আর্মেনিয়া শনিবার আজারবাইজানের দ্বিতীয় নগরী গাঞ্জার আবাসিক এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় শিশুসহ ১৩ জন প্রাণ হারানোর প্রসঙ্গে জাতিসংঘ প্রধান এন্তোনিও গুতেরেস নিন্দা জানান।
আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার প্রতি নতুন অস্ত্রবিরতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ প্রধান এন্তোনিও গুতেরেস। একই সঙ্গে বিরোধপূর্ণ নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে যুদ্ধে বেসামরিক লোকজনের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়েছেন।
আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া অস্ত্র বিরতির বিষয়ে সম্মত হলেও রবিবার উভয় দেশ একে অন্যের বিরুদ্ধে তা না মানার অভিযোগ তোলে।
জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারেক এক বিবৃতিতে বলেন, গাঞ্জা শহরের হামলায় শিশুসহ যে সকল বেসামরিক লোক মারা গেছে তা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মহাসচিব ১৮ অক্টোবর শুরু হওয়া অস্ত্রবিরতি উভয় পক্ষকে মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি অবিলম্বে বাস্তবসম্মত আলোচনা পুনরায় শুরু করারও আহ্বান জানান।
আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার বিচ্ছিন্নতাবাদীরা কারাবাখ-নাগরনোর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ১৯৯০ সালের পর থেকেই থেকে থেকে সংঘর্ষে লিপ্ত রয়েছে। এসব সংঘর্ষ সহিংসতায় ৩০ হাজার লোকের প্রাণহানি ঘটে।
এদিকে গত তিন সপ্তাহ আগে পুনরায় সহিংসতা শুরু হলে সাত শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটে।
তবে প্রাণহানির এ সংখ্যা আরও বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ আজারবাইজান তাদের সৈন্যদের প্রাণহানির সংখ্যা প্রকাশ করেনি।
শনিবার মধ্যরাতে মানবিক যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর আর্মেনিয়া তাদের নিহত সৈন্যদের সমাহিত করার সিদ্ধান্ত নেয়। রবিবার তারা অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আয়োজন করে। শুশা শহরে এই আয়োজনে অংশ নেয় সতীর্থ সামরিক বাহিনীর সদস্য ও পরিবারের সদস্যরা।
২৭ সেপ্টেম্বর থেকে নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যুদ্ধ শুরু করে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া।
নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চলটি মূলত আজারবাইজানের অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। কিন্তু বহু বছর ধরে সেটি আর্মেনিয়া শাসন করে আসছে। ১৯৯৪ সালের যুদ্ধের পর থেকে সেখানে আর্মেনিয়ার সেনাবাহিনী রয়েছে।
এ পর্যন্ত দুটি দেশ একাধিকবার যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেও তা লঙ্ঘন করেছে। হামলা করেছে একে-অপরকে। এই হামলায় সামরিক বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি শত শত বেসামরিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গৃহহীন হয়েছে হাজার হাজার মানুষ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন