বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

গ্রাহক সেজে নম্বর সংগ্রহ করে প্রতারকরা

মূলহোতাসহ গ্রেফতার ৯

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০১ এএম

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা বিকাশে প্রতারণা চক্রের মূলহোতাসহ ৯ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা চারটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে রাজধানীতে প্রতারণা করে থাকে। শুরুতে বিভিন্ন দোকানে গ্রাহক সেজে অবস্থান নেয়। পরবর্তীতে কৌশলে গ্রাহকের ফোন নম্বর সংগ্রহ করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। গতকাল ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের ডিসি ওয়ালিদ হোসেন এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, এ চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার করতে গত শুক্রবার রাজধানী ও গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় সাইফুল ইসলাম (২২), লিটন হোসেন (২৩), জুবায়ের শেখ (২২), গোলাম কিবরিয়া মন্ডল (১৯), ইমরান মোল্লা (২৩), শাওন হোসাইন মন্ডল (১৮), মিনজারুল ইসলাম মোল্লা (২৫), আশরাফ মোল্লা (২৬) ও সাগর আহম্মেদকে (২৫) গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন মডেলের পাঁচটি মোবাইল ফোন, ১০টি সিমকার্ড ও একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়।
ডিসি ওয়ালিদ হোসেন জানান, বিকাশ প্রতারক চক্রের সদস্যরা প্রধানত চারটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে প্রতারণা কর্মকান্ড সম্পন্ন করে থাকে। প্রথম গ্রুপ মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন বিকাশের দোকানে টাকা বিকাশ করার কথা বলে অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে লেনদেনকৃত বিকাশ খাতার ছবি তুলে হোয়াটসঅ্যাপে দ্বিতীয় গ্রুপের কাছে এলাকা উল্লেখ করে পাঠিয়ে দেয়। দ্বিতীয় গ্রুপ সেসব নম্বরে বিকাশ দোকানদার সেজে কল করে জানতে চায়, পাঠানো টাকা তারা পেয়েছেন কিনা এবং ক্যাশ আউট করেছেন কিনা। প্রতারণার ছলে বলতে থাকেন, আমার দোকান থেকে একই সময়ে কয়েকটি নাম্বারে পাঠানো টাকা নিয়ে অভিযোগ আসায় কয়েকটি নম্বরের সঙ্গে আপনার নম্বরও লক হয়ে গেছে। আপনাকে বিকাশ আফিস থেকে ফোন করে আনলক করে দেবে।
কিছুক্ষণ পরেই তৃতীয় গ্রুপ বিকাশ কাস্টমার কেয়ার অফিসার পরিচয় দেয়। অনলাইন ভিত্তিক বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে বিকাশ অফিসের নম্বও ক্লোনিং কওে ফোন দেওয়ায় গ্রাহক সহজে বিষয়টি বুঝতে পারে না। ফোনে বিভিন্ন কথার ছলে ওটিপি এবং বিকাশ পিনকোড নিয়ে নেয়। এরপর গ্রাহকের বিকাশ অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে এবং অ্যাকাউন্ট আনলকের জন্য বিভিন্ন পরিমাণ টাকা দাবি করে। এভাবে হাতিয়ে নেওয়া টাকা সর্বশেষ অর্থাৎ চতুর্থ গ্রুপের কাছে পাঠানো হয়। যারা বিভিন্ন হাত বদল করে ক্যাশ আউট করে, ফলে প্রতারকদের অবস্থান শনাক্ত করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন