সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সিরাজুল ইসলাম'র মুক্তি সনদ ও লাল মুক্তিবার্তা কেন বাতিল করা হবে। এনিয়ে তিনি বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোটে রিট করেছেন। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের স্মারক নং-৪৮.০০.০০০০.০০৪.৩৭.০০২.২০.৮৫০, পৃষ্ঠা নং(৬৯৭২) প্রকাশিত বেসামরিক ১৪৪৫ নং গেজেটধারী মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলামকে জামুকা বাতিল করেছে বলে এক চিঠির মারফত জানাগেছে।
চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে জামুকার ৬৭ তম সভার সিদ্ধান্তে সারাদেশে ৪৯ জন মুক্তিযোদ্ধার মুক্তিসনদ ও লাল মুক্তিবার্তা বাতিল করা হয়েছে। তার মধ্যে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে ১৪৪৫ নং গেজেটধারী মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম সিরাজের মুক্তি সনদ ও লাল মুক্তি বার্তা বাতিল করেছে জামুকার মহাপরিচালক জহুরুল ইসলাম রোহেল।
(নাম বলতে মানা) এক জনৈক মুক্তিযোদ্ধা এবং কর্মকর্তা বলেন, রাণীশংকৈল উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সিরাজুল ইসলাম যুদ্ধাহত মুক্তি কি করে হয়? তিনি যুদ্ধাহত অবস্থায় সেনাবাহিনীতে যোগ দিলেন? তার পরেও চাকুরী থেকে অবসরে যাওয়ার পরে তিনি যুদ্ধাহত ভাতা গ্রহন করেন। এক তথ্য মতে জানা যায়, প্রায় ১৫ জন ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাকে টাকার বিনিময়ে জাল মুক্তি সনদ দিয়েছেন তিনি। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম দূর্নীতি প্রমানিত হওয়ায় তার মুক্তি সনদ ও লাল মুক্তি বার্তা বাতিল করেছে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল।
সাবেক কমান্ডার যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলামের দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাংবাদিকদের বলেন, তার মুক্তি সনদ ও লাল মুক্তি বার্তা কেন বাতিল করেছে। এ নিয়ে তিনি বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাই কোটে রিট করেছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী আফরিদা বলেন, মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলামকে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল বাতিল করেছেন। বিষয়টি শুনেছেন, তবে এখন পর্যন্ত কোন চিঠি পায়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন