বাগেরহাটে পিতৃহারা ১৩ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ করে পরিচিত যুবক সহিদ। মেয়েটির মা অন্যের বাড়িতে কাজ করেন, সেই সুযোগের যুবক তাকে ঘরে ডুকে তাকে ধর্ষণ করে। পরে বিষয়টি জানতে পেরে শিশুর মা থানায় মামলা দায়েরের চেষ্টা করেন। কিন্তু এতে বাগড়া দেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান। উল্টো ওই নারীকে মারধর করে এবং পুলিশের ভয় দেখিয়ে নিজেই সালিশ করে রায় দেবেন বলে জানান। তার সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই ধর্ষকের সঙ্গে বাল্যবিয়ে দেওয়া হয় ভিকটিম শিশুকে। বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার নলধা-মৌভোগ ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মহসীনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ।
স্থানীয়রা জানান, সপ্তাহ দুইয়েক আগে ফকিরহাটের মৌভোগ গ্রামের সৈয়দ কাজীর ছেলে সহিদ (২২) একই এলাকার এক কন্যাশিশুকে (১৩) বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষণ করে।
বিষয়টি জানতে পেরে শালিস ডাকেন ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মহসীন। উল্টো মামলা দিয়ে জেল খাটানোর ভয় দেখিয়ে ধর্ষকের সঙ্গে শিশুটিকে বিয়ে দেওয়ার জন্য জোরপূর্বক মেয়ের মাকে রাজি করান। ধর্ষক সহিদের আরও এক স্ত্রী রয়েছে বলে জানা যায়।
ধর্ষণের শালিস কীভাবে করলেন- চেয়ারম্যান কাজী মহসীনের কাছে জানতে চাইলে বলেন, ‘ওসি এবং ইউএনওর সঙ্গে কথা বলেই আমি এ বিয়ে দিয়েছি।’ তবে তার কথার সত্যতা যাচাই করতে ফকিরহাট মডেল থানার ওসি আবু সাইদ খায়রুল আনামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি বলেন, ‘এমন বিয়ে ও ধর্ষণ সম্পর্কে আমি অবগত নই।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন