রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইসলামী জীবন

দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম

প্রশ্ন : সুন্নত নামাজ সব সময় ছেড়ে দিলে কী ধরনের গুনাহ হয়?

| প্রকাশের সময় : ১৬ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০৭ এএম

উত্তর : সুন্নত নামাজ দুই প্রকার। ০১. সুন্নতে মুআক্কাদাহ, ২. সুন্নতে জায়েদাহ। সুন্নতে জায়েদাহ ছেড়ে দিলে গুনাহ হয় না। এটি মুস্তাহাবের মতো। পড়লে সওয়াব, না পড়লে গুনাহ নেই। যেমন আসরের আগের চার রাকাত সুন্নত। সুন্নতে মুআক্কাদাহ অর্থ যেসব সুন্নত নামাজ নবী করিম সা. কখনোই ছাড়েননি। এর মর্যাদা প্রায় ওয়াজিবের মতো। যা ছাড়লে গুনাহ হয়। এসব সুন্নত ছাড়লে গুনাহ কী ধরনের হয় এ প্রশ্নের আগে এসব পড়লে সওয়াব কী পরিমাণ হয় তা ভাবা দরকার। কারণ, গুনাহর ভয়ে নামাজ পড়ার চেয়ে বা সওয়াবের জন্য তা আদায় করার চেয়ে বেশি গুরুত্ব এ জন্যই দিতে হয় যে, নবী করিম সা. সারাজীবন এসব নামাজ এত গুরুত্ব দিয়ে কেন পড়লেন। পাঁচ ওয়াক্তের সাথে যে জরুরি সুন্নত নামাজগুলো রয়েছে সে সম্পর্কে নবী করিম সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি পাঁচ ওয়াক্তের সুন্নতে মুয়াক্কাদাহগুলো নিয়মিত আদায় করবে, তার জান্নাতে প্রবেশের ক্ষেত্রে বাধা কেবল তার মৃত্যু। এ জন্যই দুনিয়ার সব সাহাবি, তাবেয়ি, তাবে তাবেয়ি ও সকল পরহেজগার বান্দারা এসব সুন্নত নিয়মিত জীবনভর পড়েছেন। তবে কোনো কারণবশত মাঝে মধ্যে এসব সুন্নত ছুটে গেলে কাজা করতে হয় না। কঠিন কোনো গুনাহও হয় না। কিন্তু পড়ার মধ্যে যে ফজিলত রয়েছে কোনো বুদ্ধিমান মানুষ ইচ্ছা করে এসব ছাড়তে পারেন না। হাদিস শরিফে এমনও এসেছে, হাশরের দিন বান্দার ফরজ নামাজে কিছু ত্রুটি থাকলে তা অন্যান্য নামাজ থেকে পূরণ করা হবে। অতএব, ফরজ ছাড়াও সব সুন্নত ও যথাসম্ভব অধিক নফল নামাজ নিজের আমলনামায় রাখা প্রত্যেকেরই কর্তব্য।
প্রশ্ন : আমার ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব। তবে আমি মহিলা ও কিছুটা অসুস্থ। পরিবারের ছেলেমেয়েরা কোরবানি করার মতো সাহস রাখে না। ঝামেলা সামলানোর মতো কেউ নেই। এখন কি পশু কোরবানি না করে টাকা দান করে দিলে চলবে?
উত্তর : যার ওপর কোরবানি ওয়াজিব, তাকে পশু কোরবানিই করতে হবে। টাকা দান করলে কোরবানি আদায় হবে না। ঝামেলা সামলানোর মতো কেউ না থাকলে কোনো আত্মীয় স্বজনকে দায়িত্ব দিয়ে দিতে পারেন। সুযোগ থাকলে শরিক কোরবানি দিলে নিজেদের ঝামেলা পোহাতে হয় না। এরপরও ইচ্ছে করলে কোনো মাদরাসায় কোরবানির পশু পাঠিয়ে দিতে পারেন। সব ঝামেলা তারাই করবে। আপনার চাহিদা মতো গোশতও আপনার কাছে পৌঁছে দেবে তারা। এসবও যদি কঠিন মনে হয়, তাহলে কোনো গরিব মানুষ, গ্রামবাসী দরিদ্র বা এতিমখানায় পশুটি উপহার হিসেবে দিয়ে দিন। দান করবেন না, তাহলে কোরবানি হবে না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন