মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

বিজয়া দশমী আজ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০০ এএম

আজ শুভ বিজয়া দশমী। শারদীয় দুর্গোৎসবের শেষ দিন। নানা আচারের মধ্য দিয়ে গতকাল মহানবমী পালিত হয়। প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ এ ধর্মীয় উৎসবের।

জাতীয় পূজা উদযাপন কমিটি সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সারা দেশের সব পূজামন্ডপে মহানবমী বিহিত পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মহানবমী উপলক্ষে বিভিন্ন পূজামন্ডপ ও মন্দিরে আরতি প্রতিযোগিতা ও প্রসাদ বিতরণ হয়।

এবার সারা দেশে তিন সহস্রাধিক স্থায়ী ও অস্থায়ী মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে করোনার কারণে কুমারী পূজা ও শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ রাখা হয়। তবে পাঁচদিনের দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতায় প্রতিবারের মতো মহাষষ্ঠী, মহাসপ্তমী, মহাষ্টমী ও মহানবমীতে হিন্দু স¤প্রদায়ের হাজার হাজার নারী-পুরুষ ধর্মীয় নানা আচার অনুষ্ঠান পালন করেছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসবে গতকালই বাজতে শুরু করেছে বিষাদের সূর। মর্ত্য ছেড়ে কৈলাসে স্বামীগৃহে ফিরে যাবেন দুর্গতিনাশিনী দেবীদুর্গা। পেছনে ফেলে যাবেন ভক্তদের চার দিনের আনন্দ-উল্লাস আর বিজয়ার দিনের অশ্রু।

গতকাল রোববার ছিল দুর্গাপূজার মহানবমী। এদিন সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটে বিহিত পূজার মাধ্যমে পালিত হয় মহানবমী। সনাতন ধর্মমতে এই নবমী পূজার আছে বিশেষ মাহাত্ম্য। এ দিন অগ্নিকে প্রতীক করে সব দেবদেবীকে আহুতি দেয়। অগ্নি সব দেবতার যজ্ঞভাগ বহন করে যথাস্থানে পৌঁছে দিয়ে থাকেন।

নবমীর পুণ্য তিথিতে অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটিয়ে পৃথিবীতে শুভ শক্তির প্রকাশ ঘটান দেবী দুর্গা। নবমী তিথি শুরু হয় সন্ধিপূজা দিয়ে। পুরাণ মতে, অষ্টমীর শেষ ২৪ মিনিট ও নবমী শুরুর ২৪ মিনিট অর্থাৎ মোট ৪৮ মিনিট সময়কে সন্ধিক্ষণ বলা হয়। আর এ সন্ধিক্ষণেই আয়োজিত হয় সন্ধি পুজো। এ সময়ই নাকি চিন্ময়ী দুর্গা পূজিতা হন মুন্ডমালিনী চতুর্ভূজা চামুন্ডারূপে। কারণ ঠিক ওই সময় দেবী দুর্গার ললাট থেকে জন্ম নেওয়া চামুন্ডা, অসুর শুম্ভ ও নিশুম্ভকে বধ করেছিলেন বলে পুরাণে বর্ণিত আছে। এই মাহেন্দ্রক্ষণে সন্ধিপুজোর রীতি বহু প্রাচীনকাল থেকে চলে আসছে।

করোনা মহামারির কারণে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে এবার সরাসরি টেলিভিশনে এবং ফেসবুকে অঞ্জলি দেয়ার ব্যবস্থার কথা আগেই জানিয়ে দেয়া হয়েছিল। ভক্তদের বাসায় বসেও অঞ্জলি নেয়ার আহ্বান জানানো হয়। সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে এবার অনেক ভক্তই বাসায় বসে অঞ্জলি গ্রহণ করেন।

তবে গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন পূজামন্ডপ ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকে মন্ডপে মন্ডপে ভিড় জমান। রংবেরঙের পোশাকে সজ্জিত সব বয়সী নারী-পুরুষ ও শিশু-কিশোরদের ভিড়ে অনেক মন্ডপেই কিছুটা উৎসবমুখর পরিবেশ। সকালেই পূজা শেষে ভক্ত-অনুরাগীরা মহানবমীর অঞ্জলিতেও অংশ নিয়েছেন।

উৎসব সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো পরিহার করে সাত্তি¡ক পূজায় সীমাবদ্ধ রাখতে হবে বিধায় এবারের দুর্গোৎসবকে ‘দুর্গাপূজা’ হিসেবে অভিহিত করেছে বাংলাদেশ প‚জা উদযাপন পরিষদ। তবে বাঙালির মনে দুর্গাপূজা সবসময়ই যেন উৎসবের আমেজ।

উল্লেখ্য, করোনা মহামারির কারণে করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে এবছর বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। উৎসব সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো পরিহার করে সাত্তি¡ক পূজায় সীমাবদ্ধ রাখতে হবে বিধায় এবারের দুর্গোৎসবকে ‘দুর্গাপূজা’ হিসেবে অভিহিত করেছে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ। সন্ধ্যায় আরতির পরই বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে পূজামন্ডপ। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ধুনুচি নাচের প্রতিযোগিতা নেই। জনসমাগমের কারণে স্বাস্থ্যবিধি যাতে ভঙ্গ না হয়, সেদিকে খেয়াল রেখেই দুর্গা পূজায় আগেই প্রসাদ বিতরণ ও বিজয়া দশমীর শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন