শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

নেপালে সরকার পতনের আশঙ্কা

পরিকল্পনা বাস্তবায়নের আগেই পদ হারাতে পারেন প্রধানমন্ত্রী অলি

প্রকাশের সময় : ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : নেপালে প্রথম গণতান্ত্রিক সংবিধান বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে দেশটির আইনপ্রণেতাদের একটি জোট। এ অবস্থায় চলতি বসন্তেই নেপালের বিচ্ছিন্ন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি ও তার সরকারের পতনের ঝুঁকি বাড়ছে বলে দাবি করেছে টাইমস অব ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদন। নেপালের বামপন্থি রাজনৈতিক দল কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল (ইউনাইটেড মার্কসিস্ট লেনিনিস্ট) নেতা কেপি শর্মা অলি। দক্ষিণাঞ্চলীয় সমভূমি নিয়ে বিদ্যমান উত্তেজনার সমাধানের ব্যাপারে তিনি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সীমান্তে জারি থাকা ভারতীয় অবরোধ প্রত্যাহার হবে এমন প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি। প্রায় চার মাস আগে নির্বাচিত হওয়ার সময়েই এমন লক্ষ্য স্থির করেন এই বাম রাজনীতিক। এরই মধ্যে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষে গত আগস্ট থেকে হিমালয়ান এই দেশটিতে নিহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক মানুষ। এর মধ্যে গত মাসে পুলিশের গুলিতে নিহত হন তিন বিক্ষোভকারী। বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেয়া নেতারা বলছেন, চলমান সঙ্কটের সমাধানে সরকার আন্তরিক নয়।
রাজধানী কাঠমান্ডু’র বাসিন্দারা ফুয়েল ও গ্যাসের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করেন। গলাকাটা দামে কালোবাজার থেকে কিনে নেন অনেকে। প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি’র ভঙ্গুর জোট সরকারের অন্যতম শরিক দল মাওয়িস্ট পার্টি। দলটির মুখপাত্র দিনানাথ শর্মা বলেন, এ ধরনের খবর এসেছে যে; দুর্নীতির পরিমাণ বাড়ছে। সরকার জনগণের প্রত্যাশা পূরণে সক্ষম হচ্ছে না। ৬৩ বছরের কেপি শর্মা অলি যে সরকার পরিচালনা করছেন তাতে উপ-প্রধানমন্ত্রীর সংখ্যা ৬-এর কম নয়। তাদের সবার চিন্তাভাবনা এক রকম নয়। রাজনৈতিক বিষয়ে তাদের অবসস্থান নিয়ে পারস্পরিক মতবিরোধ রয়েছে। এসবের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ভারতের সঙ্গে নেপালের সম্পর্কে অচলাবস্থা। সবমিলে তার পতনের আশঙ্কা জানানো হয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে।
তবে সরকারে অস্থিরতা থাকলেও একেবারে নিরাশ নন নেপালের ক্ষমতাসীনরা। প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি’র রাজনৈতিক উপদেষ্টা বিষ্ণু রিমাল বলেন, শিগগিরই সরকার পরিবর্তনের কোনও আশঙ্কা তিনি দেখছেন না। উল্লেখ্য, নেপালের একদিকে ভারত, অন্যদিকে হিমালয় ও চীন। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, ওষুধপত্র, শিল্প পণ্য, জ্বালানি তেল থেকে শুরু করে সব ধরনের সরবরাহের জন্য দেশটি প্রায় ভারতের ওপর নির্ভরশীল। দক্ষিণ নেপালের মদেশি, তেরাট অঞ্চল হচ্ছে এসব সরবরাহের রুট। কিন্তু এই মদেশিরাই সংবিধানবিরোধী আন্দোলন করছে। কাঠমা-ুর অভিযোগ, নেপালের নতুন সংবিধান প্রণয়নের পর ভারত তার বিরুদ্ধে অঘোষিত অবরোধ আরোপ করেছে। আর ভারত বলছে, কোনও অবরোধ নয়, মদেশি ও তেরাট অঞ্চল দিয়ে পণ্য পরিবহন করা ঝুঁকিপূর্ণ। আন্দোলনকারীরা ট্রাক, বাস, ট্রলির ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে। সেখানে পরিবহনকর্মীদের জীবনের নিরাপত্তা নেই। তাই এটা অবরোধ নয়; সংশ্লিষ্টদের জীবনের নিরাপত্তার প্রশ্ন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন