বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

নাগরনো-কারাবাখে তীব্র লড়াই

রাশিয়া থেকে আর্মেনিয়ায় অস্ত্র পাচারের অভিযোগ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২১ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০১ এএম

ব্যর্থ হয়েছে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার দ্বিতীয় যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টাও। দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। একে অপরের ওপর হামলা অব্যাহত রেখেছে। দ্বিতীয় যুদ্ধবিরতি কার্যকর না করার কারণ হিসেবে একে অপরের ওপর অভিযোগ এনেছে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া। যুদ্ধবিরতি ঘোষণার কয়েক মিনিটের মধ্যেই আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানের সেনারা যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে। ঘটনায় ফের উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাশিয়া এবং জাতিসংঘ। সপ্তাহ দুয়েক আগে মস্কোর মধ্যস্থতায় সাময়িক যুদ্ধবিরতির চুক্তি করেছিল আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজান। কিন্তু সেই চুক্তি ফলপ্রস‚ হয়নি। বরং যুদ্ধের ভয়াবহতা বেড়েছিল। গত রবিবার ফের দুই দেশকে নিয়ে শান্তি আলোচনায় বসেছিল রাশিয়া। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের মধ্যস্থতায় নতুন করে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হয় দুই দেশ। ঠিক হয়, আগামী তিন সপ্তাহ একে অপরকে আক্রমণ করবে না কোনও দেশ। সেই চুক্তির কয়েক মিনিটের মধ্যেই নতুন করে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে দেশ দুটি। আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় লিখিত বিবৃতিতে দাবি করেছে, চুক্তির কয়েক মিনিটের মধ্যেই আর্মেনিয়া আজারবাইজানের বেশ কয়েকটি শহরে গোলাবর্ষণ শুরু করে। রবিবার সারা রাত ধরেই গোলাবর্ষণ করে ধ্বংস করা হয় শহরগুলো। এর মধ্যে গুরুত্বপ‚র্ণ এলাকা হল টারটার, আঘজাবেদি, আঘদাম। আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের অভিযোগ, অন্যায়ভাবে আর্মেনিয়া যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। একের পর এক শহরে গোলাবর্ষণের পর আজারবাইজানও তার উত্তর দিতে বাধ্য হয়েছে। এদিকে আর্মেনিয়ার অভিযোগ, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে আজারবাইজান। নাগরনো-কারাবাখের যোদ্ধাদের দাবি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই কারাবাখের মারতুনি এবং আরও চারটি গ্রামে গোলাবর্ষণ শুরু করে আজারি সেনা। আর্মেনিয়ার সেনা কারাবাখের যোদ্ধাদের মদত দিচ্ছে। যোদ্ধাদের সমর্থন করে আর্মেনিয়ার সেনা জানিয়েছে, আজারি বাহিনী হামলা চালানোর পর সমান জবাব দেওয়া হয়েছে আজারবাইজানকে। আজারবাইজান জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত নাগরনো-কারাবাখের ১৬টি এলাকা তাদের সেনা দখল করতে পেরেছে। আর্মেনিয়া অবশ্য আজারি সেনার এই দাবি মানতে রাজি হয়নি। অপর দিকে, আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ অভিযোগ করেছেন, ব্যক্তি মালিকানাধীন বেসামরিক বাণিজ্যিক কার্গো বিমানে করে রাশিয়া থেকে আর্মেনিয়ায় অস্ত্র পাচার হচ্ছে। তুরস্কের একটি নিউজ চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এমন অভিযোগ করেন। এ সময় আজেরি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আর্মেনিয়া স¤প্রতি একটি বিমান কিনেছে। রাশিয়ায় বসবাসরত আর্মেনীয় ব্যবসায়ীরা এটি কিনেছেন। ওই বিমানে করে রাশিয়ায় বসবাসরত আর্মেনীয়দের আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পাঠাচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘ওই বিমান কেনার ফলে আর্মেনিয়ার নিজ দেশে অস্ত্র পাচার করে আনার সুযোগ হয়েছে।’ আলিয়েভ বলেন, “সামরিক পণ্য পরিবহনের সময় প্রত্যেকবার আপনাকে তা ঘোষণা দিয়ে নিতে হবে। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী এটি বেসামরিক কার্গো বিমান। অথচ এই বিমান দিয়ে তারা ট্যাংকবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ‘কর্নেট’ ও ‘কনকুরস’ এবং আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ইগলা’ পরিবহন করছে।” ডয়চে ভেলে, আজেরটেক, ট্রেন্ড নিউজ।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন