শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট অব্যাহত

বেনাপোল কাস্টমস হাউস, শুল্কায়নে হয়রানির অভিযোগ : প্রত্যাখান রাজস্ব কর্মকর্তার

বেনাপোল অফিস : | প্রকাশের সময় : ১৮ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০১ এএম

বেনাপোল কাস্টমস হাউসে ৩ ও ৪ নাম্বার শুল্কায়ণ গ্রুপের হয়রানির প্রতিবাদে গত বৃহস্পতিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট গতকালও অব্যাহত রেখেছে বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেণ্টস ব্যবসায়ীরা।

সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান জানান, বেনাপোল কাস্টমসে কাজের কোন পরিবেশ নেই। ৩ ও ৪ নাম্বার শুল্কায়ন গ্রুপের রাজস্ব কর্মকর্তাদের অহেতুক হয়রানি ও স্বেচ্ছাচারিতায় ব্যবসায়ীরা হয়রানির শিকার হচ্ছে নানাভাবে। আমদানি করা পণ্যের একটি ফাইল শুল্কায়ণ গ্রুপে গেলেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রেখে ইচ্ছামতো এইচএস কোড ও মূল্য পরিবর্তন করে হয়রানি করছে। ঐ দুটি গ্রুপ আগের কোনো এইচএস ফলে আমদানিকারকরা বেনাপোল বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি করতে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন।

বেনাপোলের সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ীরা জানান, কাস্টমস অফিসার কর্তৃক পদে পদে হয়রানির শিকার হচ্ছেন তারা। এর একটা সুরাহা হওয়া উচিত। অফিসাররা রজস্ব বোর্ডের কোর নির্দেশনা মানছেন না। কাস্টমস এর মূল্যায়ন ডাটা শিটে সর্বনিম্ন মূল্যে আমদানিকৃত পণ্য শুল্কায়ন করার কথা থাকলেও সংশ্লিস্ট গ্রুপ দুটি তা মানছেন না। তারা সব সময় উচ্চতর মূল্যে শুল্কায়ন করতে চান। বাংলাদেশের সব কাস্টম হাউসে ডাটাশিট মূল্য মানা হলেও ব্যতিক্রম শুধু বেনাপোল। এখানকার কাস্টম হাউজের কর্মকর্তারা রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের উদ্দেশ্যে নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে ইচ্ছামতো পণ্যের শুল্কায়ন মূল্য নির্ধারণ করছেন। যার ফলে আমদানিকারকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেণ্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, বেনাপোল কাস্টমসে হয়রানির কোনো শেষ নাই। পণ্য প্রবেশ থেকে শুরু করে পরীক্ষণ ও শুল্কায়ণে নানাবিধ হয়রানির শিকার হতে হয়। আমদানি করা একই পণ্য তিনবার পরীক্ষা করতে হচ্ছে। তাছাড়া শুল্কায়ণে হচ্ছে নানা জটিলতা। তাই বেনাপোলের ব্যবসায়ীরা কাস্টমস কর্তৃক নানাবিধ হয়রানির প্রতিবাদে পরীক্ষণসহ ৩ ও ৪ নাম্বার গ্রুপে শুল্কায়ণ কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছেন। কাস্টমস অফিসার কর্তৃক এসব হয়রানিমূলক কার্যক্রম বন্ধ না হলে আগামীতে এ বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমও বন্ধ করে দেয়া হবে। বেনাপোল কাস্টমস রাজস্ব কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, শুল্কায়ন গ্রুপ ৩ ও ৪ নাম্বারে কাউকে হয়রানি করা হয় না। রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করা হয়ে থাকে। ব্যবসায়ীরা কম মূল্যে পণ্য শুল্কায়ণ করতে চায়, কাস্টস তাতে সঠিকভাবে শুল্কায়ন করলে তারা এটিকে হয়রানি বলে চালিয়ে দেয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন