বাউফলের ৬৪ নং মধ্য মদনপুরা এবং ১৯৮ নং কনকদিয়া এসএস মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ইট সুরকি লোপাট করা হয়েছে। কনকদিয়া ইউনিয়নের এক প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে ওই ইট সুরকি লোপাট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ওই বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক শাহীন শরীফ অভিযোগ করে বলেন, জসীম উদ্দিন নামের স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যক্তি বিদ্যালয়ে প্রবেশপথের ইট সুরকি তুলে নেয়ার পর থেকে শিক্ষার্থীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। এছাড়া ওই পথে থাকা একটি পাবলিক টয়লেটের কারণে বিদ্যালয়ের পরিবেশ বিষিয়ে উঠেছে। তিনি সড়কটি পূণরায় নির্মাণের দাবী জানিয়েছেন।
এদিকে মধ্য মদনপুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২টি ভবন ভেঙে ইট সুরকি বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। কয়েক দিন আগে ওই বিদ্যালয়ে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে একটি ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হয়। পুরানো ১টি সেমি পাকা ও ১টি পাকা ভবন ভেঙে নেয় নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের লোকজন। নতুন ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে জড়াজীর্ন পুরানো ভবন নিলামে বিক্রির নিয়ম। কিন্তু ওই বিদ্যালয়ের পুরানো ২টি ভবন নিলাম ছাড়াই ভাঙা হয়েছে। আর ভেঙে নেয়ার পর ইট সুরকি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।
ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুল কবির বলেন, ‘এক টুকরো ইট সুরকি বিক্রি করা হয়নি। পুরানো ইট সুরকি সব স্তুপ করে রাখা আছে।’ তবে নিলাম ছাড়াই ২টি ভবন ভাঙার বিষয়ে তিনি কোন সন্তোষজনক তথ্য দিতে পারেননি। এ প্রসঙ্গে বাউফল উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রিয়াজুল হক বলেন, তদন্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন