শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

তদন্তে প্রমাণিত রাবি প্রশাসনের দুর্নীতি

শিক্ষক নিয়োগে স্বজনপ্রীতি ও আর্থিক লেনদেন, অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানের সুপারিশ ইউজিসির

রাবি সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২৩ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০১ এএম

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভিসি অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান ও প্রো-ভিসি অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত কার্যক্রম শেষে সুপারিশসহ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। 

তদন্ত প্রতিবেদনে ভিসি অধ্যাপক আব্দুস সোবহান, প্রো-ভিসি চৌধুরী মো. জাকারিয়া ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আব্দুল বারীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক এবং তাদের ওপর নির্ভরশীল সবার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের উৎস অনুসন্ধানের সুপারিশ করেছে ইউজিসি। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ইউজিসির তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, চলতি বছরের গত ৪ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দুর্নীতির তথ্য-উপাত্ত সম্বলিত ৩০০ পৃষ্ঠার একটি অভিযোগপত্র প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, দুর্নীতি দমন কমিশন ও ইউজিসিতে দাখিল করে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের একাংশ। পরে প্রধানমন্ত্রীর দফতর ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে অভিযোগগুলো তদন্তে ইউজিসি একটি কমিটি গঠন করে। কমিটিতে ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক দিল আফরোজা বেগমকে আহ্বায়ক এবং অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীরকে সদস্য করা হয়। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তদন্ত কমিটি উভয় পক্ষের বক্তব্য উপস্থাপনে উন্মুক্ত শুনানির আয়োজন করে।
তদন্ত কমিটি জানান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও দুর্নীতি দমন কমিশনে সুপারিশসহ ৭৩৬ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে । এতে ৩৬ পৃষ্ঠার মূল প্রতিবেদন এবং ৭০০ পৃষ্ঠার সংযোজনী প্রতিবেদন রয়েছে। প্রতিবেদনে তাদের সম্পদের উৎস খুঁজে বের করার পাশাপাশি রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আব্দুল বারীকে অপসারণের সুপারিশও করা হয়েছে।
ইউজিসির তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, রাবি প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ খতিয়ে দেখতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ইউজিসিকে নির্দেশনা দেওয়া এ নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করে ইউজিসি। তদন্তে ভিসিসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অন্যদের বিরুদ্ধে ২৫টি অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে। এর মধ্যে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণে প্রেসিডেন্টকে (চ্যান্সেলর) অসত্য তথ্য দেয়া, শিক্ষক নিয়োগে স্বজনপ্রীতি ও আর্থিক লেনদেনের মতো গুরুতর অভিযোগও রয়েছে।
ইউজিসির তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম বলেন, তদন্ত কমিটি সুপারিশসহ তদন্ত প্রতিবেদন গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং গত বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও দুর্নীতি দমন কমিশনে জমা দিয়েছে। তদন্তে আমরা রাবি প্রশাসনের বিভিন্ন জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছি। তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট দফতর এসব বিবেচনা করে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন