কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিকে সামরিক ভূসম্পত্তি দাবি করে হয়রানি বন্ধের দাবিতে গতকাল রোববার দুপুরে ভূরুঙ্গামারী বনিক সমিতির অস্থায়ী কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ভূমি মালিকরা।
সংবাদ সম্মেলনে স্বত্ব দখলীয় ভূমি মালিক সমিতির আহ্বায়ক তাইফুর রহমান মুকুল লিখিত বক্তব্যে দাবি করেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময় বাগভান্ডার হতে সোনাহাট স্থলবন্দর পর্যন্ত রাস্তাটি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু রাস্তাটি নির্মাণের পর অল্প সময়ে যুদ্ধ শেষ হওয়ায় রাস্তার জমি অধিগ্রহণ করা হয় নাই। এমনকি জমির মালিকদের কোন প্রকার ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয় নাই। সামরিক ভূ-সম্পত্তি নর্দান সার্কেলের দাবি করা জমিগুলো ব্যক্তি মালিকানায় এসএ রেকর্ড ভুক্ত। ভূরুঙ্গামারীর তৎকালীন সহকারী সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা সামরিক কতৃপক্ষের কাগজপত্র সঠিক না থাকায় ডিসপুট কেসগুলো না মঞ্জুর করে পূর্ব মালিকগনের নামে রেকর্ড বহাল রাখেন এবং ডিপি খতিয়ান প্রস্তুত করেন। ভূমি মালিকরা দাবি করেন সম্প্রতি বগুড়া সেনানিবাসের (নর্দান সার্কেল) ভূ-সম্পতি প্রশাসক সম্পত্তিগুলো নিজেদের দাবি করে রেকর্ড করার জন্য চাপ প্রয়োগ করছেন। তারা বলেন উক্ত জমিতে প্রায় ৪/৫ হাজার পরিবার বসতবাড়ি, দোকানপাট, ব্যাংক-বিমার অফিসসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। এমতাবস্থায় ভূমি থেকে তাদের উচ্ছেদ করা হলে তারা অসহায় হয়ে পড়বে।
উল্লেখ্য, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ভূরুঙ্গামারী উপজেলাধীন আসাম বেঙ্গল এ্যাকসেস মিলিটারী রোড নির্মাণের জন্য বিভিন্ন ইউনিয়নের ৫টি মৌজার ৯৮দশমিক ৭০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। যা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের জমি বলে দাবি করা হচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভূমি মালিক আলহাজ আব্দুল গফুর, লুৎফর রহমান, ভূরুঙ্গামারী বনিক সমিতির সম্পাদক মাহফুজার রহমান মামুন ব্যাপারী, রাইসুল আলম রিপন, আব্দুল বারেক প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন