রায়পুরা উপজেলার ছাত্রলীগ সভাপতি আসাদুল হক চৌধুরী শাকিলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এক মেয়েকে বাড়ি থেকে ডেকে রাজু অডিটোরিয়ামে নিয়ে ধর্ষণ করেন। রায়পুরা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গেছে। ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় রায়পুরার রাজনৈতিক অঙ্গনসহ সর্ব-মহলে চলছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়।
স্থানীয় লোকজন ও ভিকটিমের পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে রায়পুরা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাকিল নবীয়াবাদ গ্রাম থেকে ভিকটিমকে রাজু অডিটোরিয়ামে ডেকে নিয়ে রায়। সেখানে ভিকটিমকে একটি নীরব কক্ষে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। ঘটনাটি জানাজানি হয়ে গেলে স্থানীয় লোকজন চারদিক থেকে অডিটোরিয়াম ঘেরাও করে। টের পেয়ে ছাত্রলীগ নেতা শাকিল কৌশলে বেরিয়ে পালিয়ে যায়। পরে লোকজন ৯৯৯ নম্বারে কল করলে রায়পুরা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
ভিকটিমের বাবা জানান, আমার মেয়ের উপর অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছে ছাত্রলীগ নেতা শাকিল। আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই। স্থানীয়রা জানান, কিছুদিন পরপরই ছাত্রলীগ নেতা শাকিল মেয়েটিকে রাতের বেলায় অডিটোরিয়ামে ডেকে নিয়ে আসত। মেয়ের পরিবারের লোকজন নিরীহ হওয়ায় প্রভাবশালী ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে সাহস পেত না। এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে ও অভিযুক্ত শাকিলকে বাঁচাতে নরসিংদী ও রায়পুরার একটি প্রভাবশালী মহল থেকে জোর তদবির চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
রায়পুরা উপজেলার আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আফজাল হোসাইন বলেন, এই ঘটনা শুনেছি। শাকিল ছেলেটি খুবই বাজে চরিত্রের। এর আগেও তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ পেয়েছি। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং ধর্ষণের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানাই। রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, শাকিলের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। আসামি এখনো পলাতক রয়েছে। আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন