শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

আলুশূন্য ঝালকাঠির বাজার

ঝালকাঠি জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২৬ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০০ এএম

আলু শূন্য হয়ে পড়েছে ঝালকাঠির বাজার। একদিকে আলুর চড়া দাম, অন্যদিকে সরকারের বেধে দেয়া মূল্য নিয়ে দোটানায় পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে স্থানীয় আড়ৎ, বাজার ও খুচরা বিক্রির দোকানে আলু পাওয়া যাচ্ছে না। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, আলু পাইকারি যে দামে কেনা হচ্ছে, সে দামে ক্রেতারা কিনতে চায় না। অন্যদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে জেল-জরিমানার ভয়ও রয়েছে তাদের মধ্যে। এদিকে ক্রেতারা বলছেন, বাজারে বেশি দামেও মিলছে না আলু। অভিযানের ভয়ে ব্যবসায়ীরা দোকানে আলু উঠাচ্ছেন না। এতে প্রায় আলু শূন্য হয়ে পড়েছে ঝালকাঠির বাজার।
জানা যায়, ঝালকাঠি শহরের ১০-১২টি আড়তে আলুতে সয়লাব থাকতো। মুন্সিগঞ্জ থেকে পাইকাররা এখানে আলু নিয়ে আসে। অনেক সময় বরিশালের আড়ত থেকেও আলু আনা হয় ঝালকাঠি। আড়তদারপট্টি থেকে শহরের প্রধান বাজারসহ জেলার বিভিন্ন বাজার ও দোকানে পাইকারি বিক্রি করা হয়। কিন্তু গত দুদিন ধরে ঝালকাঠিতে মুন্সিগঞ্জ কিংবা বরিশাল থেকে আলু আসছে না। ব্যবসায়ীরাও আলু আনতে আগ্রহী নয়। সরকার ৩৫ টাকা খুচরা বাজারে বিক্রির নির্দেশ দেয়ায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। বাজারে আলু না থাকায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ক্রেতারা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আলুর বর্তমান পাইকারি বাজার দর হচ্ছে ৩৫-৩৬ টাকা। মুন্সিগঞ্জ থেকে ঝালকাঠিতে আনার খরচের পরে স্থানীয়ভাবে পাইকারি বিক্রি করতে হয় ৪০ টাকা। বাজার খুচরা মূল্য একটু বেশি হবে। ৪২-৪৫ টাকা কেজি দাম শুনে ক্রেতাদের মুখ মলিন হয়ে যায়। অনেকে আবার সরকারের নির্ধারিত মূল্য স্বরণ করিয়ে দেয়। অপরদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত বাজার মনিটরিং করছেন। এতে বাজারে আলু উঠিয়ে বিপাকে পড়ার আশঙ্কা করছেন বিক্রেতারা। ক্রেতারা বাজারে গিয়ে আলু না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। অনেক ক্রেতা বেশি দামে কিনতে চাইলেও বাজারে আলু পাচ্ছেন না।
ঝালকাঠি শহরের পূর্ব চাঁদকাঠি এলাকার আবুল হোসেন বলেন, বাজারে গিয়ে কোনো দোকানে আলু পাইনি। আড়তে গিয়ে দেখলাম, আলু নেই। তাই না কিনেই বাড়িতে ফিরতে হচ্ছে। কলাবাগান এলাকার রিকশাচালক মাসুম হোসেন বলেন, আমাগো গরিবের কাছে আলুই বড় তরকারি। বাজারের কোথাও আলু পাইনি। শুনেছি, দুই-এক দিনে পাবো না। অন্যান্য সব জিনিসেরই দাম বেশি।
আড়তদারপট্টির খন্দকার ট্রেডার্সের মালিক হুমায়ুন খন্দকার বলেন, আমাদের আড়তে মুন্সিগঞ্জ থেকে আলু আসে। বাজারের দামের সঙ্গে সরকার নির্ধারিত মূল্যের সামঞ্জস্যতা নেই। ৩৫-৩৬ টাকায় পাইকারি কিনে কত টাকায় বেচবো? অন্তত ৪০ টাকা বাজারে বিক্রি করলেও বিপদে পড়তে হচ্ছে। খুচরা বাজারে আরো বেশি দরে বিক্রি করতে হয়। বর্তমানে ঝালকাঠির আড়ত, বাজার ও স্থানীয় দোকানে আলু নেই। দু-এক দিনের মধ্যে পরিস্থিতি বুঝে আলু উঠাবো। শংকর ট্রেডার্সের মালিক শংকর সাহা বলেন, আলু ঝালকাঠিতে আসছে না। আমরা বিক্রিও করতে পারছি না। ক্রেতাদের চাহিদা থাকা সত্তে¡ও আমরা আলু দিতে পারছি না।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন