যুক্তরাষ্ট্রের কারাগারগুলোতেও আগাম ভোটের হাওয়া লেগেছে। বিশেষ ব্যবস্থায় জেলের ভেতরে বসেই কয়েদিরা আগাম ভোট দিচ্ছেন। তবে অপরাধ ও শাস্তির মাত্রার ওপর ভিত্তি করে ভোট দেয়ার সুযোগ পান বন্দিরা। সেক্ষেত্রে গুরুতর অপরাধীদের ভোটাধিকার নেই দেশটিতে।
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম অঙ্গরাজ্য শিকাগোর কুক কাউন্টি কারাগারে গতকাল আগাম ভোগ দেয়ার জন্যই কয়েদিরা জড়ো হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যে প্রায় ১৮শ কারাগার রয়েছে। যেখানে কয়েদির সংখ্যা ১২ লাখের বেশি। দেশটির অন্যান্য নাগরিকদের মতো এসব কয়েদিদেরও রয়েছে ভোট দেয়ার অধিকার। কোনো কোনো রাজ্যে কারাগারের সব কয়েদিই পান ভোটের সুযোগ। আবার কোনো রাজ্যে কয়েদিদের অপরাধ ও শাস্তির মাত্রার ওপর ভিত্তি করে দেয়া হয় ভোটের সুযোগ।
কারাগারের এক কয়েদি জানায়, ‘জেল থেকেও নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছি। এটাই আমার জন্য বড় প্রাপ্তি।’
কারাগারের আরেক কয়েদি বলেন, ‘এটাই আমার প্রথমবারের মতো ভোট দেয়া। নিজেকে খুবই সম্মানিত বোধ করছি। আমিও যে এদেশের একজন নাগরিক সেই অনুভূতি পাচ্ছি।’
তবে যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী, মারাত্মক অপরাধ নথিভুক্ত হওয়ায় দেশটির প্রায় ৫২ লাখ মানুষ পাবেন না ভোট দেয়ার সুযোগ। গেল নির্বাচনে এ সংখ্যা ছিলো ৬১ লাখ। ভোটে নিষেধাজ্ঞা থাকা মাত্র ২৫ শতাংশ কয়েদি ভোট দিতে পারছেন না। বাকিরা মুক্ত কিংবা প্যারোলে রয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের কয়েদিদের এক-তৃতীয়াংশই কৃষ্ণাঙ্গ। অথচ দেশটির মোট জনসংখ্যার মাত্র ১৩ শতাংশ কৃষ্ণাঙ্গ। এ নিয়ে কিছুদিন পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহর ও রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে বর্ণবাদের অভিযোগ। সূত্র : বিবিসি, রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন