রংপুরে প্রেমের ফাঁদে ফেলে স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলার আসামি রংপুর মহানগর ডিবি পুলিশের এএসআই রায়হানুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআইতে স্থানান্তর করা হয়েছে। এর আগে গত রোববার রাতে স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নগরীর হারাগাছ থানায় মামলা করা হয়।
ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, রংপুর মহানগর পুলিশের হারাগাছ থানাধীন ময়নাকুঠি কচুটারি এলাকার নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন হারাগাছ থানার তৎকালিন এএসআই রায়হানুল ইসলাম। সেখান থেকে বদলি হয়ে তিনি রংপুর মহানগর ডিবি পুলিশে কর্মরত আছেন। মেয়েটির সঙ্গে পরিচয়ের সময় রায়হানুল তার ডাক নাম রাজু বলে জানান এবং তখন থেকে তাকে মেয়েটি রাজু নামেই চেনেন।
প্রেমের সূত্র ধরে গত শুক্রবার সকালে রায়হানুল ওই ছাত্রীকে নগরীর সিগারেট কোম্পানি এলাকার জনৈক শহিদুল্লাহ মিয়ার ভাড়াটিয়া আলেয়া বেগমের বাড়িতে ডেকে নেন। সেখানে তাকে আটকে রেখে পর্যায়ক্রমে রায়হানুল এবং তার আরও কয়েকজন পরিচিত যুবক তাকে ধর্ষণ করেন। এতে ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। ঐ দিন ছাত্রী কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে এসে বিষয়টি পুলিশকে জানালে রাত সাড়ে ৮টার দিকে হারাগাছ থানা পুলিশ তাকে ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় এবং তার পরিবারকে খবর দেয়।
পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বাড়ির ভাড়াটিয়া আলেয়া বেগম এবং সুরুভি নামে অপর এক সহযোগীকে আটক করে। পরে ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে পুলিশ সদস্য রাজুসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। ঘটনা যাচাইয়ের জন্য অভিযুক্ত এএসআই রায়হানুল ইসলামকে আটক করে পুলিশ। বর্তমানে নির্যাতিতা ওই স্কুলছাত্রী রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
রংপুর মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাজু নামে এক পুলিশ সদস্যের কথা জানিয়েছে মেয়েটি। তবে ওই রাজু ডিবি পুলিশের এএসআই রায়হানুল কি-না তা নিশ্চিত হতে রায়হানুলকে পুলিশের জিম্মায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। যেহেতু তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাই তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া অধিকতর তদন্তের স্বার্থে মামলাটি পিবিআইতে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন