সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছন্ন পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে। যার কারণে এ উপজেলায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে নৌ দুর্ঘটনা। চলতি বছরেই ১০ মাসে এ উপজেলার আসা যাওয়ার প্রধাননদী আগুনমুখা নদীতেই স্পিডবোট দুর্ঘটনায় ইতোমেধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ৭ জন।
জানা যায়, চলতি বছরেরর ৬ জানুয়ারি পায়রাবন্দর সংলগ্ন আগুনমুখা নদীতে পায়রাবন্দরের স্পিডবোটের সাথে আহমেদ এন্টারপ্রাইজের যাত্রীবাহী স্পিডবোটের সংঘর্ষে ৬ জন যাত্রীসহ বোটটি নিমজ্জিত হয়। পরবর্তীতে চারজনকে উদ্ধার করা গেলেও হারুন হাওলাদার ও আইয়ুব হাওলাদার নামে দুইজন যাত্রীর মৃত লাশ দুর্ঘটনা পরবর্তী ২য় ও ৪র্থ দিনে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। সর্বশেষ গত ২২ অক্টোবর বিকেল ৫টার দিকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্য ১৮ জন যাত্রী নিয়ে আহমেদ এন্টারপ্রাইজের রুমীন-১ নামের স্পিডবোটটি আগুনমুখা নদীর ঢেউয়ের আঘাতে বোটের তলা ফেটে স্পিডবোটটি ডুবে যায়।
এ সময় সাঁতার কেটে চালকসহ ১৩ জন কিনারে পৌঁছতে পারলেও বাকি ৫ জন নিখোঁজ রয়ে যায়। গত শনিবার সকালে ঘটনার দুইদিন পরে কোস্টগার্ড রাঙ্গাবালী স্থানীয় জনগেণর সহায়তায় সকাল ৬টা থেকে পর্যায়ক্রমে আগুনমুখা নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে নিখোঁজ ব্যাক্তিদের লাশ উদ্ধার করে। এদিকে, প্রায় দেড়লাখ জনসংখ্যা অধ্যুষিত বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের পাদদেশে রাঙ্গাবালী উপজেলায় সড়াসড়ি সড়ক যোগাযোগের বড় বাধা আগুনমুখা নদী।
বছরের মার্চ মাস থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত প্রচন্ড উত্তাল থাকায় এলাকার জনগণকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত নৌপথে পাড়াপাড় হতে হয়। যার ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা।
পটুয়াখালী নদী বন্দরের কর্মকর্তা খাজা সাদিকুর রহমান জানান, ঐ রুটে চলাচলের জন্য দুটি প্রতিষ্ঠানের ১২টি স্পিড বোট চলাচল করছে। বিভিন্ন বোটের ধারণ ক্ষমতা বিভিন্ন এবং ভাড়া ৬০ টাকা। কিন্তু যে বোটটি গত ২২ অক্টোবর আগুনমুখা নদীতে দুর্ঘটনার শিকার হয়। ঐ বোটটির ধারণ ক্ষমতা ছিল ১২ জনের। কিন্তু তারা নদীবন্দরের সতর্কতা সংকেত অমান্য করে দুযোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে ১৮ জন যাত্রী নিয়ে লাইফ জ্যাকেট ছাড়াই চালানোর জন্য এ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা গেছে। তিরি আরও জানান, ধারণ ক্ষমতার অধিক যাত্রী নিয়ে লাইফজ্যাকেট বিহীন চলাচল করার দায়ে এ স্পিটবোটের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন