয়ে আমরা ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। কেউ স্বপ্রণোদিতভাবে তথ্য দিলে আমরা ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। অন্যদিকে আমরা স্বপ্রণোদিত হয়ে, সাংবাদিক ভাই বোনদের রিপোর্ট দেখে পদক্ষেপ নিয়ে থাকি।

জিএম সালেহ উদ্দিন বলেন, প্রতিযোগীতা আইনের আওতায় মামলা নিষ্পত্তি সময়সাপেক্ষ। আবার জরিমানাও অনেক বেশি। ব্যবসা-বাণিজ্যকে সিন্ডিকেটমুক্ত করতেই এই কমিশনের সৃষ্টি।

মো. আবদুর রউফ বলেন, বাজারে ক্ষমতার বিস্তার করে অপব্যবহার হচ্ছে কিনা সেটা দেখার কাজ বিসিসির। ড. এএফএম মনজুর কাদির বলেন, ২০০৯ সালে আমাদের দেশে করা হয়। আর প্রতিযোগীতা আইন করা হয় ২০১২ সালে। আমাদের দুর্বলতা হলো এখনো আমাদের প্রবিধি করা হয়নি। ব্যারিষ্টার মাফরুহা মারফি বলেন, এটি হলো ভোক্ত স্বার্থ সুরক্ষা এবং একটি ব্যবসা বান্ধব আইন। আমরা চাই সুস্থ প্রতিযোগীতার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে। তিনি বলেন, এক্ষেত্রে আমাদের প্রয়োজন আরো দক্ষতা উন্নয়ন। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহযোগীতা এবং দক্ষতা সম্পন্ন জনবল।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন