শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ইবির জিয়া পরিষদকে বৃদ্ধাআঙ্গুল দেখিয়ে পরিষদ থেকে ১৭ শিক্ষকের পদত্যাগ

ইবি সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১২ অক্টোবর, ২০২০, ৩:২৩ এএম

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন ‘জিয়া পরিষদে’ ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়েছে। রোববার (১১ অক্টোবর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ১৭ জন শিক্ষক বর্তমান কমিটির নেতৃত্বের বিভিন্ন অসঙ্গতির অভিযোগ করে পদত্যাগ করেন। তবে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ১৭ শিক্ষকের নাম উল্লেখ করা হলেও নেই কারো স্মাক্ষর। পরিষদের নেতাদের দাবি শিক্ষকদের সম্মতি ছাড়াই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে অনেকের নাম দেয়া হয়েছে।

এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর ঐ শিক্ষকরা ১৩ জন সদস্য নিয়ে গঠন করে ‘সাদা দল’। এতে পরিষদের লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রফেসর ড. একেএম মতিনুর রহমানকে আহবায়ক ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রফেসর ড. শরফরাজ নেওয়াজকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।

এছাড়াও বাকি সদস্য হলেন, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সেলিম, প্রফেসর ড. আসাদুজ্জামান, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জুলফিকার হোসেন, কাজী মোস্তফা আঁরাফ, প্রফেসর ড. মুন্সী মুর্তজা আলী, প্রফেসর ড. এম এম শরিফুল বারী, প্রফেসর ড. মিনহাজ উল হক, প্রফেসর ড. রোকসানা মিলি, প্রফেসর ড, আবুল হোসাইন, প্রফেসর ড. নুরুল ইসলাম, প্রফেসর ড. মনজুর রহমান, প্রফেসর ড. আ ও ম আসাদুজ্জামান, সহযোগী অধ্যাপক ড. অনোয়ারুল ওহাব, সহযোগী অধ্যাপক ড. এস এম শফিকুল আলম, সহযোগী অধ্যাপক ড আতিকুর রহমান, সহযোগী অধ্যাপক দিলসাদ সুরমা।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘দীর্ঘদিন যাবত ইবি জিয়া পরিষদ চরম অনিয়ম, অগণতান্ত্রিক চর্চা, স্বেচ্ছাচারিতা এবং কতিপয় ব্যক্তির স্বার্থে ব্যবহৃত হয়ে আসছে, যা জিয়া পরিষদের আদর্শ ও উদ্দেশ্যের পুরোপুরি বিপরীত। ইবিতে এ সংগঠনটির বাস্তবিক পক্ষে দৃশ্যত কার্যকর কোন ভূমিকা নেই। প্রকারান্তরে বিশ্ববিদ্যালয়ের দূর্নীতিগ্রস্থ প্রশাসনেরই একটি অংশে পরিণত হয়েছে। কার্যকরী কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও অবৈধভাবে কতিপয় ব্যক্তি’র ইচ্ছা অনুযায়ী সংগঠনটি পরিচালিত হয়ে আসছে। এছাড়া শহীদ জিয়ার শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন ও বেগম জিয়ার কারাগার থেকে মুক্তির দাবিতে কোন কর্মসূচী পালন করেনি বর্তমান কমিটি। যা সাধারণ সদস্যদের মধ্যে চরম ক্ষোভ, অসোন্তষ এবং অনাস্থার জন্ম দিয়েছে।’

এদিকে জিয়া পরিষদের বর্তমান কমিটির দাবি, বর্তমান পরিষদ সভাপতির সাথে ড. মতিনুরের মতপার্থক্য রয়েছে। তাই এবছর পরিষদ থেকে বের হয়ে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে অংশ নেন ড. মতিন ও ড. শরফরাজ। নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত শিক্ষকরা পূর্ণ প্যানেলে অংশগ্রহন করে সাধারণ সম্পাদকসহ ৫জন শিক্ষক জয়লাভ করে। ড. মতিন স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করায় পূর্ণ প্যানেলে জয়লাভ করতে পারেনি তারা।

এবিষয়ে পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ড. তোজাম্মেল হোসেন বলেন, ‘বর্তমান কমিটির বিরুদ্ধে সাদা দলের যে অভিযোগ তা ভিত্তিহীন। অনেকে নিজের স্বার্থ সিদ্ধি ও প্রশাসনের কাছে সুযোগ নেয়ার জন্য এসব করছে। আর এখনো তারা কমিটিকে কোন পদত্যাগপত্র দেয়নি। এভাবে তো পদত্যাগ হয়না। তাছাড়া যেসব শিক্ষকের নাম দেয়া হয়েছে তাদের কাছেও তারা কোন সম্মতি নেয়নি।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন