শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন পূরণে কাজ করছে ঢাকা ওয়াসা

৯০ ভাগ পানি বিশুদ্ধ : এমডি তাকসিম এ খান

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০৫ এএম

সুপেয় পানি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন পূরণে ঢাকা ওয়াসা সর্বদা কাজ করে যাবে। ওয়াসার মাধ্যমে ঢাকা শহরে যে পানি সরবরাহ করা হয়ে থাকে তার ৯০ শতাংশ পানি বিশুদ্ধ বলে জানিয়েছেন ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান।

গতকাল শুক্রবার দুপুরে ঢাকা ওয়াসার বুড়িগঙ্গা হলে ঢাকা ওয়াসার গত ১০ বছরের অর্জন ও আগামী ৩ বছরের পরিকল্পনা তুলে ধরেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান। পাইপের মাধ্যমে সরবরাহের কারণে অনেক সময় পানি দূষিত হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া বাসা বাড়িতে যে রিজার্ভ ট্যাঙ্কি ও ছাদের ট্যাঙ্কেও ময়লা জমে পানি দূষিত হচ্ছে। ঢাকা ওয়াসা রাজধানীতে একটি জরিপ চালিয়েছে। সেই জরিপে দেখা গেছে- ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পানি বাসা বাড়ির ট্যাঙ্কি পরিষ্কার না করার কারণে দূষিত হয়েছে বা জীবাণু পাওয়া গেছে। আবার অনেক সময় পাইপলাইনের মাধ্যমে দূষিত পানি ঠুকে গেছে। এ অবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে নানারকম কার্কক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। আগামী ২০২৪ সালের মধ্যে শতকরা ৭০ ভাগ ভূউপরিস্থ পানির উৎস থেকে এবং শতকরা ৩০ ভাগ ভ‚গর্ভস্থ পানির উৎস থেকে সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য ঢাকা ওয়াসা কাজ করছে।

এমডি তাকসিম বলেন, বর্তমানে ঢাকা ওয়াসা ২২৫ কোটি লিটার পানি প্রতিদিন সরবরাহ করছে। এর বিপরীতে ২০০ কোটি থেকে ২১০ কোটি পানির চাহিদা রয়েছে। ঢাকা ওয়াসার সিস্টেম লসের পরিমাণ ২০ শতাংশ যা অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম।

ঢাকা ওয়াসা যে ডিএমএ (ডিভিশন মিটার এরিয়া) সিস্টেম চালু করেছে তাতে ৫ থেকে ৭ পার্সেন্ট সিস্টেম লস রয়েছে। রাজধানীতে ১৪৪টি ডিএমএ এর মধ্যে ৬০টির কাজসম্পন্ন হয়েছে। ৮৪টির বাস্তবায়নের কাজ চলছে। ভবিষ্যতে আরো বাড়বে।

তাকসিম এ খান বলেন, ঢাকা শহরে মাত্র ২০ শতাংশ এলাকার পয়ঃব্যবস্থাপনা ঢাকা ওয়াসাসম্পন্ন করতে পারে। নগরীর পয়ঃশোধনের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ঢাকা ওয়াসা মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন করেছে। সে অনুযায়ী ২০২৬-২৭ সালের মধ্যে শহরের শতভাগ পয়ঃসেবার আওতায় আনার জন্য ৫টি পয়ঃশোধনাগার নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে। এর মধ্যে পাগলা পয়ঃশোধনাগারের ক্ষমতা বৃদ্ধি প্রকল্প চলমান রয়েছে। দাশেরকান্দি পয়ঃশোধনাগার প্রকল্পের কাজ শেষের দিকে। ওয়াসার এমডি বলেন, ঢাকা শহরের ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা মূলত সাতটি সংস্থা করে থাকে। সেজন্য সমন্বনয়হীনতা লক্ষ্য করা যায়। তাই ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনার কাজটি সিটি করপোরেশনকে দেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। একটি সংস্থা কাজ করলে কোনো দোষারোপ চাপানো বা সমন্বয়হীনতা আর থাকবে না। ঢাকা ওয়াসা এখন ডিজিটালি অপারেট করছে। ই-সেবা চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ঢাকাবাসী উপকৃত হচ্ছেন। ই-বিলিং, ই-জিপি, পয়ঃসংযোগ, ই-নথি এবং ই-রিক্রুটমেন্ট করে ডিজিটাল ঢাকা ওয়াসায় যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে।

তিনি বলেন, করোনার সময় কেউ যখন করে হচ্ছিল না তখনও ঢাকা ওয়াসা ননস্টপ সার্ভিস দিয়ে গেছে। একটি দিন নয় বরং একটি সময়ের জন্যও পানি বন্ধ করা হয়নি। এর বাইরে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামীতেও যাতে ঢাকা ওয়াসা সফলতার সাথে এগিয়ে যায় সে লক্ষ্যে কাজ করছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Nadim ahmed ১৭ অক্টোবর, ২০২০, ১:৫৫ পিএম says : 0
Ore Chamcha, PM ar shopno ki tui janish?
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন