মেঘনানদীর প্রধান শাখা খাল এক সময়ের ঐতিহ্যবাহী ভূলুয়া নদী।নদীটি বহু ইতিহাসের সাক্ষী।তবে কালের প্রবর্তনে তার নাব্যতা হারিয়ে বিশাল যৌবনের ভাটা পড়ে গেছে ভূলুয়া নদীটি। তবুও তার অস্তিত্ব টিকে রাখতে যুগের পর যুগ নিজের সাথে নিজে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে নিরন্তর। ভূলুয়ার দুই পাড়ের অনেকটা অংশ দুই জেলা লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালীর সীমানায় অবস্থান।
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার ৯নং চরগাজী ইউনিয়নের ৫নংওয়ার্ডের ভূলুয়া নদীর এপাড়ে প্রচন্ড ভাঙ্গছে। ভূলুয়া নদীর পাড়ের জঙ্গলা বাঁধের কারণে নদীর পানির প্রবল প্রবাহে এপাড়ের ভূমিতে অতিরিক্ত স্রোতে এ ভাঙ্গন তৈরী হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ভুলুয়ানদীর পাড়ের রামগতির অনেক পরিবার।নষ্ট হচ্ছে ফসল ও আবাদী কৃষি জমি।
নদী পাড়ের রোকসানা আক্তার,বিবি কুলসুম,রায়হান ও সবুজ জানান একদিকে মেঘনানদী অন্যদিকে ভূলুয়া নদীর ভাংগনে আমরা দিশেহারা। কোথায় যাবো? কি করবো কোন কিছুই মাথায় ধরছেনা।ভূলুয়া নদীর ঐ পাড়ে নোয়াখালীর সদর অংশে জঙ্গলা বাঁধের কারনে এ অঞ্চলের মানুষ গুলো প্রচুর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।ভূলুয়া নদীর ঐপাড়ে নোয়াখালী সদর আর এপাড়ে লক্ষ্মীপুরের রামগতি হওয়ায় এর সমাধানেও জটিলতা তৈরি হচ্ছে। এতে করে রামগতি অংশে ব্যাপক ভাংগনের কবলে পড়ছে।ভুলুয়ানদীর তীরবর্তী সড়ক গুলোও ভাংগনের কবলে রয়েছে। নদী পাড়ের বসবাসকারী মানুষের ঘরবাড়ী ও বসত ভিটি হুমকির মুখে রয়েছে।
চরগাজী ইউপি চেয়ারম্যান তাওহিদুল ইসলাম সুমন বলেন একটু সচেতনভাবে বিষয়টা নোয়াখালী সদর উপজেলা কর্তৃপক্ষের নজরে দিলে দু পাড়ের জনগণেই এই অহেতুক ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবেন বলে আশা করা যায়।
রামগতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আব্দুল মোমিন বলেন ভূলুয়া নদীর রামগতি অংশে ভাংগনের বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছি।
উপজেলা চেয়ারম্যান শরাফত উদ্দীন আজাদ সোহেল বলেন, ভূলুয়া নদীর ঐ পাড় নোয়াখালীর সদর অংশে জঙ্গলা বাঁধের কারনে এ অঞ্চলের মানুষ গুলো প্রচুর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন