বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

পানিবদ্ধ বরিশাল মহানগরী

আমন ধান এখনো পানির নিচে

বরিশাল ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ২৬ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০০ এএম

টানা ৫ দিন পরে গতকাল দক্ষিণাঞ্চলে সূর্যের হাসি ফুটেছে। সকাল থেকে স্বমহিমায় আবিভর্‚ত হয় সূর্য মামা। তবে এবারের নিম্নচাপের প্রভাবে প্রবল বর্ষণ আর জোয়ারের পানিতে আমন ধানের যথেষ্ট ক্ষতির আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। রোপা আমনের প্রায় ৭৫ ভাগ জমি দু’দিনের বর্ষণে প্লাবিত হবার পরে তা এখনো বিপদমুক্ত হয়নি। আগাম শীতকালীন সবজির বেশিরভাগই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখনো দক্ষিণ জনপদের বিশাল এলাকা পানির তলায়।
অপরদিকে নিম্নচাপের প্রভাবে প্রবল বর্ষণ থেমে যাবার ৪৮ ঘণ্টা পরেও বরিশাল মহানগরীর অনেক রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন এলাকার পানিবদ্ধতা দূর হয়নি। পশ্চিম প্রান্ত থেকে নগরীর প্রবেশদ্বার হিসেবে খ্যাত নবগ্রাম রোডের একটি বড় এলাকা এখনো বৃষ্টির পানিতে সয়লাব। নগরীর আরো বেশকিছু এলাকার রাস্তাঘাট থেকেও এখনো পানি সরেনি। পাশের ড্রেনগুলো উপচে পানি রাস্তায় গড়াচ্ছে।
নগরীর সোয়া ৩শ’ কিলোমিটার ড্রেনগুলো নিয়মিত পরিস্কার হচ্ছে না বলে অভিযোগ নগরবাসীর। এছাড়াও যে কয়টি খাল রয়েছে সেগুলোও নিয়মিত পরিস্কার না করায় ড্রেনের পানি যেতে পারছে না। নগরীর প্রায় ২শ’ কিলোমিটার পাকা ড্রেনেরও প্রায় একই অবস্থা। অথচ ছাউনিযুক্ত পাকা এসব ড্রেন পরিস্কার রাখা খুব কঠিন নয়। এর মাধ্যমে পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা নির্বিঘœ রাখা অনেক সহজতর হলেও এ নগরী মাঝারি বৃষ্টিতেও প্রতিনিয়ত অবরুদ্ধ হচ্ছে। মূলত নগরীর বেশিরভাগ ড্রেন নিয়মিত ও যথাযথভাবে পরিস্কার না করার কারণেই রাস্তা আর ড্রেন একাকার হয়ে যাচ্ছে। কাঁচা ড্রেনগুলোর অবস্থা আরো খারাপ।
‘প্রাচ্যের ভেনিস’ খ্যাত বরিশাল মহানগরী থেকে বেশিরভাগ খাল বিলুপ্ত হয়েছে অনেক আগে। নগরীতে পানি আটকে থাকার এটাও অন্যতম কারণ বলে মনে করেন নগর পরিকল্পনাবিদরা। খালের পরিবর্তে যেসব পাকা ড্রেন নির্মাণ করা হয়েছে তা যদি নিয়মিত পরিস্কার করা হয়, তবে এ ধরনের সঙ্কট অনেকটাই কমে আসবে।
গত বৃহস্পতি ও শুক্রবারের প্রবল বর্ষণে নগরীর নিম্নাঞ্চলসহ প্রায় ৫০ শতাংশ এলাকা পানির নিচে তলিয়ে ছিল। গতকাল পর্যন্ত কিছু রাস্তায় ছিলো পানির ঢেউ। নগরীর ১৪টি বস্তি এলাকায় বৃষ্টি আর জোয়ারের পানি থৈ থৈ করছে গত কয়েকদিন। হাজার হাজার ছিন্নমূল মানুষের দুর্গতির শেষ নেই। নগরীর সদর রোডসহ সকল এলাকা প্রায় হাটু পানিতে তলিয়ে যায় গত শুক্রবার। ময়লা আবর্জনায় ড্রেন আটকে জমে থাকা পানি গোটা এলাকাকে ড্রেনে পরিণত করে। বর্ষায় আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত নগরীর বেশিরভাগ সড়ক মে মাস থেকে তিন দফার প্লাবন আর অতি বর্ষণে পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে যাওয়ার পর্যায়ে পৌঁছেছে।
এসব বিষয়ে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা ডা. মো. রবিউল ইসলাম জানান, আমরা দিন রাত কাজ করে যাচ্ছি। নগরীর ড্রেন পরিস্কার না করার বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, খালগুলো বন্ধ করায় সমস্যা বেড়েছে। পানি নামতে পারছে না। নবগ্রাম রোড খালসহ অন্য খালগুলো ভরাট হয়ে গেছে। এসব খাল পুণঃখনন না করলে পরিস্থিতির উন্নতি দুঃসাধ্য বলেও জানান তিনি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন