বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

টেকসই হচ্ছে না

দেশের সড়ক-মহাসড়কে ব্যয়বহুল কার্পেটিং

কামাল আতাতুর্ক মিসেল | প্রকাশের সময় : ২৬ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০০ এএম

২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে বাংলাদেশ। এজন্য প্রণয়ন করা হয়েছে ২০ বছর মেয়াদি দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা (২০২১-২০৪১) রূপকল্প-২০৪১। লক্ষ্য ২০৪১ সালে ৯ দশমিক ৯ শতাংশে উন্নীত হবে জিডিপি প্রবৃদ্ধি। গড় মাথাপিছু আয় দাঁড়াবে ১২ হাজার ৫০০ ডলার, দারিদ্র্যের হার নেমে আসবে ৫ শতাংশে। কিন্তু অর্থনীতির এসব লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নির্মাণ হচ্ছে না দেশের সড়ক-মহাসড়ক। পরিকল্পনার ভুলে আর অদূরদর্শিতায় সরকারের অর্থনৈতিক লক্ষ্য থেকে অনেক দূরে দেশের যোগাযোগ অবকাঠামো।

উন্নত অর্থনীতির পথে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য ও পণ্য পরিবহন যে হারে বাড়বে তার জন্য প্রয়োজন হবে ছয় থেকে আট লেনের মহাসড়ক। অথচ বাংলাদেশ এখনো চার লেনের মহাসড়ক নির্মাণে একের পর এক প্রকল্প বাস্তবায়ন করে চলেছে। শুধু তা-ই নয়, এসব নির্মিত মহাসড়কের মানও ভালো নয়। বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট সড়ক বাংলাদেশে। উন্নয়নশীল থেকে উন্নত হওয়ার পথে থাকা অন্য দেশগুলো সড়ক অবকাঠামোয় যেভাবে এগিয়ে, সে তুলনায় অনেকটা পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ।

বিশ্বব্যাংকের যোগাযোগ অবকাঠামো সূচকে সিঙ্গাপুরের অবস্থান পাঁচ নম্বরে। একই সূচকে মালয়েশিয়ার অবস্থান ৩৩, থাইল্যান্ড ৪১ এবং দক্ষিণ এশিয়ার মালদ্বীপ আছে ৭২ নম্বরে। ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকাও বাংলাদেশের উপরে আছে। সূচকে ১৬৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১০৯।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব দেশ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটিয়েছে সমন্বিতভাবে। তারা আধুনিক রেল যোগাযোগ যেমন গড়ে তুলেছে, তেমনি নৌপথকেও কাজে লাগিয়েছে। প্রশস্ত রাস্তা বানিয়ে সড়ক যোগাযোগও নির্ভরযোগ্য অবস্থানে নিয়ে গেছে। উন্নত দেশগুলো প্রশস্ত, মজবুত ও সুশৃঙ্খল রাস্তা গড়ে তুলেছে। আর আমরা কেবল গড়ে তুলছি চার লেনের রাস্তা।

বাংলাদেশে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল সড়ক বানালেও সেগুলো টেকসই হচ্ছে না। কখনো চালুর আগে আবার কখনো চালুর এক বছরের মধ্যেই ভাঙাচোরা দশায় চলে যাচ্ছে এসব সড়ক-মহাসড়ক। সড়কে নিম্নমানের ভেজাল সামগ্রী ব্যবহারের ফলে সেগুলো টেকসই হচ্ছে না। বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে অবিশ্বাস্য রকমের দুর্নীতিতে মেতেছেন ঠিকাদাররা। নির্মাণের কয়েক মাসের মধ্যে কার্পেটিং ওঠে যাচ্ছে সড়কের। নতুন রাস্তার পিচ এমনিতেই উঠে আসছে কার্পেটের মতো।

সরেজমিন অনুসন্ধানে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মতো গুরুত্বপূর্ণ সড়কেও ভেজাল বিটুমিন ব্যবহারের অভিযোগ মিলেছে। এতে মহাসড়কের মিরসরাই ও কুমিল্লার চান্দিনা পয়েন্টে রাস্তার ওপর তৈরি হয়েছে ঢেউ। মিরসরাইয়ে কার্পেটিংয়ের এক বছরের মাথায় তা আবার কেটে নতুন করে কার্পেটিং করতে হয়েছে। চান্দিনার মাধাইয়া ও দাউদকান্দি টোল প্লাজার অংশে, গজারিয়া, ভবেরচর মদনপুর এলাকায় উঁচু-নিচু হয়ে আছে সড়ক।

চট্টগ্রাম মহানগরীর পোর্ট কানেকটিং রোড গত এক বছরে দু’বার কার্পেটিং করতে হয়েছে। তারপরও সড়কজুড়ে তৈরি হয়েছে ছোট-বড় শতাধিক গর্ত। এ সড়ক দিয়ে বিমানবন্দর ও কাস্টম হাউসে চলাচল করা হাজার হাজার যানবাহন ও যাত্রীকে প্রতিদিন পোহাতে হচ্ছে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ। এখন কংক্রিট দিয়ে কোনোমতে বন্ধ করা হচ্ছে এ সড়কের গর্ত।
সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী কামরান উদ্দিন দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, এ সড়কটি গত এক বছরে দুইবার কার্পেটিং হতে দেখেছি। কিন্তু কোনোভাবেই টেকসই হচ্ছে না কাজ। কিছুদিন যেতে না যেতে কার্পেটিং উঠে রাস্তায় তৈরি হচ্ছে গর্ত।

এছাড়াও ব্যাপক অনিয়ম এবং অত্যন্ত নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় নির্মাণের পরপরই ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ-ডাকবাংলা সড়কের ২৩ কিলোমিটার সড়কের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার আগেই উঠে যাচ্ছে রাস্তার কার্পেটিং। এরইমধ্যে ২৩ কিলোমিটার এ সড়ক নির্মাণের কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, পিএমপি প্রকল্পের অধীন ঝিনাইদহের ডাকবাংলা বাজার-কালীগঞ্জ সড়কের ২৩ কিলোমিটার মজবুতিসহ ওয়ারিংকোর্সের কাজ চলছে। খুলনার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মোজাহার এন্টারপ্রাইজ প্রাইভেট লিমিটেড কাজটির প্রকৃত ঠিকাদার। তবে বাস্তবে কাজটি করছেন স্থানীয় ঠিকাদার মিজানুর রহমান মাসুম। এ সড়কটির নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২০ কোটি টাকা।

স্থানীয় এলাকাবাসী দৈনিক ইনকিলাবকে জানায়, পঁচিশ দিন আগে পিচ ঢালাই দেয়া হয়েছে নতুন এ সড়কটিতে। কিন্তু নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করায় পিস ঢালাইয়ের পাঁচ দিনের মাথায় উঠে যাচ্ছে পিচ এবং সড়কটির মাঝে মাঝে বড় ধরনের ফাটল দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা জানান, সড়কের পিচ-খোয়া হাত দিয়েই উঠিয়ে ফেলা যাচ্ছে। চাপালী গ্রামের সিদ্দিক হোসেন দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের কারণে রাস্তাটি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত এ ব্যাপারে নজর দেয়া।

এদিকে ঠিকাদার মিজানুর রহমান রাস্তার কাজে কোনো নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার হচ্ছে না দাবি করে দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, যেখানে রাস্তার কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে, সেখানে টিউবওয়েলের পানি যায়। যে কারণে এমনটি হয়েছে। তাছাড়া বৃষ্টির দিনে কাজ করায় ৩০০ মিটারের মতো রাস্তার সমস্যা হয়েছে। লোক পাঠিয়েছে, সেখানকার কার্পেটিং উঠিয়ে ফেলা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার রাস্তা পুনরায় করা হবে।

সড়কটির কাজ দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের কারণে এমনটি হয়েছে। শিডিউল অনুযায়ী সড়কে কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার তিন বছরের মধ্যে কোনো সমস্যা হলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পুনরায় তা মেরামত করবে। বৃষ্টির জন্য কাজ বন্ধ রয়েছে। কাজ শুরু হলে আগে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানের কাজ করা হবে।
এদিকে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় প্রায় ৫৩ লাখ টাকায় সংস্কার করা আড়াই কিলোমিটার সড়কের একাংশের কার্পেটিং হাত দিলেই উঠে যাচ্ছে। বহুল প্রতীক্ষিত রাস্তার কাজের এই মান নিয়ে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। আর ওই সময় কাজ রেখে পালিয়েছেন ঠিকাদারের লোকজন।

জানা গেছে, লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কের কালীগঞ্জ উপজেলা সদরের তুষভান্ডার (রাজবাড়ি রোড) থেকে দলগ্রাম (খোকা চেয়ারম্যানের বাড়ি) পর্যন্ত ২ হাজার ৬০০ মিটার দীর্ঘ ও ১৬ ফুট প্রস্থের সড়কটি সংস্কারের কাজ পায় বিনিময় ট্রেডার্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। পরে ওই প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কাজটি যৌথভাবে কিনে নেয় জেলার দু’জন ঠিকাদার। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) গ্রামীণ সড়ক নির্মাণের আওতায় তুষভান্ডার-দলগ্রাম রাস্তা সংস্কারের কাজটি দেখভাল করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সংস্কার কাজ শুরুর পর থেকেই নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় লোকজন একাধিকবার কালীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আবু তৈয়ব মোহাম্মদ সামছুজ্জামানকে জানালেও কোনো কাজ হয়নি। সর্বশেষ গত ২ সেপ্টেম্বর স্থানীয় লোকজনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলে আসেন কালীগঞ্জের ইউএনও রবিউল হাসান। তিনি ব্যবহৃত খোয়ার থিকনেস কমসহ নানা অভিযোগের সত্যতা পেয়ে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশসহ উপজেলা প্রকৌশলীকে সঠিকভাবে কাজ বুঝে নেয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু এক সপ্তাহ না যেতেই আবারও নিম্নমানের সামগ্রীসহ একাধিক অভিযোগ উঠতে শুরু করে ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে। তাদের পাশাপাশি এলজিইডির দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ওঠে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ।

স্থানীয়দের অভিযোগ, রাস্তার কাজ সঠিকভাবে করা হচ্ছে না। যেভাবে কাজ করেছে সেটাকে কাজ বলা যায় না। নিম্নমানের পিচ (বিটুমিন) ব্যবহার করায় সেগুলো এখন উঠে আসছে। হাত দিয়ে টানতেই কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। এ ঘটনায় সেখানে উপস্থিত লোকজন ক্ষোভ জানায়।
স্থানীয় মোসলেম উদ্দিন দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, রাস্তার কাজের ব্যাপারে কিছু বললেই ঠিকাদারের লোকজন আমাদের ওপর উল্টো রাগ দেখায়। আর এভাবেই সরকারের টাকা নষ্ট হচ্ছে। যেনতেনভাবে নিম্নমানের বিটুমিন দিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ঠিকাদার। সে কারণে কার্পেটিং করতে না করতেই তা উঠে যাচ্ছে।

ঠিকাদারের প্রতিনিধি মাসুদ রানা জানান, সড়ক সংস্কারের কাজটি পেয়েছে বিনিময় ট্রেডার্স নামের একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। ওই প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কিনে দু’জন ঠিকাদার যৌথভাবে কাজটি করছেন। নিম্নমানের বিটুমিন দিয়ে কাজ করার কারণে কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে কিনা-এমন প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে তিনি দৈনিক ইনকিলাকে বলেন, গত কয়েকদিনের বৃষ্টির সময় কাজটি করায় কিছু অংশের কার্পেটিং উঠে গেছে। এগুলো আবার ঠিক করে দেব।
কাজটি দেখভালের দায়িত্বে থাকা এলজিইডির উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাহবুবর রহমান নিম্নমানের বিটুমিন ব্যবহার করা হয়নি দাবি করে দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, নতুন কার্পেটিং হাত দিয়ে টানলে উঠে আসবেই। দুই থেকে তিনদিন পর তা আর উঠে আসবে না। এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আবু তৈয়ব মোহাম্মদ সামছুজ্জামান বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর নিম্নমানের কাজ প্রমাণিত হলে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সড়ক বিশেষজ্ঞ ড. স্বপন কুমার বলেন, বিটুমিনের গ্রেড যত কম মান তত ভালো। মুনাফালোভী ঠিকাদাররা সড়কে ৮০ থেকে ১০০ গ্রেডের বিটুমিন ব্যবহার করতে আগ্রহী। দাম কম হওয়ায় এ ধরনের বিটুমিনে তাদের লাভও অনেক বেশি। এই বিটুমিন দেখতে খুব কালো। এ জন্য সাধারণ মানুষ মনে করে অনেক ভালো বিটুমিন ব্যবহার করা হচ্ছে। গিলসোনাইডের সংমিশ্রণ থাকা ভেজাল বিটুমিনের সড়ক এক থেকে দুই বছরের মধ্যেই নষ্ট হয়ে যায়। যেসব সড়কে ভালো গ্রেডের বিটুমিন ব্যবহার করা হয়, সেসব সড়ক গড়ে সাত থেকে ১০ বছর টিকে থাকে।

তিনি জানান, কেমিক্যাল মিশ্রণের কারণে বিটুমিনের বন্ডিং (কংক্রিট ধারণ) ক্ষমতা হ্রাস পায়। এ কারণে গরমের মৌসুমে এ ধরনের নিম্নমানের বিটুমিন ব্যবহারে তৈরি সড়কগুলো গলে কাদার আকার ধারণ করে। তখন পুরো সড়কে ঢেউয়ের আকার সৃষ্টি হয়। তৈরি হয় অসংখ্য ছোট-বড় গর্ত। বৃষ্টির সময় এ ধরনের সড়কের বিভিন্ন অংশে দ্রæত পানি ঢুকে নষ্ট হয়ে যায়।
এদিকে চলতি মাসের ৫ অক্টোবর সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের কর্মকর্তা এবং দফতর প্রধানের সঙ্গে উন্নয়ন কার্যক্রম পর্যালোচনা সভায় বিভিন্ন কাজে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ব্যয় বাড়াতে সময় মতো কাজ শেষ করা হয় না। প্রথমত আমি সড়কের কাজের গুণগত মানের কথা বলেছিলাম। এটি এখন আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। কাজের মান নিয়ে ঠিকাদার এবং সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা দায় এড়াতে পারবেন না। যারা মনিটরিংয়ে থাকবেন তাদেরও দায়বদ্ধ করতে হবে। এ নিয়ে একটি নির্দেশনা জারির কথা বলেছিলাম সচিবকে। অভিযোগ আছে প্রকৌশলী-ঠিকাদার যোগসাজশে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সময় মতো কাজ শেষ করে না ব্যয় বাড়ানোর জন্য। এতে সরকারের আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও পরিকল্পনা নষ্ট হয়, অর্থের অপচয় তো হয়ই। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় মধ্যমেয়াদি বাজেট পরিকল্পনা। এ বিষয়টিকে সিরিয়াসলি দেখতে নির্দেশ প্রধানও করেন মন্ত্রী।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন