ভারতের হায়দরাবাদ-সহ তেলঙ্গানা এবং অন্ধ্রপ্রদেশে নতুন করে রাতভর প্রবল বৃষ্টিতে চরম বিপর্যস্ত অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তা না কি নদীÑ তা বোঝার কোনো উপায় নেই। কোথাও কোমরসমান জল। কোথাও আবার গলা ছুঁই ছুঁই! সেই সঙ্গে প্রবল স্রোত। বহু জায়গাতেই সেতুর উপরেও বন্যার পানি উঠেছে। বালানগর হ্রদের পাড় ভেঙে বসতি অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
দেশটির আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, গতকাল শনিবার হায়দরাবাদ ও আশপাশের এলাকায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ১৫০ মিলিমিটার। এর আগে মঙ্গলবার-বুধবার জুড়ে ১৯০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল। তার পর দুর্যোগ কিছুটা কমলেও অবস্থা স্বাভাবিক হয়নি। তার মধ্যেই রাতভর প্রবল বৃষ্টিতে বেহাল হয়ে পড়েছে দেশের ‘টেক সিটি’।
কোথাও বাড়িতে পানি ঢুকে পড়ায় বাসিন্দারা আশ্রয় নিয়েছেন ছাদে। কোথাও রাস্তায় ভাসছে গাড়ি। নিজামের শহরে বেশ কিছু বাড়িও ধসে পড়েছে। হায়দারবাদ বিমানবন্দরগামী রাস্তাও জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। ফলে কুর্নুল এবং বেঙ্গালুরুগামী যানবাহন চলাচল বন্ধ। হায়দরাবাদ পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (সামশাবাদ) বিমানবন্দরের যাত্রীদের শহরের বাইরের ‘রিং রোড’ ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন।
করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এই ধারাবাহিক প্রাকৃতিক দুর্যোগ চিন্তা বাড়িয়েছে তেলঙ্গানা সরকারের। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের ছেলে তথা পুরমন্ত্রী কে টি রামা রাও জিএইচএমসি এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিচ্ছেন বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।
আবহাওয়া ভবনের পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, এ দিন মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে হায়দরাবাদ-সহ তেলঙ্গানা এবং অন্ধ্রপ্রদেশের বিভিন্ন এলাকায়। বৃহস্পতিবার তেলঙ্গানা সরকার জানায়, মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া প্রাকৃতিক দুর্যোগে মোট ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মোট আর্থিক ক্ষতির অঙ্ক প্রায় ৬,০০০ কোটি টাকা। তবে শনিবার রাতের দুর্যোগে নতুন করে প্রাণহানির খবর মেলেনি। সূত্র : আনন্দবাজার
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন