বিচারক-পুলিশ প্রধান নিয়োগ ও পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দেয়াসহ শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা বেড়েছে।দেশটির পার্লামেন্টে এ সংক্রান্ত আইনের সংশোধনী পাস হয়েছে। দুইদিনের তীব্র বিতর্কের পর বৃহস্পতিবার এটি পাস। দুই তৃতীয়াংশ এমপি বিলটির পক্ষে ভোট দেন। সরকার বলছে, অপেক্ষাকৃত ভালো শাসন ব্যবস্থার জন্য নতুন আইন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এ আইনে ২২৫ সদস্যর পার্লামেন্ট পাঁচ বছর মেয়াদের অর্ধেক পার হলে প্রেসিডেন্ট ভেঙ্গে দিতে পারবেন। -রয়টার্স, বিবিসি, হিমালয়ান টাইমস, এনডিটিভি
বিরোধীরা এ আইনের তীব্র সমালোচনা করছেন। বিতর্কের সময় তারা হাতে লাল কাপড় বেঁধে ক্ষোভ দেখান। আগে পার্লামেন্টের হাতে ছিলো সিংহভাগ ক্ষমতা। বিরোধী দলীয় নেতা হার্সা ডি সিলভা বলেন, এ আইনের ফলে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজপাকস প্রশাসন শ্রীলঙ্কাকে স্বৈরশাসনের দিকে নিয়ে যাবে। টুইটে তিনি বলেন, গণতন্ত্র রক্ষায় তিনি আইনের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন। কলম্বোভিত্তিক সেন্টার ফর পলিসি অলটারনেটিভসের নির্বাহী পরিচালক পাইকাসথ্য সারাভামুতু বলেন, নতুন আইন প্রস্তাবিত সংবিধানকেই বোঝায়। নতুন সংবিধান কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসের হাতে থাকছে একচ্ছত্র ক্ষমতা। এটা খুবই বিপজ্জনক। রাজাপাকসে সাবেক প্রতিরক্ষা প্রধান। এক যুগ আগে তার হাত ধরেই দেশটির সেনাবাহিনী তামিল টাইগারদের পরাজিত করে। গত বছরের নভেম্বরে তিনি প্রেসিডেন্ট হন। গত আগস্টে তার দল ও জোট পার্লামেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হন। এরপর তিনি তার বড় ভাই মাহিন্দ্র রাজাপাকসেকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন