শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

সাজা বাড়িতেই, মানতে হবে ধর্মীয় অনুশাসন

সুনামগঞ্জে শিশু আদালতে ১০ মামলার রায়

সুনামগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৫ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০০ এএম

বখাটেপনা ও মাদক গ্রহণের দায়ে কারাগারে না পাঠিয়ে প্রবেশনে নিজ বাড়িতে থেকে ১৪ শিশুকে সাজা ভোগ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে একসঙ্গে ১০টি পৃথক মামলার রায়ে সুনামগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জাকির হোসেন এ আদেশ দেন।

সাজাপ্রাপ্ত শিশুদের অপরাধের মধ্যে রয়েছে- পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস করে টাকা গ্রহণ, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ছবি ভিকটিমের ছবির সঙ্গে সংযুক্ত করে ফেসবুকে ছড়িয়ে অশ্লীল ও মানহানিকর তথ্য প্রকাশ, পুলিশকে গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিলে বাধা প্রদান ও আসামি পলায়নে সহায়তা, শ্লীলতাহানি, লাঠি দিয়ে মারপিট, মাদক রাখা এবং জুয়া খেলা।

১০টি পৃথক মামলার বিভিন্ন ধারা পর্যালোচনা ও শুনানি শেষে আদালত একসঙ্গে দেয়া রায়ে অপরাধে জড়িত ১৪ জন শিশুকে নিজ বাড়িতে থেকে সাজা ভোগ করার আদেশ দেন। এ সময় তাদের পর্যবেক্ষণে রাখবেন প্রবেশন কর্মকর্তা শাহ মো. শফিউর রহমান।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) নান্টু রায় বলেন, আদালত ১০টি শিশু অপরাধের মামলায় একসঙ্গে যুগান্তকারী একটি রায় দিয়েছেন। আদেশে আদালত বলেছেন, প্রবেশনের সময় অপরাধে জড়িত শিশুদের বাবা-মায়ের আদেশ মানতে হবে এবং বাবা-মায়ের সেবাযত্ম করতে হবে। ধর্মীয় অনুশাসন মানতে হবে ও ধর্মগ্রন্থ পাঠ করতে হবে। তারা প্রত্যেকে কমপক্ষে ২০টি করে গাছ লাগাবে ও পরিচর্যা করবে। অসৎসঙ্গ ত্যাগ ও মাদক থেকে দূরে থাকতে হবে। ভবিষ্যতে কোনো অপরাধের সঙ্গে নিজেকে জড়াতে পারবে না।

প্রবেশন কর্মকর্তা শাহ মো. শফিউর রহমান বলেন, আদালতের উদ্দেশ্য হচ্ছে- শিশুদের কারাগারে না দিয়ে প্রবেশনের সময় পারিবারিক বন্ধনে রেখে সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা। প্রবেশন কর্মকর্তা এবং শিশুদের অভিভাবকরা নিবিড় তত্ত্বাবধানে রেখে ভবিষ্যতে যাতে শিশুরা অপরাধে না জড়ায় সেদিকে লক্ষ্য রাখা। জীবনের শুরুতেই যাতে শাস্তির কালিমা তাদের স্পর্শ না করে সেজন্য শাস্তি না দেয়া। সংশোধনাগারে অন্য যারা বিভিন্ন অপরাধে আটক আছে তাদের সংস্পর্শ থেকে দূরে রাখা। পরিবারের সংস্পর্শে রেখে শিশুদের স্বাভাবিক মানসিক বিকাশের ব্যবস্থা করা। সর্বোপরি শিশুর সার্বিক কল্যাণ সাধন করাই আদালতের উদ্দেশ্য।
আদালতের আদেশে আরও উল্লেখ করা হয়, প্রতি ৩ মাস পর পর আদালতে শিশু অভিযুক্তদের সম্পর্কে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। এদের মধ্যে কোন শিশু অভিযুক্ত প্রবেশনের শর্ত ভঙ্গ করে তবে তাকে সংশোধনাগারে পাঠানো হবে।

আদালত চলাকালে উপস্থিত ছিলেন, রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী সুনামগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট নান্টু রায়। শিশু অভিযুক্তদের আইনজীবীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট রুহুল তুহিনসহ অভিযুক্তদের আইনজীবীগণ, সুনামগঞ্জ সমাজসেবা অধিদফরের উপ-পরিচালক সুচিত্র রায়, জেলা প্রবেশন অফিসার শাহ মো. শফিউর রহমান, সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবে সভাপতি শাহজাহান চৌধুরীসহ সিনিয়র সাংবাদিকরা ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (5)
Yusuf samin ১৫ অক্টোবর, ২০২০, ৩:৫০ এএম says : 0
Very good verdict
Total Reply(0)
Jaker ali ১৫ অক্টোবর, ২০২০, ৩:৫২ এএম says : 0
dhormo manar kono bikolpo nai
Total Reply(0)
হক কথা ১৫ অক্টোবর, ২০২০, ৩:৫৪ এএম says : 0
ইসলাম অনুশাসন পারে কিশোরদের অপরাধ থেকে দূরে রাখতে
Total Reply(0)
লায়লা আফরোজ ১৫ অক্টোবর, ২০২০, ৩:৫৫ এএম says : 0
আসুন আমরা ইসলামের কাসে ফিরে আসি
Total Reply(0)
গিয়াস ১৫ অক্টোবর, ২০২০, ৩:৫৮ এএম says : 0
নবীজির আদরশে জীবন যাপন করলে এই ঘটনা ঘটে না
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন