শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

দায়রা জজ আদালতেই আপিল করা যাবে

চেক ডিজঅনার মামলায় যুগান্তকারী রায়

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০০ এএম

এনআই অ্যাক্টের (চেক ডিজঅনার) মামলার আপিলের জন্য হাইকোর্টে যেতে হবে না। যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে দায়রা জজ আদালতেই। বৈষম্য নিরসনকল্পে এ আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল রোববার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ এবং বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের ডিভিশন বেঞ্চ পৃথক তিনটি রিটের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

আদেশের পর আপিলকারীর কৌঁসুলি ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব বলেন, হাইকোর্টের এ রায় নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্টস আইনের অধীন ১৩৮ ধারার চেকের মামলার বিচার, আপিল এবং রিভিশনের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন যাবত চলে আসা বৈষম্যমূলক বিধানের অবসান ঘটল। সেই সঙ্গে সাধারণ বিচারপ্রার্থীদের খরচ এবং হয়রানি অনেকাংশে কমবে বলে আশা করছি। এ কারণে রায়টি যুগান্তকারী।

রায়ের নির্দেশনা মতে ১৩৮ ধারার চেকের মামলার বিচার শুধুমাত্র যুগ্ম দায়রা জজ আদালত করতে পারবে। দায়রা জজ অথবা অতিরিক্ত দায়রা জজ চেকের মামলার বিচার করতে পারবেন না। ফলশ্রæতিতে চেকের মামলায় রায়ের সাজার বিরুদ্ধে হাইকোর্ট বিভাগে আপিল করা যাবে না। আপিল শুধুমাত্র দায়রা জজ আদালতে করা যাবে। ফলে বিচারপ্রার্থীদের মধ্যে চলমান বৈষম্য দূর হবে।

তিনি বলেন, নেগোসিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্টের ধারা ১৩৮ ধারার চেক ডিজঅনারের মামলা ইতিপূর্বে যুগ্ম দায়রা জজ এবং অতিরিক্ত দয়রা জজ আদালতে শুনানি হতো। দায়রা জজ আদালত নির্ধারণ করতেন মামলাটি কোন আদালতে শুনানির জন্য পাঠানো হবে। কোনো মামলা যদি যুগ্ম দায়রা জজ আদালত শুনানি করে রায় দিতেন, তাহলে সাজাপ্রাপ্ত আসামি দায়রা জজ আদালতে আপিল করার সুযোগ পেতেন।

কিন্তু একই অপরাধের জন্য একই শাস্তি হলেও মামলাটি যদি অতিরিক্ত দায়রা জজ অথবা দায়রা জজ আদালতে শুনানি হয়ে রায় হতো, তাহলে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে আপিল করার জন্য হাইকোর্ট বিভাগে আসতে হতো। এই বিধানটি বৈষম্যমূলক। যা বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৭ এবং ৩১ এর সাথে সাংঘর্ষিক।

রায়ের নির্দেশনা মতে, ১৩৮ ধারার চেকের মামলার বিচার কেবলমাত্র যুগ্ম দায়রা জজ আদালত করতে পারবে। দায়রা জজ অথবা অতিরিক্ত দায়রা জজ চেকের মামলার বিচার করতে পারবেন না। আদালত তার আদেশে উল্লেখিত নির্দেশনা সকল জেলা ও দায়রা জজ আদালত অবহিত করার জন্য বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল এবং হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রারকে নির্দেশ দিয়েছেন।

দেশের সকল জেলা ও দায়রা জজ উক্ত নির্দেশনা অবহিত হওয়ার পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত অথবা দায়রা জজ আদালতে চলমান ১৩৮ ধারার সকল মামলা বিচারের জন্য সংশ্লিষ্ট দায়রা জজ আদালতে প্রেরণ করতে হবে। চলমান মামলাগুলো বর্তমানে যে পর্যায়ে রয়েছে ওই পর্যায় থেকেই পরবর্তী শুনানি চলমান থাকবে। ফলশ্রুতিতে চেকের মামলায় রায়ের সাজার বিরুদ্ধে হাইকোর্ট বিভাগে আপিল করা যাবে না। আপিল শুধুমাত্র দায়রা জজ আদালতে করা যাবে।

প্রসঙ্গত: চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর থানার এএএম জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড এনআই অ্যাক্টে মামলা করে। জিয়াউর রহমান পরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের যুগ্ম দায়রা জজ আদালতে চলমান ১৩৮ ধারার অধীন ৩টি চেকের মামলার কার্যক্রম চ্যালেঞ্জ করে তিনটি ভিন্ন ভিন্ন রিট করেন। ২০১৮ সালে হাইকোর্ট বিভাগ তিনটি মামলায় পৃথক রুল জারি করেন। রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে হাইকোর্ট উপরোক্ত আদেশ দেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (10)
রমজান আলি ১৯ অক্টোবর, ২০২০, ৬:১৮ এএম says : 0
সারা দেশের চেকের মামলার সংখ্যা বিবেচনায় নেয়া হয়নি,চীফ জুডিশিয়াল হলে ভালো হতো।
Total Reply(0)
SK MD Ali ১৯ অক্টোবর, ২০২০, ৬:১৮ এএম says : 0
আপীলে ৫০% টাকা জমা দেওয়া সংশোধন হওয়া উচিত।
Total Reply(0)
Md Azadul ১৯ অক্টোবর, ২০২০, ৬:১৮ এএম says : 0
চেকের মামলা যদি ৩ থেক ৬ মাসের মধ্যে শেষ করতেন তাহলে কেউ চেক দিয়ে চিটারী ও করতে পারত না।
Total Reply(0)
Mustak Ahmed Shimul ১৯ অক্টোবর, ২০২০, ৬:১৯ এএম says : 0
যুগ্ম দায়রাতে একটি মামলার তারিখ ৬ মাস পরপর পরে। এটা প্রকৃত আসামীদের আরও সুযোগ করে দিল মামলা দীর্ঘসূত্রিতা বাড়ানোর জন্য আর পাওনা টাকা দিতে দেরি করার জন্য। একটি কেস শেষ হতে ৫/৭ বছর লেগে যাবে।
Total Reply(0)
Adv M A Baki ১৯ অক্টোবর, ২০২০, ৬:১৯ এএম says : 0
এক শ্রেণীর শুধখোর মহাজন তারিক বিহীন ব্ল্যাংক চেকে স্বাক্ষর নিয়ে চক্রবৃদ্ধিহারে শুধে টাকা লগ্নীদেওয়ার ব্যবসা করেন। তারিক বাহীন ব্ল্যাংক চেক প্রদান ও গ্রহন নিষিদ্ধ করা বান্চনীয়। ৫০% টাকাজমা দিয়ে আপীল করারবিধান সংশোধন করা আবশ্যক।
Total Reply(0)
Md Asadujjaman ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৪:০৫ এএম says : 0
দাদন ব্যবসায়িরা ফাকা চেক নিয়ে তাদের আসল ও লাভের টাকা পাওয়ার পরও আরও কিছু পায় এক পর্যায়ে দিতে না পারিলে দাদন ব্যবসায়ীরা তাদের মনগড়া টাকার অংক বসিয়ে মামলা করেন।যে সমস্ত লোকজন ফাঁকা চেক লেনদেন করেন তারা আর্তিক ভাবে দূর্বল।
Total Reply(0)
মিরন তালুকদার ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৭:৪৪ এএম says : 0
50% টাকা আইনের বাতিল করা হোক্ চেকের মামলা বাতিল হাইকোর্টের নির্দেশ সুদখোর বেংক মালিক নিচু টাকা পাচার করে ঋণের চেকের মামলা বাতিল হাইকোর্টের নির্দেশ দিয়েছেন নতুন আইন বাংলাদেশের প্রথম বন্ধ করতে হবে এস এমই ঋণের সহযোগিতা করতে হবে কোম্পানী পমোদনা টাকা সবচেয়ে বেশি নিয়ে ছেলে আর মামলা ভোলা ঋণ খেলাপি মামলা সুদখোর বিচার শুরু হয়েছে সাধারণ মানুষের টাকা সুদখোর বাচান
Total Reply(0)
মিরন তালুকদার ২৯ মার্চ, ২০২১, ১০:০৫ পিএম says : 0
সুদখোর বেংক মালিক টাকা পাচার সাধারণ মানুষের চেকের সাক্ষর নিয়ে ঋণের চক্র তৈরি করে সুদখোর বেংক মালিক সুদখোর মহাজনের কোম্পানী বেংক গেরানটি আমার ইসলামি ব্যাংক নেএকোনা মেনেজার রুহোল আমিন ও বিনিয়োগ ইনচার্জ শফিকুল 6600000 লক্ষ টাকা আত্মসাত করছে এদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি আমার নামে অনেক চেকের মামলা দিয়েছেন আমার রোডে একসিটেন এমনটা হলো দুর্নীতি দমন কমিশন সহযোগীতা করুন আমার ঋণ অনুমোদন বাংলাদেশের বেংক সত কথকতা সহযোগীতা করুন আমিনা এনটারপ্রাইজ নেএকোনা শাখা চলতি হিসাব 566 হিসেবে শুরু হতে যাচাই করুন সরকারি সহযোগীতা করুন আমার ঋণের টাকা নিয়ে মেনেজার অফিসার ইনচার্জ বাড়ি নির্মাণ গাড়ি করেছে সরকার কর্তৃক বাংলাদেশের বেংক সহযোগীতা পাই তে পারী?
Total Reply(0)
মিরন তালুকদার ৩০ এপ্রিল, ২০২১, ১২:১৩ পিএম says : 0
আমি ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড এস এমই ঋণ 20000000 টাকা অনুমতি হয়েছে এর মধ্যে 6600000 লক্ষ টাকা ম্যানেজার ইসলামী ব্যাংক রুহুল আমিন ইনচার্জ শফিকুল আর্ত সাদ করছে আমি রোড অক্সিজেন দুটি হাত পংগু আমার নামে 4 টি চেক মামলার সাজা বেংগেরাটি 10000000 কোটি টাকা মামলার নিজেরা নিয়ে বাড়ী নির্মান করছে আমি ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড সুদখোর বিচার আল্লা চারা পাবো না কারণ আমার সরল বিশ্বাসে 44 চেক পাতা সাক্ষ্য অগীম সই করে রাখে ও 11টি ডিল সেট সাক্ষর রাখে আমি এ বিষয়ে সঠিক বিচার পাবো না এমন দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সত্য অফিসার আমাকে সহযোগিতা পাবো না এমন দুর্নীতি দমন কমিশন সহযোগিতা পাবো না মেসার্স আমিনা এনটারপ্রাইজ চলতি হিসাব 546 আমার ব্যবসা বন্ধ মা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে 500000 লক্ষ টাকা অনুদান দিয়েছেন বাংলাদেশ এমন সত্য অফিসার আছেন আমাকে সহযোগিতা করবে আজ মামলার হতে মুক্তি পাইতে পারবো দয়া করে সত্য অফিসার বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরে কি পরবে আমার চলতি হিসাব 546 শুরু হতে দুর্নীতি দমন কমিশন সহযোগিতা পাবো না আল্লা অবশ্যই আছে মিরন তালুকদার
Total Reply(0)
নাসির উদ্দীন ১২ মে, ২০২২, ৮:২৪ পিএম says : 0
চেকের কেচে রায় হইছে, চেকের সম পরিমান টাকা ও৬ মাস জেল, এখন আসামি কি ৬ মাস জেল খাটিয়া টাকা না দিয়া বের হইতে পারবে?
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন