বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

আর্মেনিয়া-আজারবাইজান যুদ্ধ আরো তীব্র আকারে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২০ অক্টোবর, ২০২০, ১২:২২ পিএম

যুদ্ধ শুরুর পর থেকে আর্মেনিয়া বিপদের মধ্যে রয়েছে। তবে আর্মেনিয়াকে মদদ দিচ্ছে ফ্রান্স ও রাশিয়া। এই কারণ সীমাহীন ক্ষতির পরও তারা যুদ্ধ বিরতী মানছে না। আর এই কারণে পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে।


এদিকে যুদ্ধবিরতি সব চেষ্টাই ব্যর্থ। দ্বিতীয়বারও যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা গেল না নাগর্নো-কারাবাখে। অভিযোগ, যুদ্ধবিরতি ঘোষণার কয়েক মিনিটের মধ্যেই আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানের সেনা যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে। গোলাবর্ষণে ক্ষতি হয়েছে একের পর এক শহরের। মৃত্যু হয়েছে কয়েক শ’ মানুষের। ঘটনায় ফের উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাশিয়া এবং জাতিসঙ্ঘ।

সপ্তাহ দুয়েক আগে মস্কোর মধ্যস্থতায় সাময়িক যুদ্ধবিরতির চুক্তি করেছিল আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজান। কিন্তু সেই চুক্তি ফলপ্রসূ হয়নি। বরং যুদ্ধের ভয়াবহতা বেড়েছিল। গত রোববার ফের দুই দেশকে নিয়ে শান্তি আলোচনায় বসেছিল রাশিয়া।

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের মধ্যস্থতায় নতুন করে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হয় দুই দেশে। ঠিক হয়, আগামী তিন সপ্তাহ একে অপরকে আক্রমণ করবে না কোনো দেশ।


অভিযোগ, সেই চুক্তির কয়েক মিনিটের মধ্যেই নতুন করে যুদ্ধ জড়িয়ে পড়ে দুইটি দেশ। যার তীব্র নিন্দা করেছে রাশিয়া।

আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় লিখিত বিবৃতিতে দাবি করেছে, চুক্তির কয়েক মিনিটের মধ্যেই আর্মেনিয়া আজারবাইজানের বেশ কয়েকটি শহরে গোলাবর্ষণ শুরু করে। রোববার সারা রাত ধরেই গোলাবর্ষণ করে ধ্বংস করা হয় শহরগুলো। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হলো টারটার, আঘজাবেদি, আঘদাম।

আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ জানান, অন্যায়ভাবে আর্মেনিয়া যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। একের পর এক শহরে গোলাবর্ষণের পরে আজারবাইজানও তার উত্তর দিতে বাধ্য হয়েছে।

এ দিকে আর্মেনিয়ার অভিযোগ, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে আজারবাইজান। নাগর্নো-কারাবাখের যোদ্ধাদের দাবি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই কারাবাখের মারতুনি এবং আরো চারটি গ্রামে গোলাবর্ষণ শুরু করে আজেরি সেনা। আর্মেনিয়ার সেনা কারাবাখের যোদ্ধাদের মদত দিচ্ছে।

যোদ্ধাদের সমর্থন করে আর্মেনিয়ার সেনা জানিয়েছে, আজেরি বাহিনী হামলা চালানোর পর 'সমান' জবাব দেওয়া হয়েছে আজারবাইজানকে।

আজারবাইজান জানিয়েছে, এখনো পর্যন্ত নাগর্নো-কারাবাখের ১৬টি এলাকা তাদের সেনা দখল করতে পেরেছে। আর্মেনিয়া অবশ্য আজেরি সেনার এই দাবি মানতে রাজি হয়নি।

বিশেষজ্ঞ মহলে প্রশ্ন উঠেছে, এই যুদ্ধ কি আরো ব্যাপক আকার নিতে পারে? এখনো পর্যন্ত আজারবাইজান এবং আর্মেনিয়ার মধ্যে যুদ্ধ সীমাবদ্ধ থাকলেও তুরস্ক আজারবাইজানকে সম্পূর্ণ সাহায্য দিচ্ছে।

অন্য দিকে আর্মেনিয়াকে সাহায্য করার চুক্তিতে আবদ্ধ রাশিয়া। রাশিয়া বহু দিন ধরেই শান্তির প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। রাশিয়া, ফ্রান্স এবং আমেরিকা যৌথভাবে মধ্যস্থতার চেষ্টা করছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত যুদ্ধ বন্ধের কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।

সূত্র : ডয়চে ভেলে

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Jack Ali ২০ অক্টোবর, ২০২০, ৩:৪৯ পিএম says : 0
May Allah destroy enemy of Allah Armenia/Russia/France. May Allah's curse upon them.. May Allah wipe out them by corona virus. Ameen
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন