পেশাদারিত্বের পথে আরও একধাপ এগিয়ে যাওয়ার চিন্তা-ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে)। বাফুফের বিশ্বস্ত সুত্র জানিয়েছে, জাতীয় দলের ম্যানেজার নিয়োগে ক্লাব কর্মকর্তার বলয় থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছে দেশের ফুটবলের অভিভাবক সংস্থাটি। তার ভাবছে জাতীয় দলে বেতনভুক্ত ম্যানেজারের নিয়োগের কথা। সবকিছু ঠিক থাকলে হয়তো আগামী ১৩ ও ১৭ নভেম্বর নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক দুই প্রীতি ম্যাচে জাতীয় দলের ডাগআউটে দেখা যেতে পারে বেতনভুক্ত ম্যানেজার।
নেপাল ম্যাচকে সামনে রেখে ২৩ অক্টোবর শুরু হয়েছে জাতীয় দলের আবাসিক ক্যাম্প। পরের দিন সকাল থেকে মাঠের অনুশীলনে নামেন ফুটবলারা। আবাসিক ক্যাম্পের জন্য জাতীয় দলের প্রাথমিক স্কোয়াড ঘোষণার পাশাপাশি কর্মকর্তাদের নামও প্রকাশ করে বাফুফে। তবে দেখা যায় ওই তালিকায় কোনো ম্যানেজারের নাম নেই। ফুটবলাররা রিপোর্ট করেন স্থানীয় সহকারী কোচের কাছে। অথচ বছরের পর বছর দেখা গেছে জাতীয় দলের ক্যাম্প শুরুর আগে ফুটবলাররা রিপোর্ট করেছেন ম্যানেজারের কাছে।
বাংলাদেশ জাতীয় দলের ম্যানেজার পদে দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছেন ঢাকা আবাহনী ফুটবল দলের ম্যানেজার ও বাফুফের সদস্য সত্যজিৎ দাস রুপু। তবে তার নিয়োগ নিয়ে দিনের পর দিন বইছে সমালোচনার ঝড়। বিশেষ করে জাতীয় দলের খেলোয়াড় বাছাই নিয়ে রুপুর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন আছে ফুটবলপ্রেমীদের মনে!
অনেক আগে থেকেই বাফুফের চারবারের সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিনের ইচ্ছা জাতীয় দলের জন্য একজন বেতনভুক্ত ম্যানেজার নিয়োগ দেয়া। কিন্তু নানা জটিলতায় এতোদিন তা কার্যকর হয়নি। এবার ম্যানেজার ছাড়া জাতীয় দলের কর্মকর্তাদের নামের তালিকা প্রকাশের পর বিষয়টি সামনে এসেছে। বাফুফের বিশ্বস্ত ওই সুত্রটি আরো জানায়, এবার জাতীয় দলের ম্যানেজার হিসেবে নিরপেক্ষ কাউকে দেখা যাবে। চলতি সপ্তাহেই জাতীয় দল কমিটির সভা হতে পারে। এ সভায় ম্যানেজারের বিষয়টি চূড়ান্ত হওয়ার কথা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন