বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

আবহাওয়া, করোনা ও বর্ণবাদ ইস্যু প্রাধান্যে নিরুত্তাপ বিতর্ক

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৫ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০১ এএম

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের শেষ বিতর্কে করোনাভাইরাস, আবহাওয়া পরিবর্তন, বর্ণবাদ ও অভিবাসন ইস্যু প্রাধান্য পেয়েছে। রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন দুজনই ছিলেন অনেকটাই সংযত। তারা একে অন্যকে কথা বলার সুযোগ দিয়েছেন। ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকলেও একে অন্যকে অসম্মান করেননি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, বোঝা গেছে মাইক বন্ধ করে দেওয়ার নতুন নিয়ম কাজে লেগেছে। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় (বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকাল ৮টা) টেনেসি অঙ্গরাজ্যের নাশভিলের বেলমন্ট ইউনিভার্সিটিতে চ‚ড়ান্ত বিতর্কের মুখোমুখি হন দুই প্রার্থী। বাইডেনের ছেলের ইউক্রেনে ব্যবসা, ট্রাম্পের কর পরিশোধ না করা আর ওবামাকেয়ার নিয়ে পরস্পরের প্রতি আক্রমণ শানান দুই প্রার্থী। সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগের বিতর্কের তুলনায় সংযত আচরণ করলেও ট্রাম্প চ‚ড়ান্ত বিতর্কে নাটকীয় কিছু করতে পারেননি। বিভিন্ন ইস্যুতে জো বাইডেনকে ব্যক্তিগত আক্রমণও করেছেন ট্রাম্প। মিথ্যা তথ্যও দিয়েছেন। দক্ষিণ সীমান্তে ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসী পরিবারগুলোকে বিচ্ছিন্ন করার নীতি নিয়ে লাতিন ভোটারদের ইস্যুতে বিতর্ক করছিলেন দুই প্রার্থী। তবে কতদিনে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া শিশুরা তাদের পরিবারের সঙ্গে মিলিত হতে পারবে তার কোনও ব্যাখ্যা দিতে পারেননি ট্রাম্প। পরিবারের কাছ থেকে সন্তানদের এভাবে আলাদা করে রাখাকে ট্রাম্পের নিষ্ঠুর আচরণ বলেন বাইডেন। জবাবে ট্রাম্প শুধু এটুকুই জানাতে পারেন যে এসব শিশু যতেœ আছে। প্রসঙ্গত, ২০১৭ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে মার্কিন সীমান্ত রক্ষাকারী কর্মকর্তারা পরিবারের কাছ থেকে ৫৪৫ শিশুকে বিচ্ছিন্ন রেখেছেন। আইনজীবীরা তাদের মা-বাবার কাছে পৌঁছাতেই পারেননি। পরিবারগুলোকে চিহ্নিত করে একত্রিত করার জন্য কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ ও আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন। করোনাভাইরাস ইস্যুতে ট্রাম্প নিজের সংক্রমিত হওয়ার অভিজ্ঞতার কথা বলেন। চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আসছে শীতে করোনার সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে। তবে ট্রাম্প বলেন, কিছু জায়গায় সংক্রমণ বাড়তে পারে। কিন্তু করোনা শিগগির চলে যাবে। শীতে করোনার সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বাইডেনও। তবে ট্রাম্প ভুল পরিসংখ্যান দিয়ে বাইডেনকে পরাস্ত করতে চান। তিনি বলেন, ৯৯ শতাংশ মানুষ সুস্থ হয়েছে। তিনি মনে করেন না শীতে ভয়াবহ কিছু হবে। বর্ণবাদ প্রসঙ্গে ট্রাম্পের দাবি, “এ কক্ষে যারা আছেন, আমি তাদের মধ্যে সবচেয়ে কম বর্ণবাদী।” তিনি ১৯৯৪ সালের অপরাধ বিলের কথাও তোলেন, যার খসড়ায় বাইডেন সহায়তা করেছিলেন। ওই আইনের কারণে বিপুল সংখ্যক আফ্রিকান-আমেরিকানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করে আসছেন। এদিকে বাইডেন তার আলোচনায় ট্রাম্পকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘অন্যতম বর্ণবাদী প্রেসিডেন্ট’ অ্যাখ্যা দেন। “তিনি প্রতিটি বর্ণবাদী আগুনেই হাওয়া দেন,” বলেন সাবেক এই মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট। বিবিসি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন