পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় নিরাপত্তা ও কৌশলগত নীতি পরিকল্পনা বিষয়ক বিশেষ সহকারি (এসএপিএম) ড. মুঈদ ইউসুফ শুক্রবার বলেছেন যে অবৈধভাবে অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে ভারত এক কঠিন পরিস্থিতিতে আটকা পড়েছে। তারা এখন কি করবে সেটা ভেবে পাচ্ছে না। এই সংবাদ সংস্থার সঙ্গে এক বিশেষ সাক্ষাতকারে ড. ইউসুফ বলেন, ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট ভারত জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে। সেটা এখন প্রত্যাশিতভাবেই উল্টা ফল বয়ে এনেছে। বাস্তবক্ষেত্রে সব দিক দিয়েই কাশ্মীরকে হারিয়েছে নয়াদিল্লী। তিনি বলেন, কাশ্মীরের ভবিষ্যত হলো কাশ্মীরীদেরকে ন্যায্য অধিকার ও আত্ম-নিয়ন্ত্রণ প্রদানের জন্য জাতিসংঘের প্রস্তাব অনুযায়ী ভারতকে গণভোটের আয়োজন করতে হবে। এই সমস্যার আর কোন কার্যকর সমাধান নেই। ভারতের সঙ্গে যেকোন সংলাপে পাকিস্তানের পূর্বশর্তের ব্যাপারে ড. ইউসুফ বলেন, ভারতকে দেয়া পূর্বশর্তের একটি তালিকা রয়েছে। সেগুলো পূরণ করে আলোচনায় বসুন এবং কথা বলুন যেন দুটি দেশ সামনে এগিয়ে যেতে পারে। চলতি সপ্তাহের গোড়ার দিকে ভারতীয় সাংবাদিক করন থাপারের সঙ্গে এক সাক্ষাতকারে ড. ইউসুফ কাশ্মীরসহ ভারতের সঙ্গে সব সমস্যা মিটিয়ে ফেলতে ‘অর্থবহ আলোচনায়’ বসার জন্য পাঁচটি পূর্বশর্ত দেন। তিনি বলেন, ভারত যদি কাশ্মীর নিয়ে আলোচনায় আন্তরিক হয় তাহলে এসব শর্ত পূরণ করতে হবে। আলোচনা জন্য ভারতের যে কোন প্রস্তাবে প্রথম প্রশ্ন তারা আন্তরিক কিনা এবং তারা এসব পূর্বশর্ত পূরণ করবে কিনা। ড. ইউসুফের মতে, ৭৩-বছর পুরনো বিরোধ নিস্পত্তির জন্য পাকিস্তান তার নীতিতে অটল রয়েছে। সে অধিকৃত কাশ্মীরে রাতারাতি কোন পরিবর্তন চায় না। তবে ভারত বিশ্বের কাছে যে কাহিনী প্রচার করতে চাচ্ছে পাকিস্তান মরিয়া হয়ে তা প্রতিরোধ করছে। তিনি বলেন, এ নিয়ে ভারত যে ধরনের চাপে পড়েছে এবং পশ্চিমা মিডিয়ায় এ নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে যে নেতিবাচক প্রচারণা হচ্ছে তা বহু দশকে দেখা যায়নি। পাকিস্তান ও কাশ্মীরী জনগণের প্রচেষ্টা ফল দিয়েছে বলে মনে হচ্ছে। অধিকৃত কাশ্মীরের নতুন বাসিন্দা আইনের ব্যাপারে ড. ইউসুফ সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন যে এটা জাতিসংঘ কাঠামোর অধীনে পুরোপুরি অবৈধ। জাতীয় নিরাপত্তার প্রতি হুমকি বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ ধরনের সমস্যা হয় সময়ভিত্তিক। এটা স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে। স্বল্পমেয়াদে পাকিস্তানের জন্য নিরাপত্তা হুমকি হলো ভারত ও আফগানিস্তানে শান্তির অভাব। আর দীর্ঘমেয়াদে জলবায়ু ও নিরাপত্তা, খাদ্য ও জ্বালানি এবং পানি, এসব ইস্যু রয়েছে। এপিপি, এসএএম।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন