প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় স্থিতাবস্থা ফেরাতে চিনের সঙ্গে লাগাতার আলোচনা চলছে। তার মাঝেই লাদাখ নিয়ে বেইজিংয়ের অভিযোগ, বেআইনিভাবে লাদাখকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করেছে ভারত। তাই তাকে স্বীকৃতি দেয় না চিন। সোমবার সীমান্ত এলাকায় মোট ৪৪টি সেতুর উদ্বোধন করেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। এর মধ্যে আটটি লাদাখ ও আটটি অরুণাচল সীমান্তে। এ নিয়ে চিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ানের কাছে প্রতিক্রিয়া চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘বেআইনিভাবে লাদাখকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করেছে ভারত। চিন একে স্বীকৃতি দেয় না। অরুণাচল প্রদেশকেও ভারতের অংশ হিসেবে মান্যতা দেওয়া হয় না। তাই সীমান্ত এলাকায় সামরিক বাহিনীর সুবিধার জন্য পরিকাঠামো উন্নয়নের ঘোর বিরোধিতা করছি আমরা’।
প‚র্ব লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনার দায় ভারতের-একথা বলে চিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের দাবি, সীমান্ত এলাকায় ভারতের সামরিক সজ্জা বৃদ্ধিই দুদেশের মধ্যে উত্তেজনার মূল কারণ। একইসঙ্গে তার আরজি, উত্তেজনা আরও বাড়াতে পারে এমন কোনও কাজ ভারতের করা উচিৎ নয়। এর আগেও একই ধরনের মন্তব্য করেছিল চিন। চিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন জানিয়েছিলেন, “চিন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে লাদাখকে মান্যতা দেয় না। ভারত বেআইনিভাবে এটিকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করেছে। ভারত-চিনের উত্তেজনা প্রশমন করতে দুপক্ষের মধ্যে দফায় দফায় বৈঠক চলছে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা ও ৩৫এ ধারার অবলুপ্তি ঘটায় কেন্দ্রের এনডিএ সরকার। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের ফলে জম্মু একটি এবং কাশ্মীর ও লাদাখ মিলে আরেকটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। এর আগে কাশ্মীর ও লাদাখ মিলে একটি রাজ্য ছিল। তবে বিশেষ মর্যাদা অনুযায়ী, তার নিজস্ব পতাকাÐসহ একাধিক সুয়োগ-সুবিধা ছিল। এদিকে লাদাখে চিনা আগ্রাসনেক কারণ হিসেবে ৩৭০ ধারা বিলোপকে দায়ী করেছেন কাশ্মীরের প্রাকতœ মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ। সূত্র : ভারতীয় মিডিয়া।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন