চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, তার দেশ যুদ্ধকে ভয় করে না। চীন কখনও তার সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও উন্নয়নকে ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেবে না। শুক্রবার কোরীয় যুদ্ধে চীনা সেনাদের প্রবেশের ৭০তম বার্ষিকীতে দেওয়া এক ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। বেইজিং-এর গ্রেট হল অব দ্য পিপল-এ দেওয়া ভাষণে শি জিনপিং বলেন, ‘একতরফাবাদ, একচেটিয়াবাদ ও হুমকি-ধামকিতে কোনও কাজ কাজ হবে না।’ আধুনিক চীনের জনক মাও সেতুং-এর একটি উদ্ধৃতি তুলে ধরেন শি জিনপিং। তিনি বলেন, ‘চীনের জনগণ এখন সুসংগঠিত এবং এটা কোনও হেলাফেলা করার মতো কোনও বিষয় নয়।’ এর একদিন আগেই তাইওয়ানের কাছে প্রায় ১৮০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয় বেইজিং। মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর জানিয়েছে, তাইওয়ানের সঙ্গে চুক্তিতে তিন ধরনের সমরাস্ত্র ব্যবস্থা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে রকেট লাঞ্চার, সেন্সরস ও আর্টিলারি। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা দপ্তর বলছে, এসব অস্ত্র তাদের যুদ্ধ সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি যুদ্ধ ঠেকানোয় সহায়তা করবে। নিজেদের স্বতন্ত্র দেশ দাবি করে থাকে তাইওয়ান। তবে অঞ্চলটিকে নিজেদের অবাধ্য প্রদেশ হিসেবে বিবেচেনা করে চীন। উভয় অঞ্চলের মধ্য স¤প্রতি উত্তেজনা বেড়েছে। গত সপ্তাহে মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ও’ব্রায়েন বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন না যে তাইওয়ানে আগ্রাসন চালাতে চীন প্রস্তুত রয়েছে। তারপরও ভবিষ্যতের জন্য দ্বীপটির উচিত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা। চুক্তি অনুযায়ী তাইওয়ানকে ১৩৫টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, স্থানান্তরযোগ্য হালকা রকেট লাঞ্চার এবং যুদ্ধবিমানে যুক্ত করার উপযোগী আর্টিলারি সরবরাহ করবে যুক্তরাষ্ট্র। বিবিসি বলছে, আগের যে কোনও সময়ের চেয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাইওয়ানের কাছে বেশি অস্ত্র বিক্রি করেছেন। স্বভাবতই বিষয়টি বেইজিংকেক্ষুব্ধ করে তুলেছে। শুক্রবার বেইজিং-এর গ্রেট হল অব দ্য পিপল-এ দেওয়া শি জিনপিং-এর ভাষণে যেন সেই ক্ষোভেরই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। এদিকে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওই অস্ত্র চুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বেইজিংয়ের সম্পর্কে গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। প্রয়োজন মতো এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গেøাবাল টাইমস।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন