গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে ঘাঘট নদীর তীরবর্তী শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ী নদী গ্রাস করে ফেলেছে।সে সব পরিবারের লোকজন এখন নদী রক্ষা বাঁধ এবং বিভিন্ন রাস্তায় কোন রকমে মানবেতর বসবাস করছে।তাদের অনেকের বসতভিটা এবং ফসলী জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় তারা পরিবার নিয়ে হতাশ হয়ে পড়েছে।বেশীর ভাগ লোকজন নি¤œ আয়ের এবং তারা খাদ্য সংকটে ভুগছে।তার পরেও পরিবার নিয়ে একটু সুখের স্বপ্ন গড়ার চেষ্টা করেন।তাও আবার কেড়ে নিয়েছে নদী ভাঙ্গনে।
স্থায়ী মাথা গোজার ঠাঁই এবং তাদের ঘড়বাড়ি নেই।ছেলে মেয়ে নিয়ে গাদাগাদি করে কোন রকমে একই ঘরে রাত কাটাচ্ছেন।অতিবৃষ্টি এবং উজানের পাহারী ঢলের প্রবল ¯্রােতে একাধিকবার বন্যায় নদী ভাঙ্গন দেখা দেয়।পানি কমতে থাকলে ভাঙ্গন আরও বেড়ে গেছে। নদীর কোলঘেষা ওইসব পৈএিক ঘরবাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে নদী পারের ওই ব্যক্তিরা।এ সময় কাজ না থাকায় অনেকে বেকার হয়ে বাড়ীতে বসে আছে।তাদের পরিবারের সদস্যদের ঠিকমত খাবার জোগার করতে হিমশিম হয়ে পড়েছে।
এদিকে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের সাদুল্লপুর নলডাঙ্গা,রসুলপুর,জামালপুর,দামোদরপুর,কামারপাড়া মধ্যে দিয়ে বয়ে গেছে ঘাঘট। নদী বেষ্টিত পারের দুই শতাধিক লোক গৃহহীন ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।তাদের কাছে কোন সাহায্য সহযোগিতা এখন পর্যন্ত নেই।তাদের পরিবার নিয়ে টিনের ছাপরার মধ্যে আতংকে দিন কাটছে।নলডাঙ্গা ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের নদী ভাঙ্গনের স্বীকার ফুল মিয়ার সঙ্গে কথা বললে জানান,চেয়ারম্যানের কাছে একাধিবার নদী ভাঙ্গনে বাড়ীঘর বিলীন হওয়ার জন্য সহযোগিতা চায়। কিন্ত তার কাছে দুইদিন গেলেও কোন সদোত্তর দেয়নি ফিরে আসেন।
দামোদরপুর ইউনিয়নের জামুডাঙ্গা গ্রামের মৃত ইব্রাহিম রিপুজির ছেলে ফুল মিয়ার ১ বিঘাা জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।বর্তমানে পরিবারটি হতাশায় ভুগছে।যেটুকু আবাদি জমি দিয়ে পরিবারের কোন রকমে খাদ্যের যোগান হত তা এখন ঘাঘটের পেটে।কাউকে অভাবের কথা বলতে পারছেনা তিনি।এছাড়াও কামারপাড়া ইউপির পুরানলক্ষীপুর গ্রামের মৃত গোলজার রহমানের স্ত্রী সত্তরোর্ধ্ব আমিনা বেগমরে ঘর নদীতে চলে যায়।সে এখন কোথায় আশ্রয় নিবে কুল কিনারা পাচ্ছেন না।এছাড়াও ওই গ্রামের হোটেল শ্রমিক আনোয়ারা, রেখার ঘর নদীতে ভেঙ্গে য়ায়। পার্শ্ববতী অন্যের বাড়ীতে আশ্রয় নিয়েছে তারা।ভাঙ্গনের স্বীকার এসব লোকজনের কাছে এখনও কোন জনপ্রতিনিধি তাদের খোঁজখবর পর্যন্ত নেয়নি বলে জানান তারা।
কামারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামছুল হক মাষ্টার জানান,নদী ভাঙ্গন এলাকার মানুষদের এাণ সহযোহিতা করা হয়েছে। বর্তমানে প্রকৃত গৃহহীনদের নামের তালিকা তৈরি করে সরকারের কাছে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।ভুলক্রমে কেউ
জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান মন্ডল জানান,সময় স্বল্পতার কারনে নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকার লোকদের কিছু নাম বাদ পড়েছে।পরবর্তী যে কোন সময় সুযোগ এলে তাদের নাম সরকারী বরাদ্দ পাওয়ার জন্য পাঠানো হবে।
গাইবান্দা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মোখলেছুর রহমান বলেন,সাদুল্লাপুর উপজেলার মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘাঘট নদীর তিন থেকে চার জায়গায় লুপ কাটিং করলে দ্রুত ভাঙ্গন বন্ধ হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন