শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

বিশ্বনবীর ‘ব্যঙ্গচিত্রকে’ রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায় প্রদর্শণ কুদৃষ্টান্ত

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৪ অক্টোবর, ২০২০, ২:০৯ পিএম | আপডেট : ৩:০৩ পিএম, ২৪ অক্টোবর, ২০২০

 

জনপ্রিয় ইসলামিক ব্যক্তিত্ব আবদুল হাই মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ বলেছেন, রাসূলের অপমানে যদি কাঁদে না তোর মন, মুসলিম নয় মুনাফিক তুই রসূলের দুশমন।তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে লিখেছেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতার সাথে কারো "ব্যাঙ্গ" চিত্রের প্রদর্শন কীভাবে সভ্যতা হতে পারে, তার উত্তর কিছু 'অসভ্যের' কাছে নিশ্চয়ই আছে। সেই সব অসভ্যদের মাঝে একটি রাষ্ট্রের প্রধান হয়ে "ওয়াল্ড অসভ্য ৠাংকিং"-এ এখন এক নাম্বার স্থানটি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট দখল করে আছেন। যিনি সমগ্র বিশ্বের সার্বজনীন শ্রেষ্ঠ মহামানব, বিশ্বনবীর "ব্যঙ্গচিত্রকে" রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায় প্রদর্শন করে ইতিহাসে; ইসলাম ও অন্যধর্মের নবী বিদ্বেষের নতুন 'কুদৃষ্টান্ত' উপস্থাপন করেছেন।

তিনি উল্লেখ করেন, আমাদের হৃদয় ভেংগে যাচ্ছে, অন্তরের রক্তক্ষরণ দেখানো যাচ্ছেনা, কী করা উচিৎ তা বুঝতে না পেরে বুকফেটে কান্না আসছে! শুধুই ভাবছি যত রাগ তাদের, আমাদের নবীজীকে নিয়ে কেনো? বিদ্বেষ কেবল ইসলাম আর মুসলিমদের সাথে কেনো? মত প্রকাশ নামের খড়গ কেবল ইসলামের ধর্মীয় বিধিনিষেধ নিয়ে কেনো?

এসবের নানান উত্তর জানার পরও মন শান্ত হচ্ছেনা, অবিরাম অশান্তি আর দুঃখবোধে বুক ভারী হয়েই যাচ্ছে। শুধু ধৈর্যের সঙ্গে নিজেকে সান্তনা দিচ্ছি একটি আয়াতকে সামনে রেখে, এই সত্যগোপন কারী, নীচ মানষিকতার অধিকারী, ভন্ড সভ্যতার ফেরিওয়ালা, যারা আমাদের নবী ও তার পরিবার তথা মুসলিমদের নিয়ে ব্যাঙ্গ করাকে সভ্যতা আর স্বাধীনতা বলছে, আর তাদের দোসর হয়ে যারা মুনাফিক রুপে চুপকরে তাদের এই ঘৃন্য কাজ দেখছে, তাদের ও তাদের লিডারের পরিনতি অত্যাসন্ন- " তাদের প্রত্যেকের জন্য ততটুকু আছে, যতটুকু সে গুনাহ করেছে এবং তাদের মধ্যে যে এ ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে, তার জন্য রয়েছে বিরাট শাস্তি।"

আল কুরআন। সূরা নূর: ১১

সুতরাং হে ফ্রান্স! আমাদের কলিজার ধন, চোখের পুতলি, আমাদের জীবনের চেয়ে কোটিগুন প্রিয়, রাসূল সা. এর জন্য আমাদের করনীয় খুঁজতে বুঝতে আমাদের সময় লাগলেও, আমার আল্লাহ কিন্তু 'সারী'য়ুল হিসাব'কারী হিসেবে ত্বরিৎ ফায়সালা করতে চূড়ান্ত সক্ষম। নিজেদের ভবিষ্যৎ নিজেরা শেষ করে দিও না। তোমাদের এই স্পর্ধার পরিনতি অত্যাসন্ন। হে আল্লাহ যদি তারা ফিরে না আসে এদের একটাকেও ছেড়ে দেবেন না। একটাকেও না হে আল্লাহ! আর যাদের সক্ষমতা থাকার পরেও রাসূলের অপমানেও চুপকরে আছে, নিজেদের স্বার্থে পদক্ষেপ নিচ্ছেনা, তাদের জন্য শতধীকের সাথে চীর উন্নত মমশীরের কবির দু'টো লাইন- "রাসূলের অপমানে যদি কাঁদে না তোর মন, মুসলিম নয় মুনাফিক তুই রসূলের দুশমন"।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Anowar Hossain ২৬ অক্টোবর, ২০২০, ৬:১৩ পিএম says : 0
“রাসূলের অপমানে যদি কাঁদে না তোর মন, মুসলিম নয় মুনাফিক তুই রসূলের দুশমন৷” এটি কোন কবিতার অংশ??
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন