শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ভুয়া সনদে প্রভাষক পদে চাকরি ৯ বছর

স্টাফ রিপোর্টার, কুষ্টিয়া থেকে : | প্রকাশের সময় : ১৫ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০২ এএম

কুষ্টিয়ার কুমারখালী সরকারি কলেজে ভুয়া সনদে প্রভাষক পদে দীর্ঘ ৯ বছর চাকরির পর জালিয়াতি ধরা পড়েছে। কলেজটি জাতীয়করণ ঘোষণার পর সনদ যাচাই-বছাইয়ে কলেজের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক সাবিরা খাতুনের নিবন্ধন সনদ ভুয়া প্রমাণিত বলে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) প্রিন্সিপালকে চিঠি পাঠিয়েছে। এছাড়া জালিয়াতির আশ্রয়ে ভুয়া সনদে চাকরির অপরাধে ওই প্রভাষকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কুমারখালী উপজেলা শহরের বেসরকারি ডিগ্রি কলেজটি ২০০৮ সালের ৮ আগস্ট জাতীয়করণ করা হয়। জাতীয়করণের পর শিক্ষকদের সনদ যাচাইয়ে আরবি ও ইসলামি শিক্ষা বিভাগের প্রভাষক সাবিরা খাতুনের নিবন্ধন সনদ ভুয়া প্রমাণিত বলে অতি সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয় আওতাধীন এনটিআরসিএর সহকারী পরিচালক তাজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ১৬৯৭ স্মারকে সনদ যাচাই সংক্রান্ত চিঠি গত ২৯ সেপ্টেম্বর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। এছাড়া কলেজের প্রিন্সিপালকে ইমেইলে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়। ভুয়া সনদে চাকরির অপরাধে ওই প্রভাষকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা গ্রহণেরও নির্দেশ দেয়া হয়। আরও উল্লেখ করা হয়, ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত ৪র্থ ব্যাচের নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ মর্মে সাবিরা খাতুনের দাখিলকৃত নিবন্ধন সনদের রোল নম্বর ২১৪১০৭৯৬, রেজিস্ট্রেশন নম্বর ৮০৫৫৯১১৪ যাচাইকালে সনদটি ভুয়া প্রমাণিত হয়। এছাড়া নিবন্ধন পরীক্ষায় তার প্রাপ্ত নম্বর ছিল ২৭ এবং তিনি ওই নিবন্ধন পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। সম্পূর্ণ জালিয়াতির আশ্রয়ে ভুয়া সনদে সাবিরা খাতুন ২০১১ সালের ২৪ ফেব্রæয়ারি প্রভাষক পদে কলেজে নিয়োগ লাভ করেন। এরপর ২০১১ সালের ১ মে তিনি এমপিভুক্ত হন। এমপিওভুক্তির পর থেকে দীর্ঘ নয় বছর ধরে অবৈধ পন্থায় সরকারি আর্থিক সুবিধা ভোগ করে আসছেন। তবে এনটিআরসিএর নির্দেশ মোতাবেক কলেজের প্রিন্সিপাল অভিযুক্ত প্রভাষকের বিরুদ্ধে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলা কিংবা আইনগত কোনো ব্যবস্থা গ্রহন করেননি।
এ বিষয়ে প্রভাষক সাবিরা খাতুনের মুঠোফোনে বার বার কল করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে তার স্বামী জাহিদ জানান, বিষয়টি শুনেছি, তবে কীভাবে কী হলো বুঝতে পারছি না। তিনি আরও বলেন, এক মাস সময় পেলেই আশাকরছি ঠিক করে নিতে পারবো।
কুমারখালী সরকারি কলেজের প্রিন্সিপাল মো. শরিফ হোসেন জানান, প্রভাষক সাবিরা খাতুনের নিবন্ধন সনদ ভুয়া সংক্রান্ত বিষয়টি এনটিআরসিএর ওয়েবসাইট মারফতে জেনেছি। তবে এ সংক্রান্ত কোনো চিঠি এখনও আমার হাতে এসে পৌঁছায়নি। চিঠি পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। কুমারখালীর থানার ওসি মামুনুর রশিদ বলেন, এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য বা নির্দেশনা পাইনি। তবে কলেজ কর্তৃক অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন