সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার ৩নং অলংকারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম রুহেল জেল হাজতে রয়েছেন। মহামান্য হাইকোর্টের ৬ সপ্তাহের জামিন শেষে গত মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) সিলেটের ভারপ্রাপ্ত জেলা জজ রবিউল আলম এর আদালতে হাজির হলে তাকে জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
অলংকারি ইউনিয়নের মনোকুপা গ্রামের ইউপি সদস্য ফজলু মিয়ার সাথে প্রতিপক্ষের সাথে জমি নিয়ে বিরুধ ছিল। এলাকার গণ্যমান্য শালিসানগণ বিষয়টি মিমাংশার চেষ্টা করেন এবং বেশ কয়েক লাখ টাকা চেয়ারম্যান রুহেলের নিকট জামানত রাখেন। কিন্তু চেয়ারম্যান রুহেল ২৪ জুন বিচার বৈঠকে উপস্থিত না হয়ে কৌশলে উপভপক্ষকে উত্তেজিত করে মারামারিতে ইন্দন দেন। এক পর্যায়ে চেয়াম্যানের উপস্থিতিতে তার সক্রিয় ভুমিকায় ফজলু মিয়ার ভাই সমজিদের মোতাওয়াল্লি মখলিস মিয়াকে খুন করা হয়। এ ঘটনায় মখলিস মিয়ার পুত্র মকরম আলী চেয়ারম্যান রুহেলকে প্রধান আসামি করে বিশ^নাথ থানায় একটি খুনের মামলা দায়ের করে। গত ২ সেপ্টেম্বর চেয়ারম্যান রুহেল মহামান্য হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের জামিন পাওয়ার পর ১৩ অক্টোবর সময় শেষ হয় এবং জেলা জজ আদালতে পূণরায় জামিনের আবেদন করলে, আদালত তা নামঞ্জুর করেন। চেয়ারম্যান রুহেল আরো দুটি খুনের মামলা সহ ১০১/১২টি মামলার আসামি ছিলেন। বর্তমারে তার বিরুদ্ধে খুন, জালিয়াতি সহ ৪টি মামলা বিচারাধীন আছে। চেয়ারম্যান রুহেল বেশ কিছুদিন পূর্বে গাজাসহ পুলিশ তাকে হাতেনাতে গ্রেফতার করেছিল। তার অত্যাচারে ইউনিয়ন বাসির পক্ষে সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়েছে। তার অপসারনের দাবিতে ইউনিয়নের কয়েকজন মেম্বার আবেদন করলে ৭দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের কথা থাকলেও বিশ^নাথ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রহস্যজনক কারনে দেড় মাসও তদন্ত রিপোর্ট দিচ্ছেন না। এলাকাবাসি রুহেলকে চেয়ারম্যানের পদ থেকে অপসারনের জন্য প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষন করছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন