ফ্রান্সে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে অবমাননার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২৭শে অক্টোবর) বেলা দুইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী এ কর্মসূচীতে অংশ নেয়।
এই সময় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা ফ্রান্সের জাতীয় পতাকা প্রজ্জ্বলন করে প্রতিবাদ করে। এসময় শিক্ষার্থীরা ফ্রান্সের পণ্য বয়কট, অতিদ্রুত ব্যঙ্গচিত্র অপসারণ ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টকে ক্ষমা চাওয়ার আহবান জানান।
মানবন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪২ ব্যাচের শিক্ষার্থী ইশতিয়াক আহমেদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় ইতিহাসের বিভাগের শিক্ষার্থী ইবরাহীম খলিল আপন বলেন, ‘পশ্চিমারা ইসলামফোবিয়াকে পুঁজি করে নির্বাচনী বৈতরনী পার হতে চায়। ইসলামের অপমানে তাদের রাজনৈতিক ফায়দা নিহিত রয়েছে। এধরনের বর্বর সংস্কৃতির বিরুদ্ধে আমাদের সচেতন হতে হবে। এবং তাদের পণ্য থেকে শুরু করে সবকিছুকে বয়কট করতে হবে। এজন্য আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করি যেন বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় ভাবে এ ঘটনার নিন্দা ও ফরাসি পণ্য বয়কটের ঘোষণা দেন।’
আরেক শিক্ষার্থী মনিরুল ইসলাম মুহিন বলেন,‘আমাদের হৃদয়ের স্পন্দন প্রিয় নবীকে নিয়ে ফ্রান্স যে ধৃষ্টতা দেখিয়েছে, মসুলমান হিসেবে আমরা তা কোনভাবেই মেনে নিতে পারিনা। এই ষড়যন্ত্র নতুন কিছু নয়, অতীতেও এধরনের ঘৃণ্য অপকর্ম তারা করেছে। এর প্রতিবাদ শুধু মুখে করলেই হবেনা আমাদের লিখনীর মাধ্যমেও উপযুক্ত জবাব দিতে হবে। ষড়যন্ত্রকারীদেরকে বুঝিয়ে দিতে হবে যত ষড়যন্ত্রই তারা করুক এই বিশ্বে ইসলামই টিকে থাকবে। আর এই অপকর্মের জন্য অবিলম্বে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টকে ক্ষমা চাইতে হবে।’
এছাড়াও অন্যান্য শিক্ষার্থীরাও তাদের বক্তব্যে বলেন, ‘আজ আমাদের দেশের তথাকথিত সুশীলরা প্রগতির নামে ইসলামকে জঙ্গী বলে আখ্যা দিতে চাচ্ছে। আজ ইসলামের মৌলিক শিক্ষা গুলোকে তারা জামাত শিবিরের ট্যাগ দিয়ে ঘৃণ্য মানসিকতার পরিচয় দিয়েছে। নবীর অবমাননা নিয়ে কথা বললে তারা নানাভাবে বাঁধা সৃষ্টি করছে। তাদের বিরুদ্ধেও সকলকে স্বেচ্ছার হতে হবে।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন