বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সম্পাদকীয়

নিত্যপণ্যের বাজারে অসহায় ক্রেতা ব্যবসায়ীদের কারসাজি রুখতে হবে

মুনশী আবদুল মাননান | প্রকাশের সময় : ১৬ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০৭ এএম

নিত্যপণ্যের দাম অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। চাল, ডাল, তেল, আটা, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, আদা, রসুন, আলু, শাক-সবজিসহ সকল পণ্যের দাম বেড়েছে এবং প্রতিদিনই কিছু না কিছু বাড়ছে। এতে সাধারণ মানুষ রীতিমতো দিশেহারা হয়ে পড়েছে। বাজারের ওপর সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে ক্রেতা-ভোক্তারা। কিছুদিন আগে টিসিবি হিসাব দিয়ে বলেছিল, গত বছরের তুলনায় প্রায় প্রতিটি নিত্যপণ্যের দামই বেড়েছে। এখনো দাম বাড়া অব্যাহত আছে। এ সময় চালের দাম বাড়ার কথা নয়। তারপরও বাড়ছে। মোটা চাল প্রতি কেজি ৫০ টাকার কম নয়। মিনিকেট ও সমমানের চালের প্রতি কেজি ৫৮ টাকা। সব ধরনের ডালের দাম বাড়তি। চিকন মসুর ডাল কিছুদিন আগ পর্যন্ত প্রতি কেজি সর্বোচ্চ ১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এখন ১১০ থেকে ১২০ টাকা। সয়াবিন তেল প্রতি লিটারে ১০ টাকা বেড়ে হয়েছে ১১০ টাকা। আটা দুই কেজির প্যাকেট ৬৫ টাকা। পেঁয়াজের কেজি ১০০ টাকার নিচে নয়। মোটা পেঁয়াজ ৮০ টাকা। কাঁচামরিচ ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি, আদা ১৬০ টাকা কেজি, রসুন প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা। আলুর দামে বিস্ময়কর উল্লম্ফন ঘটেছে। প্রতি কেজি আলু এখন বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। ইতঃপূর্বে এত দামে পুরনো আলু কখনোই বিক্রি হয়নি। তরিতরকারির কেজি সর্বনিম্ন ৬০ টাকা, সর্বোচ্চ ১৬০ টাকা। বিভিন্ন ধরনের শাকের আঁটি ৩০ থেকে ৪০ টাকা। বাজার যেহেতু অস্থির ও ঊর্ধ্বমুখী তাই নিশ্চিত করে বলার উপায় নেই, বর্ণিত দামে আগামীকালও এসব পণ্য কেনা যাবে।

করোনাকালে দেশের অধিকাংশ মানুষের অবস্থাই খারাপ হয়ে গেছে। লকডাউনের সময় সবকিছু বন্ধ থাকায় অনেকেরই আয়-রোজগার বন্ধ হয়ে যায়, অনেকে চাকরি হারায়। লকডাউন উঠে গেলেও কোনো ক্ষেত্রেই সাবেক অবস্থা ফিরে আসেনি। এখনো লাখ লাখ মানুষের চাকরি নেই, কাজ নেই, আয়-রোজগারের বিকল্প উপায় নেই। তাদের অবস্থা এই দুর্মূল্যের বাজারে অত্যন্ত শোচনীয় ও সঙ্গীণ। মোটা চালের ভাত, একটু ডাল ও আলুভর্তা খাওয়ার সামর্থ্য এ মুহূূর্তে দেশের কত জনের আছে, সেটাই প্রশ্ন। হতদরিদ্র, দরিদ্র ও স্বল্প আয়ের মানুষই দেশে বেশি, অনানুষ্ঠানিক খাতে কাজ করে এমন লোকের সংখ্যা ৬ কোটির ওপর। তাদের সকলের আয়ে টান পড়েছে। আয় কমেছে নিম্নমধ্য ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ‘কোভিড-১৯ বাংলাদেশ: জীবিকার ওপর অভিঘাত ধারণা’, জরিপে বলেছে, করোনাকালের ৫ মাসে দেশের মানুষের আয় কমেছে ২০ শতাংশ। করোনার আগে প্রতি পরিবারের গড় আয় ছিল ১৯,৪২৫ টাকা, আগস্টে তা কমে দাঁড়িয়েছে ১৫,৪৯২ টাকায়। ৫ মাসে পরিবারপিছু আয় প্রায় ৪০০০ টাকা কমে যাওয়া মোটেই স্বাভাবিক ব্যাপার নয়। গড়ের হিসাবে একটা বড় রকমের ফাঁকিও থাকে। বেশির ভাগ পরিবারেরই মাসিক আয় ১৯,৪২৫ টাকা নয়। তাদের প্রকৃত মাসিক আয় এর চেয়ে অনেক কম। আবার আয়ের ওপর সবচেয়ে বেশি আঘাত তাদেরই পড়েছে।

বিবিএস জরিপে দেশের মানুষের আয় কমার তথ্য উঠে এলেও আয় প্রকৃতপক্ষে কাদের সবচেয়ে বেশি কমেছে, তা জানা গেছে অন্য একটি জরিপে। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা ‘পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার’ (পিপিআরসি) ও ‘ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টে’র (বিআইজিডি) এই জরিপে বলা হয়েছে, করোনার প্রভাবে দেশের ৭০ শতাংশ দরিদ্র মানুষের আয় কমেছে। অপর সরকারি সংস্থা ‘বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান’ (বিআইডিএস) বলেছে, করোনাকালে দেশে নতুন করে ১ কোটি ৬৩ লাখ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে গেছে। কর্মহীন মানুষ করোনাকালে বেকার বা কর্মহীন হয়ে পড়লেও এবং অনেকের আয় কমে গেলেও এই সময়ে কিন্তু তাদের ব্যয় মোটেই কমেনি, বরং বেড়েছে। গত কয়েক মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে। ফলে আয়-ব্যয়ের সঙ্গতি রক্ষায় তাদের ভোগ কমাতে হয়েছে। বিআইডিএস’র তথ্যে দেখা যায়, একজন দরিদ্র মানুষ যদি ১০০ টাকা আয় করে তবে তার মধ্যে ৬০ টাকাই খরচ করে নিত্যপণ্য কিনতে। পক্ষান্তরে একজন ধনী মানুষ যদি ১০০ টাকা আয় করে তবে তার নিত্যপণ্য কিনতে খরচ হয় ২৫ টাকা। অর্থাৎ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যাদির দাম বাড়লে দরিদ্রজনই সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়ে। এ প্রসঙ্গে বিআইডিএসের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনীন আহমেদের একটি বিশ্লেষণ উল্লেখ করা যেতে পারে। পত্রিকান্তরে তিনি বলেছেন, করোনার সময় মানুষের আয় ব্যাপকভাবে কমে গেছে। আয় কমলেও সেই হারে ব্যয় কমেনি। অনেকে চাকরি হারিয়েছেন, গ্রামে চলে গেছেন, তারপরও বেঁচে থাকার তাকিদে অন্য কোনো উপায়ে সংসার চালিয়েছেন। পণ্যের দাম যেভাবে বেড়েছে তাতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ।

নিত্যপণ্যের দাম বাড়লে আয়ের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি হয়। নির্ধারিত আয়ে ব্যয় সংকুলান কঠিন হয়ে পড়ে। এমত ক্ষেত্রে আয় যদি কমে কিংবা বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে পরিস্থিতি হয়ে পড়ে ভয়াবহ। আয় কমলে ভোগ্যপণ্য বা ভোগ কমাতে বাধ্য হতে হয়। যেখানে দুই কেজি চাল প্রয়োজন সেখানে কিনতে হয় দেড় কেজি কিংবা যেখানে দুই কেজি পেঁয়াজ প্রয়োজন সেখানে কিনতে হয় এক কেজি। এভাবে ভোগ কমিয়ে খরচ কমাতে হয়। ব্যক্তি বা পরিবারের ভোগ কমার পাশাপাশি অন্যান্য দিকেও এর প্রতিক্রিয়া হয়, যার একটি হলো জাতীয় প্রবৃদ্ধিতে টান পড়া। আবার যাদের ভোগব্যয়ের ক্ষমতা নিঃশেষ হয়ে যায়, তাদের পক্ষে অনাহারে থাকা ছাড়া উপায় থাকে না। এ মুহূর্তে কত মানুষ যে অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটাতে বাধ্য হচ্ছে, কেউ বলতে পারে না।

করোনার প্রকোপে সরকারের উন্নয়নভাবনা, জনকল্যাণপ্রয়াস ও সামাজিকসুরক্ষাব্যবস্থা প্রশ্নের মুখে পড়েছে। উন্নয়ন যে টেকসই হয়ে ওঠেনি, জনকল্যাণপ্রয়াস যে অসম্পূর্ণ এবং সামাজিকসুরক্ষাব্যবস্থা যে অপ্রতুল, সেটা স্পষ্টভাবে প্রতিভাত হয়েছে। সুষ্ঠু বাজারব্যবস্থাও যে আমরা গড়ে তুলতে পারিনি, তা আগের মতো এবারও প্রমাণিত। অথচ বাজারের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ থাকলে, উৎপাদনক্ষেত্র থেকে ভোক্তা পর্যন্ত পণ্য পৌঁছানোর মসৃণ ব্যবস্থা থাকলে এবং বাজারে অস্থিতিশীলতা সৃজনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার সক্ষমতা থাকলে বাজার পরিস্থিতি কখনই এমনটা হতে পারত না।

শুরুতে উল্লেখ করা হয়েছে, এখন চালের দাম বাড়ার কথা নয়। তারপরও বাড়ছে। সরকার দাম নির্ধারণ করে দিয়েও দামের এই ক্রমবৃদ্ধি রুখতে পারছে না। গত ২৯ সেপ্টেম্বর খাদ্যভবনে চালকলমালিক, পাইকারি ও খুচরা চাল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে খাদ্যমন্ত্রীসহ মন্ত্রণালয়ের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিবর্গের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে মিলগেটে উৎকৃষ্ট মানের মিনিকেট চাল প্রতি কেজি ৫১ টাকা ৫০ পয়সা ও মাঝারি মানের মিনিকেট চাল প্রতি কেজি ৪৫ টাকা ৫০ পয়সা দরে বিক্রির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সিদ্ধান্তটি অতঃপর কার্যকর না হওয়ায় এর কারণ জানতে চাইলে খাদ্যসচিব জানান, খাদ্যমন্ত্রণালয়ের কাজ মিলগেটে দর নির্ধারণ করে দেয়া, সেটা আমরা করেছি। পাইকারি ও খুচরা বাজারে দাম নির্ধারণ করার এখতিয়ার কৃষিমন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সংস্থা কৃষি বিপণন অধিদফতরের। পরবর্তীতে এ সংস্থা পাইকারি ও খুচরা দাম নির্ধারণ করে দেয়। সে মোতাবেক উৎকৃষ্ট মানের মিনিকেট প্রতি কেজি ৫৬ টাকা এবং মাঝারি মানের মিনিকেট ৪৯ টাকা ৫০ পয়সা দরে বিক্রি করার কথা। কিন্তু বাজারে তার চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। অথচ এসব দেখার কেউ নেই।

চাল নিয়ে এই চালবাজি কেন, প্রশ্ন সেটাই। খাদ্যমন্ত্রীর মতে, একশ্রেণির অসাধু চালকলমালিক অবৈধভাবে সব চাল মজুদ করে রাখায় চালের বাজারে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হয়েছে। তিনি নাকি এমন ৫০টি মিলের খোঁজ পেয়েছেন, যারা কমপক্ষে ২০০ মণ ৩ হাজার টন পর্যন্ত ধান মজুদ করেছে। মন্ত্রী যদি বিশ্বাস করেন, চালকলমালিকদের কারসাজির কারণে চালের বাজার অস্থির হয়েছে এবং তার সঙ্গে তাদের চাল মজুদের সুনির্দিষ্ট তথ্য আছে, তবে তিনি এখনো তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেননি কেন? বেশি লাভের আশায় চাল-ধান মজুদ করা এবং দাম বাড়িয়ে দেয়া শুধু অন্যায় নয়, অপরাধও বটে। সে ক্ষেত্রে যথোচিত ব্যবস্থা নেয়ার এখতিয়ার অবশ্যই সরকারের আছে। সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন, সে প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে দেখা যাবে, সরকারও চালকলমালিকদের কাছে জিম্মি হয়ে আছে। সরকার প্রতি বছর যে চাল-ধান সংগ্রহ করে তার প্রায় পুরোটা চালকলমালিকদের কাছ থেকে করে। সরকার চাল-ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে কিন্তু সেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের বিষয়টি নির্ভর করে চালকলমালিকদের সদিচ্ছার ওপর। গত মওসুমে চাল-ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১৯ লাখ টন। সংগ্রহসময় বাড়িয়েও সংগ্রহ ১০ লাখ টনের বেশি হয়নি। অথচ ধানের উৎপাদন হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার অনেক বেশি। তাহলে ধান গেল কোথায়? এর সহজ উত্তর হতে পারে: আড়তদার ও চালকলমালিকদের গুদামে। চাল-ধানের সংগ্রহ, মজুদ ও বিক্রয় একটি শ্রেণি বা গোষ্ঠির হাতে ন্যস্ত হওয়ার কারণেই সৃষ্টি হয়েছে আজকের এই দুর্গতি। চালের বাজারের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ চালকলমালিকদের হাতে থাকলে কখনই চালের বাজার স্থিতিশীল হবে না। সরকারের চাল-ধান সংগ্রহ লক্ষ্যও অর্জিত হবে না। বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকতার, তাই সরকারকে এর সুরাহায় অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

পেঁয়াজের কেজি এখন ১০০ টাকা বা ৮০ টাকায় স্থিতিশীল। এর আগে দাম ছিল যথাত্রমে ৪০ ও ৩০ টাকা। ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়ায় এ পরিস্থতি দেখা দিয়েছে, তা মানতে অনেকেই রাজি নয়। ভারতের রফতানি নিষিদ্ধের আগেও পেঁয়াজের যথেষ্ট মজুদ ছিল, নিষিদ্ধের পরও অন্যান্য দেশ থেকে প্রয়োজনীয় পেঁয়াজ আমদানির পর্যাপ্ত সময় পাওয়া গেছে। তা সত্তে¡ও পেঁয়াজের দাম কমছে না কেন? এখানেও ব্যবসায়ীদের কারসাজি সক্রিয়, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।

আলুর প্রসঙ্গও উল্লেখ করতে হয়। দেশে প্রতি বছর প্রয়োজনের অতিরিক্ত আলু উৎপাদিত হয়। গত মওসুমে দেশে আলু উৎপাদিত হয়েছে ১ কোটি ৯ লাখ টন। আর বছরে দেশে আলুর চাহিদা ৭৭ লাখ টন। তাই আলুর সংকট হওয়ার কথা নয়। কিন্তু হয়েছে এবং অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণেই। ব্যবসায়ীরা কতটা বেপরোয়া ও সংঘশক্তিতে বলীয়ান যে, সরকার আলুর দাম খুচরা বাজারে প্রতিকেজি ৩০ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও এই দামে কোথাও আলু বিক্রি হচ্ছে না। চালকলমালিকরা যেমন সরকারকে পাত্তা দেয়নি, আলুর কারবারিরাও তেমনি দেয়নি।

যে কোনো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য মজুদ করে দাম বাড়িয়ে যথেচ্ছ মুনাফা লুটে নেয়া এ দেশের অধিকাংশ ব্যবসায়ীর স্বভাবে পরিণত হয়েছে। এ স্বভাব যে মানবিক নয় তা বলাই বাহুল্য। ইসলামে এ ধরনের মজুদ, দাম বাড়ানো এবং অস্বাভাবিক মুনাফা-শিকার সমর্থন করে না। অথচ অধিকাংশ ব্যবসায়ীই মুসলমান। অসাধু সিন্ডিকেট ও লুটেরা ব্যবসায়ীরা যদি স্বেচ্ছায় তাদের স্বভাব ও প্রবণতার পরিবর্তন না ঘটায়, তবে সরকারকে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। এই সঙ্গে সকল নিত্যপণ্যের উৎপাদন, আমদানি, সরবরাহ ও বিপণন সহজ, মসৃণ, হস্তক্ষেপমুক্ত করে বাজারব্যবস্থার উন্নয়ন সাধন করতে হবে। পণ্যমূল্যের কাছে সাধারণ কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। অসহায় হয়ে পড়েছে। তাদের এ অবস্থা থেকে দ্রুত উদ্ধার করতে হবে। চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজ, আলু ইত্যাদির দাম যেহেতু বেশি, তাই কম দামে এসব পণ্য বিক্রির ব্যবস্থা করতে হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন