শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

মানুষের শরীরে নতুন লালাগ্রন্থির সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ অক্টোবর, ২০২০, ২:৫৯ পিএম

মানুষের শরীরে একজোড়া নতুন লালাগ্রন্থির সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। নাকের পিছনে থাকা প্রায় দেড় ইঞ্চি দৈর্ঘ্যের এই লালাগ্রন্থিগুলো সন্নিহিত অঞ্চলকে শুষ্কতার হাত থেকে রক্ষা করে। ১০০ জনের উপর পরীক্ষা চালিয়ে এই বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন নেদারল্যান্ডস ক্যান্সার ইনস্টিটিউট-এর দুই গবেষক। তাদের এই গবেষণাপত্রটি সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে ‘জার্নাল রেডিয়োথেরাপি অ্যান্ড অঙ্কোলজি’তে।

বিজ্ঞান বই-এর পাতায় লেখা থাকত এতদিন, মানবদেহে তিনটি প্রধান লালাগ্রন্থি রয়েছে। প্যারোটিড, সাবম্যান্ডিব্যুলার এবং সাব-লিঙ্গুয়াল। এ ছাড়াও শরীরের ন্যাসোফ্যারিঙ্গাল অংশে রয়েছে হাজারো অসংখ্য ক্ষুদ্র এবং অতি-ক্ষুদ্র লালাগ্রন্থি। সেইসব বই-এর পরবর্তী সংস্করণে লালাগ্রন্থির সংখ্যা একটা বেড়ে যাবে। টরাস টিউবারিয়াস নামের এক তরুণাস্থির উপর অবস্থিত হওয়ায় ওই লালগ্রন্থির নাম গবেষকরা ‘টিউবারিয়াল স্যালিভারি গ্ল্যান্ড’ রেখেছেন। যদিও নেহাতই আকস্মিক ভাবেই এই লালাগ্রন্থির সন্ধান পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তারা। প্রস্টেট ক্যান্সার নিয়ে গবেষণা চালাতে তারা একই ব্যক্তির দেহে সিটি স্ক্যান এবং আরও আধুনিক পিএসএমএ পজিট্রন এমিসন টমোগ্রাফি স্ক্যান করে, সেই ছবি থেকে পরীক্ষা চালাচ্ছিলেন। সেই সূত্রেই ‘ট্রেসার’ এলিমেন্ট ঢুকে পড়ছিল ওই লালাগ্রন্থিতে।

একজনের দেহে এ রকম ছবি পাওয়ার পর পরীক্ষার জন্য আরও শ’খানেক মানুষকে এই লালাগ্রন্থির অস্তিত্বের খোঁজে পরীক্ষায় সামিল করেন তারা। সব ক্ষেত্রেই তা দেখার পর মৃত শরীরেও পোস্ট মর্টেম করে গ্রন্থিটির উপস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে তা গবেষণাপত্রে প্রকাশ করেছেন তারা। গবেষকদের দাবি, এই গ্রন্থির আবিষ্কার ক্যান্সার চিকিৎসায় কেমোথেরাপি দেয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। মাথা এবং ঘাড়ে রেডিয়েশন দেয়ার সময় চিকিৎসকদের সতর্ক থাকতে হবে, যাতে তা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। সতর্ক না হলে খাওয়া/চিবানো বা কথা বলার ক্ষেত্রেও সমস্যায় পড়তে পারেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি। সূত্র: দ্য নিউইয়র্ক টাইমস।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন