ভারত অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগরে মহাজোটের বৈঠকে বিভেদ ভুলে গতকাল হাত মেলালেন মেহবুবা মুফতি ও ফারুক আবদুল্লা। মেহবুবার শ্রীনগরের বাসভবনে হওয়া বৈঠকের পর ফারুক অবদুল্লা বলেন, ‘আমরা বিজেপি বিরোধী। কিন্তু দেশদ্রোহী নই। এটা কোনও দেশবিরোধী জামাত নয়। আমরা জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনতে চাই। এটা কোনও ধর্মীয় লড়াই নয়। ধর্মের নামে বিভেদ সৃষ্টি করার এই চেষ্টা বিফল হবে।’
অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ফেরাতে একজোট হয়েছে মুফতি ও আবদুল্লা পরিবার। ফলস্বরূপ সেখানকার ‘জনতার স্বার্থে’ রূপ নিয়েছে বিরোধী মহাজোট ‘পিপলস অ্যালায়েন্স ফর গুপকার ডিক্লেরেশন’। এই জোটে ইতিমধ্যে নাম লিখিয়েছে সিপিএমও। কংগ্রেসও যোগ দিতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে গতকাল বিরোধীদের বৈঠকে ন্যাশনাল কনফারেন্সের প্রধান ফারুক অবদুল্লাকে মহাজোট বা গুপকার ডিক্লেরেশনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে মনোনীত করা হয়। পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতিকে দেয়া হয়েছে ভাইস-প্রেসিডেন্ট পদ। সংগঠনটির মুখপাত্র করা হয়েছে সাজ্জাদ লোনকে। আহ্বায়ক করা হয়েছে সিপিএম নেতা মহম্মদ ইউসুফ তারিগামিকে।
উল্লেখ্য, বিরোধীদের এই জোটে রয়েছে ন্যাশনাল কনফারেন্স, পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি, পিপলস কনফারেন্স, আওয়ামি ন্যাশনাল কনফারেন্স ও সিপিএম। এক যৌথ বিবৃতিতে তারা আগেই জানিয়েছিল, জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ফিরে পাওয়ার জন্য তাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই চলবে। সেই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে জম্মু-কাশ্মীরের প্রতিটি আঞ্চলিক দল ও কংগ্রেস সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, বিশেষ মর্যাদা লোপের বিরুদ্ধে তারা লড়াই করবে। ওই সিদ্ধান্ত ‘গুপকার ডিক্লারেশন’ নামে পরিচিত। বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, এই মহাজোট ভারত বিরোধীদের মঞ্চ হয়ে উঠতে পারে। সূত্র : টিওআই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন